Monday, January 2, 2012
Sunday, January 1, 2012
Excellecnt আপেক্ষিকতা তত্ত্বে আইনস্টাইন and Robi Thakur Seser Kobita
Excellecnt আপেক্ষিকতা তত্ত্বে আইনস্টাইন and Robi Thakur Seser Kobita = Labonno Debi
আপেক্ষিকতা তত্ত্বে :
আইনস্টাইনের প্রেমসূত্র!
http://www.banglanews24.com/beta/fullnews/bn/377244.htmlএলসা আইনস্টাইন সম্পর্কে বলেছেন, সে অসাধারণ। যদিও তার জীবন পদ্ধতির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া রীতিমতো বিরক্তিকর ও জটিল।
সানজিদা সামরিন, ফিচার রিপোর্টার
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
x
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা: বিখ্যাত থিওরি অব রিলেটিভিটি তথা আপেক্ষিকতা
তত্ত্বের কথা এলেই চোখে ভেসে ওঠে কাঁচাপাকা এলোমেলো চুলের এক বিশেষ
ব্যক্তির কথা। হুম, বুঝতে দেরি হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না! তার নাম আলবার্ট
আইনস্টাইন। পদার্থ বিজ্ঞানের যেসব কঠিন সূত্র আমাদের তটস্থ করে ফেলে, অথচ সেগুলোর মাঝেই বসবাস ছিল এ বিজ্ঞানীর। তবে বিজ্ঞানী হলেও দুনিয়ার সবচেয়ে সুক্ষ্ম বিষয় ‘প্রেম’ থেকে দূরে ছিলেন না মোটেও।
হ্যাঁ, আইনস্টাইন ছিলেন একজন আপাদমস্তক প্রেমিক। চোখ কপালে উঠলো তো! মানুষ হিসেবে প্রেমে পড়া তার জন্য কঠিন কিছু নয়। তবে কথা হচ্ছে, এত ব্যস্ততার মাঝে প্রেম করার সময় কোথায় তার!
তবে সত্যিটা হচ্ছে, আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব আর নানান অভিনব আবিষ্কারের নিচে চাপা পড়ে গেছে তার প্রেমকাহিনী। জেনে নিই, প্রেমে তিনি কোন সূত্র প্রয়োগ করেছিলেন।
১৮৯৬ সাল। মাত্র একুশ বছর বয়সী মিলেভা ম্যারিচ সুইস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফেডারেল পলিটেকনিকে ভর্তি হন। তিনি আইনস্টাইনের বন্ধু ও সহকর্মী ছিলেন। ঠিক একই সময়ে আইনস্টাইনও সেখানে ভর্তি হন। তিনি বয়সে মিলেভার চেয়ে সাড়ে তিন বছরের ছোট ছিলেন।
সার্বিয়ান এ তরুণী ছিলেন সেসময়কার একমাত্র বিজ্ঞান ও গণিতের ছাত্রী । ১৯০৩ সালের ৬ জানুয়ারি আইনস্টাইন বিয়ে করেন মিলেভাকে। আইনস্টাইনের অনেক আবিষ্কারের পেছনে তার উৎসাহ ছিলো চরম পর্যায়ে। আর ছিল আইনস্টাইনের প্রতি তার গভীর প্রেম ও অপার আত্মত্যাগ।
নববিবাহিত আইনস্টাইন সপ্তাহে ছয়দিন পেটেন্ট অফিসে কাজ করতেন, আর বাকি সময় দিতেন পর্দার্থ বিজ্ঞান পড়াশোনা ও গবেষণায়। অন্যদিকে, মিলেভা তাকে যথেষ্ট সাহায্য করলেও, তাদের প্রথম সন্তানের মৃত্যুতে শোকাহত হয়ে পড়েন। পরবর্তী বছর মিলেভার কোল জুড়ে জন্ম নেয় তাদের দ্বিতীয় সন্তান হ্যান্স আলবার্ট।
১৯০৫ সালে ২৬ বছর বয়সে আইনস্টাইন পদার্থ বিজ্ঞানের তিনটি ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে মৌলিক অবদান রাখেন। এসব বিষয়ে দক্ষতা প্রদর্শনের জন্য ১৯২২ সালে তিনি নোবেল প্রাইজ পান।
মিলেভা আইনস্টাইনের জীবনে আশীর্বাদ রূপেই এসেছিলেন। বলা যেতে পারে, তাদের দু’জনের সম্পর্কটি ছিল বুদ্ধিদীপ্ত ও সাফল্যময়। আইনস্টাইন মিলেভার স্বাধীনতা ও ধ্যান-ধারণাকে যথেষ্ট সম্মান দিতেন।
বন্ধুরা, ভালোবাসা মানেই তো মন দেওয়া-নেওয়া, আর প্রিয়জনকে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করা। আইনস্টাইনও তাই করেছিলেন। সেসময়ে মনের ভাব প্রিয়জনকে বলার একটাই মাধ্যম ছিল। তা হলো, চিঠির আদান-প্রদান। আইনস্টাইনও এর ব্যতিক্রম ছিলেন না। মিলেভাকে বিয়ের আগে তিনি চিঠিতে লেখেন, তোমাকে ছাড়া আমি সবার মাঝেও একা।
তবে বিয়ের পর আইনস্টানের কর্মমুখর জীবনে ধীরে ধীরে একা হয়ে যেতে লাগলেন মিলেভা নিজেই। এ নিয়ে তিনি তার এক বন্ধুকে চিঠিতে লেখেন, আইনস্টাইন একমাত্র বিজ্ঞানের জন্যই বেঁচে রয়েছে। সেটাই তার প্রথম প্রেম। আমি আর আমাদের সন্তানের কোনো গুরুত্বই তার কাছে নেই। আমরা রয়েছি দ্বিতীয় অবস্থানে।
শুরু হয় দাপত্য কলহ। আইনস্টাইন তখন ব্যস্ত সমগ্র পৃথিবী নিয়ে। তাই তিনি মিলেভাকে বিচ্ছেদের প্রস্তাব দেন। কিন্তু মিলেভা তার প্রেমে অন্ধ। তিনি প্রস্তাব নাকচ করে দিলেন।
আইনস্টাইন মিলেভাকে জানালেন, একটি শর্ত মানলেই তিনি কেবল তার সঙ্গে থাকতে রাজি হবেন। তা হলো, মিলেভাকে প্রতিজ্ঞা করতে হবে যে, সে পুরো বাড়ি পরিষ্কার করবে, কাপড় ধোবে ও আইনস্টাইনের ঘরে তিনবেলা খাবার পৌঁছে দেবে। তবে তাদের মাঝে থাকবে না কোনো শারীরিক অন্তরঙ্গতা।
এত কঠিন শর্তও মেনে নিয়েছিলেন মিলেভা। তবে তা টেকেনি শেষ পর্যন্ত। ১৯১৯ সালে বিচ্ছেদ হয় আইনস্টাইন ও মিলেভার। তবে গল্প এখানেই শেষ নয়।
মিলেভার সাথে ছাড়াছাড়ি হলেও তার প্রতি আইনস্টানের যথেষ্ট ভালোবাসা ছিল। আর তাই হয়তো তিনি নোবেল প্রাইজের সব টাকা তিনি মিলেভার ঠিকানায় পাঠিয়ে দেন। সময়টা ১৯২৩ সালের কিছুটা আগে। ১৯২২ সালে আইনস্টাইন নোবেল প্রাইজ পান। তিনি অবলীলায় সমস্ত টাকা মিলেভাকে পাঠান। প্রাইজের টাকার পরিমাণ ছিল তিন লক্ষ ৪৮ হাজার ইউএস ডলার। যার বাংলাদেশি মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা।
এর মধ্যে আইনস্টাইন জড়ালেন তার চাচাতো বোন এলসা আইনস্টাইনের সঙ্গে। আট বছরের সম্পর্কে মধ্যে চার বছর ধরেই চিঠির আদান-প্রদান হয়। মিলেভার সঙ্গে বিচ্ছেদের চার মাস পরই তিনি এলসাকে বিয়ে করেন। তবে এলসাও দিনে দিনে বিরক্ত হয়ে যেতে লাগলেন পদার্থ বিজ্ঞানের প্রতি স্বামীর এ আত্মনিমগ্নতায়।
এলসা আইনস্টাইন সম্পর্কে বলেছেন, সে অসাধারণ। যদিও তার জীবন পদ্ধতির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া রীতিমতো বিরক্তিকর ও জটিল।
এদিকে আইনস্টাইন তার বন্ধুকে লেখা এক চিঠিতে বলছেন, আমি আমার শরীর ও আত্মাকে বিজ্ঞানের কাছে সঁপে দিয়েছি।
১৯৩৬ সালের ডিসেম্বরে এলসা মারা যান। আইনস্টানের শেষ জীবন কাটে জোহানা ফ্যানটোভার সাথে। তার সঙ্গে আইনস্টাইনের সর্বপ্রথম পরিচয় হয় ১৯২৯ সালে বার্লিনে। আইনস্টাইনের চেয়ে ২২ বছরের ছোট হলেও বয়সের দূরত্ব তাদের ঘনিষ্টতাকে আড়াল করতে পারেনি।
১৯৪০ সালে তাদের প্রণয় হয়। আইনস্টানের মৃত্যু পর্যন্ত জোহানাই ছিলেন তার সঙ্গী। ১৯৫৫ সালের এপ্রিলে ৭৬ বছর বয়সে আইনস্টাইন মারা যান। অন্যদিকে, ১৯৮১ সালে ৮০ বছর বয়সে জোহানাও দেহত্যাগ করেন।
new page ::
নোবেল ও সাদিয়া ইসলাম মৌ হলেন দর্শকের স্বপ্নের জুটি। চার বছর পর আবার একফ্রেমে হাজির হতে যাচ্ছেন তারা। আসন্ন রোজার ঈদের একটি নাটকে অভিনয় করেছেন দু’জনে। নাম ‘লাভ ফাইনালি’। লিখেছেন ও পরিচালনা করেছেন কৌশিক শংকর দাশ।
এখানে নোবেলকে ঈষান ও মৌকে দেখা যাবে নন্দিনী চরিত্রে। গল্পে ঈষান একজন সংগীত পরিচালক। আর নন্দিনী পেশায় ফ্যাশন ডিজাইনার। দীর্ঘ আট বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক তাদের মধ্যে। কিন্তু দু’জনই ক্যারিয়ার গড়া নিয়ে এতো ব্যস্ত ছিলো যে এই সম্পর্কটাকে উপেক্ষা করেছে। বন্ধুরা বারবার জোর করলেও বিয়ে করার কথা তারা একেবারেই ভাবার সময় পায়নি। কিন্তু দু’জনের মধ্যে তিক্ততা এমন এক পর্যায়ে চলে যায় যে, শেষ পর্যন্ত তারা এই সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর শুরু হয় নতুন ঘটনা।
উত্তরা ও ধানমন্ডির বিভিন্ন জায়গায় এরই মধ্যে নাটকটির চিত্রায়ন হয়েছে। ‘লাভ ফাইনালি’ প্রচার হবে আরটিভিতে।
নাটকটি নিয়ে নির্মাতা কৌশিক বাংলানিউজকে বলেন, ‘তিন বছর আগে এ নাটকের পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু নানা কারণে করা হয়নি। অবশেষে নোবেল ও মৌকে এক ফ্রেমে তুলে ধরার সুযোগ পেরে আমি আনন্দিত। কাজটি করায় তাদেরকে ধন্যবাদ।’
বাংলাদেশ সময় : ১২২৬ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০১৫
এমকে/জেএইচ
eScan and Java link
BJDSC LEKDQ THDNF KCKUK ASCIP GLHQE KLICR DGLBE KFELE GPEIHI
*******************************
*******************************
java universal unik id generate: ( gu id or uuid)
UUID uuid = UUID.randomUUID();
String uuidString = uuid.toString();
Link :
https://my.vertica.com/docs/7.1.x/HTML/Content/Authoring/ConnectingToHPVertica/ClientJDBC/UsingLONGVARCHARAndLONGVARBINARYDataTypesWithJDBC.htm
https://www.java.net/node/665493
n.b: if coloum type is varbinary then pc slow
pStmt.setString(8, uuidString);
java link :
........................
http://javaknowledge.info/
http://javatutorialcorner.com/
http://www.java2s.com/
http://www.java2s.com/
http://www.javatpoint.com/
http://javabeginnerstutorial.com
http://www.java-tips.org/other-api-tips/jdbc/how-to-store-retrieve-image-to-from-sqlserver-2.html
Java mail:
Search criteria:
Email with Multiple Attachments to Multiple Recipients ...
http://wiki.scn.sap.com/wiki/display/Java/Email+with+Multiple+Attachments+to+Multiple+Recipients
File upload site:
http://www.javawebdevelop.com/489441/
Array Validation : Site
http://www.easywayserver.com/jsp/JSP-array.htm
http://stackoverflow.com/questions/12331162/javascript-validation-with-an-array
http://stackoverflow.com/questions/21200961/comparing-a-javascript-variable-with-a-jsp-array-using-javascript
http://stackoverflow.com/questions/2858121/convert-comma-separated-string-to-array
Email with Multiple Attachments to Multiple Recipients:
http://wiki.scn.sap.com/wiki/display/WDJava/Email+with+Multiple+Attachments+to+Multiple+Recipients
http://stackoverflow.com/questions/8970455/java-mail-sending-multiple-attachments-not-working
Maruf search :
jquery array count
http://stackoverflow.com/questions/5317298/find-length-size-of-an-array-in-jquery
*******************************
*******************************
java universal unik id generate: ( gu id or uuid)
UUID uuid = UUID.randomUUID();
String uuidString = uuid.toString();
Link :
https://my.vertica.com/docs/7.1.x/HTML/Content/Authoring/ConnectingToHPVertica/ClientJDBC/UsingLONGVARCHARAndLONGVARBINARYDataTypesWithJDBC.htm
https://www.java.net/node/665493
n.b: if coloum type is varbinary then pc slow
pStmt.setString(8, uuidString);
java link :
........................
http://javaknowledge.info/
http://javatutorialcorner.com/
http://www.java2s.com/
http://www.java2s.com/
http://www.javatpoint.com/
http://javabeginnerstutorial.com
http://www.java-tips.org/other-api-tips/jdbc/how-to-store-retrieve-image-to-from-sqlserver-2.html
Java mail:
Search criteria:
Email with Multiple Attachments to Multiple Recipients ...
http://wiki.scn.sap.com/wiki/display/Java/Email+with+Multiple+Attachments+to+Multiple+Recipients
File upload site:
http://www.javawebdevelop.com/489441/
Array Validation : Site
http://www.easywayserver.com/jsp/JSP-array.htm
http://stackoverflow.com/questions/12331162/javascript-validation-with-an-array
http://stackoverflow.com/questions/21200961/comparing-a-javascript-variable-with-a-jsp-array-using-javascript
http://stackoverflow.com/questions/2858121/convert-comma-separated-string-to-array
Email with Multiple Attachments to Multiple Recipients:
http://wiki.scn.sap.com/wiki/display/WDJava/Email+with+Multiple+Attachments+to+Multiple+Recipients
http://stackoverflow.com/questions/8970455/java-mail-sending-multiple-attachments-not-working
Maruf search :
jquery array count
http://stackoverflow.com/questions/5317298/find-length-size-of-an-array-in-jquery
History:
দুবার নোবেল পুরস্কার মাদাম কুরি
প্রথম নারী :
নোবেল পুরস্কারের ইতিহাসে মাদাম কুরি প্রথম নারী, যিনি
দুবার নোবেল পুরস্কার অর্জনের মাধ্যমে বিজ্ঞান বিশ্বে নিজেকে পরিচিত করেছেন। ১৮৬৭
সালের ৭ নভেম্বর তিনি পোল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। মা-বাবার দেওয়া নাম মেরি
সেক্লাদোভস্কা হলেও মাদাম কুরি নামেই তিনি অধিক পরিচিত। ছোটবেলা থেকেই মেরি ছিলেন
খুব মেধাবী। ১৬ বছর বয়সে স্কুলের শেষ পরীক্ষায় তিনি অসাধারণ কৃতিত্বের পরিচয় দেন
এবং ১৮৯৩ সালে তাঁর ক্লাসে পদার্থ ও গণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। পরবর্তী সময়ে
তিনি গবেষণা শুরু করেন এবং স্বামী পিয়েরি কুরির সঙ্গে গবেষণার মাধ্যমে আবিষ্কার
করেন দুটি নতুন মৌলিক পদার্থ পোলোনিয়াম ও রেডিয়াম। ফলে ১৯০৩ সালে যৌথভাবে তাঁরা
রসায়নশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন। আট বছর পরে ১৯১১ সালে মাদাম কুরি
বিশুদ্ধ রেডিয়াম পৃথককরণের জন্য আবারও রসায়নে নোবেল পুরস্কার জেতেন। শুধু কি তাই,
আরো একটি কারণে কুরি পরিবারের নাম নোবেল পুরস্কারের ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে আছে। কুরি
দম্পতির বড় মেয়ে আইরিন জোলিও কুরি মায়ের মতোই স্বামী ফ্রেডারিক জোলিওর সঙ্গে
যৌথভাবে রসায়নশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন এবং ছোট মেয়ে ইভ কুরির স্বামী
হেনরি ল্যাবোসে ১৯৬৫ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। মাদাম কুরি রেডিয়াম
আবিষ্কার করে মানবদেহের ওপর এর প্রভাব নিয়ে গবেষণা করেছিলেন। কিন্তু মানুষকে
ব্যথামুক্ত জীবন দিতে যে রেডিয়াম তিনি নিজে আবিষ্কার করেছিলেন, তার তেজস্ক্রিয়
প্রভাবেই অবর্ণনীয় ব্যথায় ১৯৩৪ সালের ৪ জুলাই তিনি মারা যান।
গ্রন্থনা : জাকারিয়া জামান
http://www.kalerkantho.com/printedition/education/2014/04/13/72431#sthash.AXKsazUa.dpuf
doctor zinia zahid :
http://www.banglanews24.com/beta/fullnews/bn/330946.html
doctor zinia zahid :
http://www.banglanews24.com/beta/fullnews/bn/330946.html
নোবেল শান্তির নামে তামাশা আর কত?
১।
প্রতি বছর অক্টোবর মাসে নোবেল পুরস্কার ঘোষণার সময় সব থেকে বেশি আলোচনায় আসে যে ক্যাটাগরি, তা হলো শান্তি পুরস্কার। এ বছরও তার ব্যতিক্রম নয়। এ বছর শিশু ও তরুণদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন ভারতের শিশু অধিকারকর্মী কৈলাস সত্যার্থী এবং তালেবান হামলায় বেঁচে যাওয়া পাকিস্তানি কিশোরি মালালা ইউসুফজাই।
নোবেল কমিটি পাকিস্তানের মালালার সাথে ভারতের কৈলাশকে পুরুস্কৃত করলো ঠিক তখনই যখন ইতিহাসের চিরশত্রু ভারত-পাকিস্তানের বিরোধপূর্ণ কাশ্মীর সীমান্তে চরম উত্তেজনা চলছে। দুই দেশ একে অপরকে "চরম মূল্য দিতে হবে" বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছে।
নোবেল কমিটির চেয়ারম্যানের ভাষ্যমতে, “একজন হিন্দু, অন্যজন মুসলমান; একজন ভারতীয়, অন্যদিকে একজন পাকিস্তানি; একই লক্ষ্য নিয়ে, শিক্ষার অধিকারের দাবিতে এবং উগ্রবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন-যা নোবেল কমিটির কাছে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়েছে।”
এবারের শান্তি পুরস্কার যেন, এক তীরে অনেকগুলো পাখি শিকারের মতই। এখানে নোবেল কমিটি একাধারে চিরশত্রু ভারত বনাম পাকিস্তান, হিন্দু বনাম মুসলিম, পুরুষ বনাম নারী, শিক্ষা বনাম উগ্রবাদ সবকিছুকেই টেনে এনেছেন। অথচ, যেসব বিষয় নোবেল কমিটি বিবেচনায় এনেছেন, শান্তির ক্ষেত্রে কোনটাতেই মালালা এবং কৈলাশের কোনো ভূমিকা নেই। এছাড়াও একজন হিন্দু, আরেকজন মুসলমান- ধর্মীয়ভাবে দুজনের পরিচয় আলাদাভাবে উল্লেখ করে যৌথভাবে পুরুস্কৃত করে, নোবেল কমিটি বিশ্ববাসীকে কি মেসেজ দিতে চাইছে সত্যি বোধগম্য নয়।
মালালার নোবেল প্রাপ্তি তেমন একটা বিস্মিত করেনি আমাদের অনেককেই। কারণ, বিগত কয়েক বছর ধরে মালালাকে পশ্চিমারা এজন্যই তৈরি করে নিচ্ছিল। গত বছরই পেয়ে যেত, নেহাতই বয়স কম বলে মিডিয়াগুলো শোরগোল তোলায় পুরস্কার ফসকে গিয়েছিল। তাই এবার আর মালালার পুরুস্কার প্রাপ্তি নিয়ে কোনো সন্দেহ কারোরই ছিল না।
তালেবানের গুলি খাবার আগেও পাকিস্তানের মেয়েদের শিক্ষা প্রাপ্তি যা ছিল, মালালা গুলি খাবার পরেও যে আহামরি কিছু পরিবর্তন হয়েছে, তা কিন্তু নয়। বরং গুলি খেয়ে, মালালা উন্নত বিশ্বের নিরাপদ আশ্রয়ে শিক্ষার সুযোগ পেলেও, পাকিস্তানের মেয়েরা যে যেখানে ছিল সেখানেই পড়ে আছে। বিশ্বের কোন দেশে মালালার কারণে মেয়েরা স্কুলে যেতে শুরু করেছে তাও আমাদের অজানা। বিশেষজ্ঞ টিমের লিখে দেয়া সুন্দর সুন্দর বক্তৃতার কারণে যদি তিনি নোবেল পেয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্য ভিন্ন কথা।
অন্যদিকে মালালা যেমন প্রতি মুহূর্ত মিডিয়ার পাদপ্রদীপে ছিলেন, কৈলাশ ছিলেন তার বিপরীত। কৈলাশের কাজ নিয়ে তাদের মিডিয়াগুলোও ছিল অন্ধকারে। অথচ ৬০ বছর বয়সী কৈলাস গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতে শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে আসছেন, গড়ে তুলেছেন ‘বাচপান বাঁচাও’ আন্দোলন। মিডিয়ার আড়ালেই কাজ করে গেছেন তিনি নীরবে। কৈলাসকে খোদ ভারতে রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো পুরুস্কার দেয়া হয় নি, না পদ্মশ্রী, না পদ্মভূষণ কিংবা অন্য কিছু।
অথচ পাকিস্তানি মালালার সাথে ভারতের কৈলাশকে নোবেল পুরুস্কার দেয়া যেন অনেকটা ভারসাম্য রক্ষা করার মতই। ভবিষ্যত অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে ভারতকে পশ্চিমাদের নিজেদের তাঁবুতে রাখতেই কি না কে জানে, নিজেদের পাপেট মালালার পাশাপাশি অখ্যাত কৈলাশকেও শান্তি পুরস্কার দেয়া বিশ্ববাসীকে শান্তির নামে ধোঁকা দেয়া ছাড়া আর কিছুই নয়।
২।
বিগত কয়েক বছরে নোবেল শান্তি পুরুস্কার প্রাপ্তদের তালিকার দিকে চোখ মেললেই দেখা যায়, নোবেল শান্তি পুরস্কার যতটা না বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য, তার থেকেও বেশি পশ্চিমা রাজনৈতিক চালে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য। সব নোবেল শান্তি জয়ীরা যেন পশ্চিমাদের পূর্ব পরিকল্পনার ঘুটি!
হেনরী কিসিঞ্জারের মত ঘৃণিত ব্যক্তিকে কি নোবেল কমিটি এর আগে নির্বাচিত করেনি? ইয়াসির আরাফাত, আইজ্যাক রবিন যখন শান্তি পুরুস্কার পান, তখন সত্যি অবাক হতে হয়। মায়ানমারের অং সাং সুকির মত যে ব্যক্তি নিজ দেশেই শান্তি আনয়নের জন্য ব্যর্থ, সে ব্যক্তি বিশ্বশান্তিতে কি অবদান রাখতে পেরেছিল, তা প্রশ্নসাপেক্ষ।
২০০৭ সালে ক্লাইমেট চেইঞ্জ ও গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর জন্য বড় বড় বাণীর কথা বলা আল গোর যখন আইপিসির সাথে যুক্তভাবে পুরস্কার পেয়েছিলেন, তখন তিনি নিজেই ২০ কক্ষ বিশিষ্ট আলিশান প্রাসাদে গ্যাস ও বিদ্যুতের মাত্রাতিরিক্ত অপচয়ের জন্য সমালোচিত হয়েছিলেন।
২০১০ সালে নোবেল কমিটি চায়না থেকে অখ্যাত একজনকে মনোনীত করেছিলেন। কারাগারে বন্দি চায়নার লিউ শিয়াওবোকে বিশ্বশান্তির জন্য কেন পুরুস্কৃত করা হয়েছিল, সেটা বিশ্ববাসীর কাছে সে সময় দারুণ একটা ধাধার মতই ছিল। নির্ঝঞ্ঝাট চায়নায় শান্তির অভাব ছিল বলে তো কখনো শোনা যায় নি! তবে পরে জানা যায়, ভিয়েতনাম, কোরিয়া, আফগানিস্তান ও ইরাকে শান্তির নামে আমেরিকার মাতব্বরিকে এই শান্তি পুরস্কার জয়ী আকন্ঠ সমর্থন দিয়েছিলেন। কাজেই পশ্চিমাদের তাবেদারির পুরস্কার হিসেবে জুটেছে নোবেল শান্তি পুরস্কার!!!
যেদিন বারাক ওবামা শান্তির জন্য নোবেল জয়ী ঘোষিত হন, তখনই কি এই পুরস্কারের গ্রহণযোগ্যতা সম্পূর্ণভাবে হারিয়ে যায় নি? যেদিন বারাক ওবামার নাম ঘোষিত হয়, সেদিন সত্যি বলতে কি নোবেল শান্তি পুরস্কার একটি তামাশায় পরিণত হয়। শান্তি পুরস্কারের আগে বারাক ওবামার বিশ্বশান্তির জন্য ভূমিকা কি? আফসোস হয়, সিনিয়র-জুনিয়র জর্জ বুশের জন্য। আমেরিকার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের পাশাপাশি, একটু-আধটু লবিং করলেই নোবেলটা এরা পেতে পারতেন!
৩।
শান্তি পুরস্কার পাবার জন্য যে পশ্চিমা কানেকশন অবশ্য প্রয়োজনীয়, তা এখন আর বিশ্ববাসীর অজানা নয়। শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের পুরস্কার পাবার আগেও যেমন বিশ্বশান্তিতে তেমন উল্লেখযোগ্য অবদান খুঁজে পাওয়া যায় না, তেমনি পুরস্কার পাবার পরও পশ্চিমাদের লোভের আগুনে পুড়ে যাওয়া যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশগুলোর পক্ষেও এদের কোনো কথা বলতে আমরা দেখি না।
সব থেকে বড় কথা, শান্তি পুরস্কার জয়ীরা মুখে যা বলেন তারা নিজেরাই তা বিশ্বাস করেন না। কাজেই শান্তি পুরস্কার দেবার নামে বিশ্ববাসীর সাথে পশ্চিমাদের নির্লজ্জ্ব তামাশা বন্ধ করা হোক। শান্তি পুরস্কারের নাম বদলে বরং অন্য কিছু নাম দেয়া হোক। বিশ্ববাসীকে শান্তির নামে ধোঁকা দেয়া বন্ধ করা হোক।
ড. জিনিয়া জাহিদ : অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক
Subscribe to:
Posts (Atom)