Thursday, March 6, 2014

PrimaryQues


অধ্যায়-৪  খাদ্য ও পুষ্টি
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৩৬ |

শেয়ারঃ
00

অধ্যায়-৪  খাদ্য ও পুষ্টি
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ পরিবেশ পরিচিতি বিজ্ঞান বিষয়ের ৪ নম্বর অধ্যায় ‘খাদ্য ও পুষ্টি’ থেকে নমুনা প্রশ্নোত্তর আলোচনা করব। এ ধরনের অন্য প্রশ্নোত্তরের জন্য অধ্যায়টির বিষয়বস্তু ভালোভাবে পড়বে।
# শূন্যস্থান পূরণ করো।
১। খাদ্যের সঙ্গে স্বাস্থ্যের সম্পর্কই হলো—।
উত্তর: খাদ্যের সঙ্গে স্বাস্থ্যের সম্পর্কই হলো পুষ্টি।
২। ভিটামিন—তাপে নষ্ট হয়ে যায়।
উত্তর: ভিটামিন সি তাপে নষ্ট হয়ে যায়।
৩। সব রকম খাবার সমান—নয়।
উত্তর: সব রকম খাবার সমান পুষ্টিকর নয়।
৪। আমিষের অভাবে—রোগ হয়
উত্তর: আমিষের অভাবে কোয়াশিয়রকর রোগ হয়।
৫। চাল, আটা, ময়দা ইত্যাদি—জাতীয় খাদ্য।
উত্তর: চাল, আটা, ময়দা ইত্যাদি শ্বেতসার জাতীয় খাদ্য।
৬। মাছ, মাংস, ডাল, ডিম, দুধ ইত্যাদি—জাতীয় খাদ্য।
উত্তর: মাছ, মাংস, ডাল, ডিম, দুধ ইত্যাদি আমিষ জাতীয় খাদ্য।
৭। স্নেহ জাতীয় খাদ্যও শর্করার মতো—জোগায়।
উত্তর: স্নেহজাতীয় খাদ্যও শর্করার মতো শক্তি জোগায়।
৮। তেলের অভাবে শরীর খসখসে হয়ে যায় ও—হতে পারে।
উত্তর: তেলের অভাবে শরীর খসখসে হয়ে যায় ও চর্মরোগ হতে পারে।
৯। —ও— মাছে প্রচুর ভিটামিন ‘এ’ থাকে।
উত্তর: মলা ও ঢেলা মাছে প্রচুর ভিটামিন ‘এ’ থাকে।
১০। ভিটামিন ‘ই’ এর অভাবে—দেখা দেয়।
উত্তর: ভিটামিন ‘ই’-এর অভাবে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।
১১। আমাদের প্রতিদিন কাঁচা-পাকা—ও—খাওয়া দরকার।
উত্তর: আমাদের প্রতিদিন কাঁচা-পাকা ফল ও সবজি খাওয়া দরকার।
১২। ভিটামিন—এর অভাবে শিশুদের রিকেটস রোগ হয়।
উত্তর: ভিটামিন ‘ডি’ এর অভাবে শিশুদের রিকেটস রোগ হয়।
১৩। ভিটামিন—রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
উত্তর: ভিটামিন ‘কে’ রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
১৪। আয়োডিনের অভাবে—রোগ হয়।
উত্তর: আয়োডিনের অভাবে গলগণ্ড রোগ হয়।
১৫। সামুদ্রিক মাছে প্রচুর—আছে।
উত্তর: সামুদ্রিক মাছে প্রচুর আয়োডিন আছে।
১৬। পানি কম পান করলে—হয়।
উত্তর: পানি কম পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়।
১৭। প্রতিদিন অন্তত—গ্লাস পানি পান করা প্রয়োজন।
উত্তর: প্রতিদিন অন্তত ৬-৭ গ্লাস পানি পান করা প্রয়োজন।
১৮। মাছ, মাংস, ডিম ইত্যাদি—আমিষ।
উত্তর: মাছ, মাংস, ডিম ইত্যাদি প্রাণিজ আমিষ
# সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখো।
১। কোনটির অভাবে কোয়াশিয়রকর রোগ হয়?
(ক) শ্বেতসার (খ) ভিটামিন (গ) আমিষ (ঘ) খনিজ লবণ
উত্তর: (গ) আমিষ।
২। কোনটির অভাবে রাতকানা রোগ হয়?
(ক) ভিটামিন ‘এ’ (খ) ভিটামিন ‘বি’
(গ) ভিটামিন ‘সি’ (ঘ) ভিটামিন ‘ডি’। উত্তর: ভিটামিন ‘এ’।
৩। কোনটির অভাবে গলগণ্ড হয়?
(ক) ভিটামিন ‘এ’ (খ) ভিটামিন ‘বি’
(গ) ক্যালসিয়াম (ঘ) আয়োডিন। উত্তর: (ঘ) আয়োডিন।
৪। কোনটির অভাবে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়?
(ক) সোডিয়াম (খ) লৌহ (গ) আয়োডিন) (ঘ) ক্যালসিয়াম
উত্তর: (খ) লৌহ।
৫। দেহের ক্ষয়পূরণ ও বৃদ্ধি সাধনের জন্য কোন উপাদানটি দরকার?
(ক) স্নেহ (খ) শ্বেতসার (গ) আমিষ (ঘ) খনিজ লবণ।
উত্তর: (গ) আমিষ।
৬। ভিটামিন ‘সি’ এর অভাবে কোন রোগটি হয়?
(ক) দাঁতের ক্ষয় (খ) চোখের রোগ
(গ) হাড়ের রোগ (ঘ) পেটের রোগ। উত্তর: (ক) দাঁতের ক্ষয়।
৭। তাপে কোন ভিটামিন নষ্ট হয়?
(ক) ভিটামিন ‘এ’ (খ) ভিটামিন ‘বি’
(গ) ভিটামিন ‘সি’ (ঘ) ভিটামিন ‘ডি’। উত্তর: (গ) ভিটামিন ‘সি’।
৮। কোন ধরনের ভিটামিন দাঁত ও হাড়ের জন্য প্রয়োজনীয়?
(ক) ভিটামিন ‘এ’ (খ) ভিটামিন ‘বি’
(গ) ভিটামিন ‘সি’ (ঘ) ভিটামিন ‘ডি’। উত্তর: (ঘ) ভিটামিন ‘ডি’।
৯। সামুদ্রিক মাছে কোনটি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়?
(ক) ক্যালসিয়াম (খ) আয়োডিন (গ) লবণ (ঘ) সোডিয়াম
উত্তর: (খ) আয়োডিন।
১০। কোন ভিটামিনের অভাবে শিশুদের রিকেটস রোগ হয়?
(ক) ভিটামিন ‘এ’ (খ) ভিটামিন ‘ডি’
(গ) ভিটামিন ‘সি’ (ঘ) ভিটামিন ‘কে’। উত্তর: (খ) ভিটামিন ‘ডি’।
১১। চর্মরোগ হয় কিসের অভাবে?
(ক) আমিষ (খ) চর্বি বা স্নেহ (গ) শর্করা (ঘ) খনিজ লবণ
উত্তর: (খ) চর্বি বা স্নেহ।
১২। কিসের অভাবে ঠোঁটে ও জিহ্বায় ঘা হয়?
(ক) ভিটানি ‘এ’ (খ) ভিটামিন ‘বি’
(গ) ভিটামিন ‘ই’ (ঘ) ভিটামিন ‘ডি’। উত্তর: (খ) ভিটামিন ‘বি’।
১৩। কোন ভিটামিনের অভাবে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়?
(ক) ভিটামিন ‘এ’ (খ) ভিটামিন ‘সি’
(গ) ভিটামিন ‘ই’ (ঘ) ভিটামিন ‘ডি’। উত্তর: (গ) ভিটামিন ‘ই’।

১৪। কোন ভিটামিন রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে?
(ক) ভিটামিন ‘এ’ (খ) ভিটামিন ‘সি’
(গ) ভিটামিন ‘ই’ (ঘ) ভিটামিন ‘কে’। উত্তর: (ঘ) ভিটামিন ‘কে’।
১৫। কোন ধরনের খাদ্য আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে?
(ক) শর্করা (খ) আমিষ (গ) ভিটামিন (ঘ) খনিজ লবণ
উত্তর: (গ) ভিটামিন।
১৬। কোন ধরনের খাদ্য উপাদান আমাদের দেহে শক্তি জোগায়?
(ক) খনিজ লবণ, (খ) শর্করা (গ) ভিটামিন (গ) আমিষ
উত্তর: (খ) শর্করা।
১৭। আমিষ-জাতীয় খাদ্য কোনটি?
(ক) চাল (খ) ডাল (গ) গম (ঘ) আলু। উত্তর: (খ) ডাল।
১৮। মেরাসমাস বা হাড্ডিসার রোগের লক্ষণ কী?
(ক) ক্ষুধা বাড়ে, বমির ভাব হয়
(খ) শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে ও মোটা হয়ে যায়
(গ) মাংসপেশি শুকিয়ে যায় ও প্রায়ই পাতলা পায়খানা হয়
(ঘ) শরীরের ওজন কমে যায় ও কাজ করার ক্ষমতা কমে যায়
উত্তর: (গ) মাংসপেশি শুকিয়ে যায় ও প্রায়ই পাতলা পায়খানা হয়।
১৯। মলা ও ঢেলা মাছে প্রচুর পরিমাণে কোন ভিটামিন থাকে?
(ক) ভিটামিন ‘এ’ (খ) ভিটামিন ‘বি’
(গ) ভিটামিন ‘ডি’ (ঘ) ভিটামিন ‘কে’। উত্তর: (ক) ভিটামিন ‘এ’।
২০। ভিটামিন ‘ই’ পাওয়া যায় কিসে?
(ক) শাকসবজি ও শস্যদানায় (খ) মলা-ঢেলা মাছে
(গ) আমলকী-আমড়ায় (ঘ) পেয়ারা-লেবুতে
উত্তর: (ক) শাকসবজি ও শস্যদানায়।
২১। কোনটিতে অধিক পরিমাণে আয়োডিন আছে?
(ক) সামুদ্রিক মাছে (খ) স্বাদু পানির মাছে
(গ) মুরগির মাংসে (ঘ) সবজিতে। উত্তর: (ক) সামুদ্রিক মাছে।
২২। পানি কম পান করলে কী রোগ হয়?
(ক) গলগণ্ড (খ) রক্তশূন্যতা (গ) ডায়রিয়া (ঘ) কোষ্ঠকাঠিন্য
উত্তর: (ঘ) কোষ্ঠকাঠিন্য।
# শুদ্ধ-অশুদ্ধ নির্ণয় করো।
১। মাছ, গোশত, ডিম, ডাল ইত্যাদিতে আমিষের পরিমাণ কম।—‘অশুদ্ধ’
২। জীবনধারণের জন্য খাদ্য অপরিহার্য নয়।—‘অশুদ্ধ’
৩। খাদ্যে যে ধরনের খাদ্য উপাদান বেশি মাত্রায় থাকে তাকে ওই জাতের খাদ্য বলে।—‘শুদ্ধ’
৪। পুষ্টির বিচারে ভাতের চেয়ে রুটি ভালো।—‘শুদ্ধ’
৫। শর্করা-জাতীয় খাবার কাজ করার শক্তি জোগায়।—‘শুদ্ধ’
৬। মলা ও ঢেলা মাছে প্রচুর ভিটামিন ‘এ’ থাকে।—‘শুদ্ধ’
৭। সূর্যের আলো ত্বক বা চামড়ার নিচে থাকা চর্বির সাহায্যে ভিটামিন ‘ডি’ তৈরি করে।—‘শুদ্ধ’
৮। ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবে রাতকানা রোগ হয়।—‘শুদ্ধ’
৯। চর্বি ও তেল-জাতীয় খাদ্যে ভিটামিন ‘ডি’ থাকে।—‘শুদ্ধ’
১০। মুখে ও জিহ্বায় ঘা হয় ভিটামিন ‘সি’-এর অভাবে।—অশুদ্ধ’
১১। পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে ‘সি’ থাকে।—‘শুদ্ধ’
১২। আমলকীতে প্রচুর ভিটামিন ‘এ’ পাওয়া যায়।—‘অশুদ্ধ’
১৩। ফলমূলে নানা রকম ভিটামিন ও খনিজ লবণ থাকে।—‘শুদ্ধ’
১৪। ফলমূল খেলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।—‘শুদ্ধ’
১৫। সামুদ্রিক মাছে প্রচুর আয়োডিন আছে।—‘শুদ্ধ’
১৬। আয়োডিনের অভাবে চর্মরোগ হয়। —‘অশুদ্ধ’
১৭। শ্বেতসার বেশি খেলে দেহে চর্বি জমে, মোটা হয়ে যায়।—‘শুদ্ধ’
১৮। বরবটি, ডাল, শিমের বিচি, মটরশুঁটি ইত্যাদি উদ্ভিজ আমিষ।—‘শুদ্ধ’
১৯। ভিটামিন ‘ডি’ আমাদের দেহকে শক্ত ও মজবুত করে।—‘শুদ্ধ’
২০। ভিটামিন ‘কে’ রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।—‘শুদ্ধ’
২১। ফলমূল, শাকসবজি, দুধ, ডিম, কলিজা ও সামুদ্রিক মাছে খনিজ লবণ পাওয়া যায়।—‘শুদ্ধ’
# সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর দাও।
প্রশ্ন: খাদ্য বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: ক্ষুধা লাগলে আমরা খাদ্য গ্রহণ করি। যা গ্রহণ করলে আমাদের দেহ বাড়ে, ক্ষয়পূরণ হয়, পুষ্টিসাধন হয়, আমরা কাজ করার শক্তি পাই ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা জন্মায়, তাকে খাদ্য বলে। যেমন: ভাত, রুটি, মাছ, মাংস, ফলমূল ইত্যাদি।
প্রশ্ন: পুষ্টি বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: পুষ্টি হলো খাদ্যগুণ। আমরা যেসব খাবার খাই, তার মধ্যে কোনোটি বেশ স্বাদের, কোনোটির তেমন স্বাদ নেই। স্বাদ থাকুক বা না থাকুক খাদ্যে থাকতে হয় শরীর গঠনের গুণ। খাদ্যের এই গুণকেই বলে পুষ্টি। অর্থাৎ খাদ্যের যেসব উপাদান আমাদের শরীরের কাজে লাগে, সেসব উপাদানকে পুষ্টি বলে।
প্রশ্ন: তিনটি প্রাণিজ আমিষের নাম লেখ।
উত্তর: আমিষ দেহের গঠন, ক্ষয়পূরণ ও বৃদ্ধি সাধন করে থাকে। আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় আমিষ উদ্ভিদ ও প্রাণী থেকে পেয়ে থাকি। তিনটি প্রাণিজ আমিষের নাম হলো মাছ, মাংস, ডিম।
প্রশ্ন: রাতকানা রোগের লক্ষণ কী?
উত্তর: সকল প্রকার হলুদ ফলমূল ও সবুজ শাকসবজি থেকে আমরা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ পেয়ে থাকি। এসব শাকসবজি ও ফলমূল সঠিক পরিমাণে না খেলে দেহে ভিটামিন ‘এ’-এর অভাব দেখা দেয়। এর ফলে রাতকানা রোগ হয়। দেহে ভিটামিন ‘এ’-এর অধিক ঘাটতি হলে মানুষ অন্ধও হয়ে যেতে পারে।
প্রশ্ন: রিকেটস রোগের লক্ষণগুলো লেখ।
উত্তর: ভিটামিন ‘ডি’-এর অভাবে শিশুদের রিকেটস রোগ হয়। রোগের লক্ষণগুলো হলো—
১। শিশুরা হাঁটাচলায় অনীহা প্রকাশ করে।
২। হাড় শক্ত ও মজবুত হয় না।
৩। অনেক সময় শিশুদের হাড় বেঁকে যায়।
প্রশ্ন: খাদ্য কয় প্রকার ও কী কী?
উত্তর: ক্ষুধা নিবারণের জন্য আমরা যা খাই, তা-ই খাদ্য। খাদ্য উপাদানের গুণাগুণ বিচার করে খাদ্যকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন: শর্করা, আমিষ ও স্নেহ-জাতীয় খাদ্য। এ তিন প্রকার খাদ্য আমাদের দেহের গঠন, ক্ষয়পূরণ, বৃদ্ধি সাধন করে ও শক্তি জোগায়।
এ ছাড়া খনিজ লবণ, ভিটামিন ও পানি হলো আরও তিন প্রকার খাদ্য উপাদান। এ উপাদানগুলো দেহকে রোগমুক্ত ও সবল রাখার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
প্রশ্ন: আমাদের দেহে পানি এত প্রয়োজনীয় কেন?
উত্তর: আমরা প্রতিদিন যে খাবার খাই, তা পরিপাকের জন্য পানি একটি অতি প্রয়োজনীয় ও প্রধান উপাদান। পানি খাবার হজম করতে ও দেহ থেকে ঘাম ও মূত্রের মাধ্যমে ক্ষতিকর পদার্থ বের করতে সাহায্য করে। পানি কম পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। আমাদের দেহের সব কাজ পানি ছাড়া সঠিকভাবে চলে না। আমরা প্রতিদিন যে খাবার খাই, তাতে প্রচুর পানি থাকে। এ ছাড়া আমাদের প্রতিদিন ছয় থেকে সাত গ্লাস পানি পান করা প্রয়োজন। তাই বলা হয়, পানির অপর নাম জীবন।
প্রশ্ন: সুষম খাদ্য কাকে বলে?
উত্তর: যেসব খাদ্যে দেহের পুষ্টি বৃদ্ধি, শক্তি লাভ প্রভৃতির জন্য প্রয়োজনীয় সবকটি খাদ্য উপাদান যেমন—শ্বেতসার, আমিষ, স্নেহ, ভিটামিন, খনিজ লবণ ও পানি সঠিক পরিমাণে থাকে, তাদের সুষম খাদ্য বলে। সুস্থ দেহ, সবল দেহ ও কাজ করার শক্তির জন্য প্রয়োজন পুষ্টিকর ও সুষম খাদ্য।
প্রশ্ন: শ্বেতসার, আমিষ ও স্নেহ উপাদানের কাজ লেখ।
উত্তর: শ্বেতসারের কাজ: ১। শ্বেতসার-জাতীয় খাবার দেহে শক্তি ও কাজ করার ক্ষমতা জোগায়।
২। শ্বেতসার কম খেলে দেহের ওজন কমে যায়, ক্ষুধা বাড়ে, বমির ভাব হয়।
৩। শ্বেতসার বেশি খেলে দেহে চর্বি জমে, মোটা হয়ে যায়।
আমিষের কাজ:
১। দেহের গঠন, ক্ষয়পূরণ ও বৃদ্ধি সাধন করে।
২। রক্তকণিকা উৎপাদনে অংশ নেয়।
৩। মাংসপেশি গঠনে সাহায্য করে।
স্নেহ উপাদানের কাজ:
১। স্নেহ উপাদান দেহে তাপ উৎপন্ন করে।
২। দেহে শক্তি জোগায়। ৩। চর্মরোগ প্রতিরোধ করে।
প্রশ্ন: মানবদেহে খনিজ লবণের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ কর।
উত্তর: মানবদেহের গঠন ও সুস্থতা রক্ষায় প্রয়োজনীয় উপাদান হচ্ছে খনিজ লবণ। প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে আমরা লবণ খাই। এ লবণকে খাদ্য লবণ বলে। খাদ্য লবণ ছাড়া আরও অনেক লবণ আছে, যা আমাদের দেহের জন্য প্রয়োজনীয়। এসব লবণকে খনিজ লবণ বলে।
ফলমূল, শাকসবজি, দুধ, ডিম, কলিজা ও সামুদ্রিক মাছ থেকে লৌহ, ক্যালসিয়াম, আয়োডিন, ফসফরাস, সোডিয়াম ইত্যাদি খনিজ লবণ পাওয়া যায়।
ক্যালসিয়াম লবণ পাওয়া যায় দুধ, মাংস, ডিম, সবুজ শাকসবজি থেকে। এটি হাড় ও দাঁতের গঠন এবং রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
লৌহ লবণ পাওয়া যায় মাংস, ডিম, কলিজা ও শাকসবজি থেকে। লৌহ রক্তের লোহিত কণিকা গঠন করে।
আয়োডিনযুক্ত লবণ পাওয়া যায় সামুদ্রিক মাছ ও আয়োডিনযুক্ত লবণ থেকে। এর অভাবে গলগণ্ড রোগ হয়।
ফসফরাসযুক্ত লবণ মাংস, দুধ, ডিম থেকে পাওয়া যায়। এটি হাড় ও দাঁত গঠনে সাহায্য করে।
সোডিয়াম লবণ হলো সাধারণ খাদ্য লবণ। এটি দেহের সজীবতা বৃদ্ধি করে। আড়ষ্ঠতা কাটায়।
প্রশ্ন: ভিটামিন কী? কোন ভিটামিনের অভাবে কী রোগ হয়, তার একটি তালিকা তৈরি কর।
উত্তর: ভিটামিন এক প্রকার খাদ্য উপাদান, যা দেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে দেহকে সুস্থ-সবল রাখতে সাহায্য করে।
শাকসবজি ও ফলমূলে প্রচুর ভিটামিন পাওয়া যায়।
বিভিন্ন প্রকারের ভিটামিন রয়েছে যেমন: ভিটামিন ‘এ’, ভিটামিন ‘বি’, ভিটামিন ‘সি’, ভিটামিন ‘ডি’, ভিটামিন ‘ই’, ভিটামিন ‘কে’।
ভিটামিনের নাম অভাবজনিত রোগ
১। ভিটামিন ‘এ’ রাতকানা রোগ হয়। অধিক অভাব হলে মানুষ অন্ধ হয়ে যেতে পারে।
২। ভিটামিন ‘বি’ এর অভাবে ঠোঁটে ও জিহ্বায় ঘা হয়।
৩। ভিটামিন ‘সি’ দাঁতের মাড়ি ফুলে যায় ও রক্ত ঝরে, সর্দি-কাশি হয়।
৪। ভিটামিন ‘ডি’ শিশুদের রিকেটস রোগ হয়
৫। ভিটামিন ‘ই’ রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।
৬। ভিটামিন ‘কে’ কেটে গেলে সহজে রক্তপাত বন্ধ হয় না।

*****************************


https://www.google.com.bd/?gws_rd=cr,ssl&ei=RDuQU8iLH468uASlhYLQBQ#q=%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9A+%E0%A6%AC%E0%A6%BE+%E0%A6%B6%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%BE
গরু ঘাস খায়, কিন্তু মানুষ ঘাস খায়না কেন ?
মনে হয়তো প্রশ্ন আসতে পারে যে গরু ঘাস খায়, কিন্তু মানুষ ঘাস খায়না কেন?
অনেকে বলতে পারেন এর কারণেই মানুষ ও গরুর মধ্যে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। ঘাস তো প্রকৃতিরই সৃষ্টি। তাহলে মানুষ আলু খায় কিন্তু কেন ঘাস খায়না? আসুন জেনে নেই মূল ঘটনা।
উদ্ভিদ জগতের প্রধান দুটি পলিস্যাকারাইড হল স্টার্চ বা শর্করা ও সেলুলোজ। উদ্ভিদ এ দুটি পলিস্যাকারাইড সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া দ্বারা প্রস্তুত করে থাকে।
এবার আসুন জেনে নিই স্টার্চ সম্পর্কে।
আমাদের খাদ্যের প্রধান উপাদান হল স্টার্চ।

মনে হয়তো প্রশ্ন আসতে পারে যে গরু ঘাস খায়, কিন্তু মানুষ ঘাস খায়না কেন?
অনেকে বলতে পারেন এর কারণেই মানুষ গরুর মধ্যে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় ঘাস তো প্রকৃতিরই সৃষ্টি তাহলে মানুষ আলু খায় কিন্তু কেন ঘাস খায়না? আসুন জেনে নেই মূল ঘটনা
উদ্ভিদ জগতের প্রধান দুটি পলিস্যাকারাইড হল স্টার্চ বা শর্করা সেলুলোজ উদ্ভিদ দুটি পলিস্যাকারাইড সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া দ্বারা প্রস্তুত করে থাকে
এবার আসুন জেনে নিই স্টার্চ সম্পর্কে
আমাদের খাদ্যের প্রধান উপাদান হল স্টার্চ এবং স্টার্চের ৎস হল চাল, গম, ভূট্টা, গোল আলু বার্লি আর সেলুলোজ!!!
উদ্ভিদ কোষের প্রাচীর সেলুলোজ দ্বারা গঠিত উদ্ভিদ কাণ্ডের বেশিরভাগই সেলুলোজ যেমনঃ ঘাস
স্টার্চ সেলুলোজ উভয়েরই কাঠামোগত উপাদান হল D-গ্লুকোজ
তবে সেলুলোজ প্রায় 300-3000 D-গ্লুকোজ একক β-গ্লাইকোসাইড বন্ধন দ্বারা যুক্ত থাকে
মানুষ যখন খাদ্য হিসেবে স্টার্চ জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করে, তখন মানুষের পরিপাকতন্ত্রে নিঃসৃত এনজাইম স্টার্চ অণুর α-গ্লাইকোসাইড বন্ধন ভাঙতে পারে ফলে মানুষ স্টার্চ হজম করতে পারে কিন্তু সেলুলোজের (যেমনঃ ঘাস) β-গ্লাইকোসাইড বন্ধন ভাঙতে পারেনা তাই মানুষ সেলুলোজ হজম করতে পারেনা
অপরদিকে র্তণভোজী প্রাণী যেমনঃ গরু, ছাগল যখন সেলুলোজ গ্রহন করে, তাদের অন্তঃস্থ অণুজীব β-গ্লুকোসিডেন্স নামক এনজাইম দ্বারা সেলুলোজের β-গ্লাইকোসাইড বন্ধনকে ভাঙতে পারে এজন্য তৃণভোজী প্রাণী সেলুলোজ (যেমনঃ ঘাস) হজম করতে পারে

####################################################

খেয়াল করলে দেখা যায় মেয়েরা কোমরে পানিভর্তি কলসি নিতে পারে। নিয়ে হাটতে পারে খুব সাবলিল ভাবে কিন্তু ছেলেরা তা পারে না । কারণ কী?
নারী পুরুষের কোমরের নিচে যে হাড় থাকে তার নাম পেলভিস । নারী-পুরুষের পুরো কংকালের মাঝে একমাত্র পেলভিস ছাড়া সবই দেখতে এক রকম। এই পেলভিসটাই নারী কংকাল থেকে পুরুষ কংকাল কে আলাদা করে দেয়। প্রাণিবিজ্ঞানের স্যারেরা এভাবেই শিখিয়েছিলেন একটা কংকাল নারী না পুরুষ সেটা কী করে বুঝতে হয়। তো মেয়েদের পেলভিস থাকে ছেলেদের পেলভিসের তুলনায় একটু চওড়া । পেলভিস চওড়া হবার কারনে মেয়েরা খুব সহজে কোমরে কলসি নিতে পারে।

http://admin.zero2inf.com/upload_pic/2013/April/resize_1366155680.jpgপানিভর্তি বিপুল ওজনের কলসি নিয়ে খুব সাবলিলভাবেই হেটে যেতে পারে। পেলভিস চউড়া হবার কারণেই মেয়েদের নিতম্ব তুলনামুলকভাবে একটু ভারি হযে থাকে । তা ছাড়া ভারসাম্যের ও একটা ব্যাপার আছে। মেয়েদের এমন বিশেষ গঠনের কারণে খুব সহজেই ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে। কোমরে কলসি নেয়ার ফলে তার ভরকেন্দ্র (সেন্টার অব গ্রেভিটি) নড়ে যায় যা ভারসাম্যহীনতার কারণ ।

শরীর বাঁকা করে এবং অন্য হাতকে প্রসারিত করে ভরকেন্দ্র দু~পায়ের মাঝ বরাবর নিয়ে আসে যার ফলে সাবলিল ভাবে হাটা যায়।
ভরকেন্দ্র জিনিসটাই এমন যে সেটা যদি দু'পাযের মাঝ বরাবর থেকে সরে যায় তবে হাঁটা যাবে না। করলে রযেছে পতনের সম্ভাবনা। তাই ছেলেদের মাঝে এমনটা দেখাও যায়না। ছেলেরা কলসি বহন করলেও হাতের মাঝে কিংবা মাথায় কিংবা কাঁধের উপর নিতে দেখা যায়।

********************************




###########################################
############################################

ভালোবাসার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কী? প্রেম বলতে কী বুঝি?


লেখকঃ জিরো টু ইনফিনিটি

.
আমাদের নিয়মিত লেখক সাইদ আনোয়ার অনুজ জিরো টু ইনফিনিটির প্রশ্নোত্তর পেজে এই প্রশ্নটি রেখেছিলেন। হয়তো সদ্য প্রেমে পড়েছেন বলে! যাই হোক তাঁর সেই প্রশ্নের জবাবে কে কী বলেছেন।
এখানেও যথারীতি হাজির জনাব সিরাজাম মুনির শ্রাবণ। সর্বজ্ঞানের অধিকারী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এই ছেলেটাকে এ কালের এরিস্টটল বলা চলে। হেন কোনো বিষয় নেই তিনি অংশগ্রহণ করেন না। তো দেখা যাক, এই বিষয়ে তাঁর বক্তব্য কী!
‘ভালবাসা!
রসের খেলা! সব রসের খেলা!
আহারে বেচারা হরমোন! রসায়ন! রসায়নিক পদার্থ! নিউরোট্রান্সমিটার! আর মিস্টার ডোপামিন! এবং মিস্টার সেরেটোনিন!!


আচ্ছা অনেক ঠাট্রা হলো। এবার একটু সিরিয়াস হই!
বিজ্ঞানের ভাষায়, প্রেম বা ভালবাসা হলো আমাদের মস্তিষ্কের থ্যালামাসের একধরনের রাসায়নিক অবস্থা | যার জন্য একাধারে দায়ী আমাদের জিন। প্রেমের প্রথমদিকে হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, গাল – কান লাল হয়ে যাওয়া, হাতের তালু ঘেমে যাওয়ার উপসর্গ গুলো দেখা যায়; বিজ্ঞানীদের মতে সেসবের পেছনে দায়ী হলো ডোপামিন, নরেপিনেফ্রিন হরমোন।
মাঝে মাঝে দেখা যায় কারো কারো প্রেমের আবেগ কমে যায়। তার কারণ মস্তিষ্ক থেকে ওই হরমোনগুলো নিঃসৃত হয় না। আবার এও দেখা গেছে যে কোনো মানুষের শরীরে কৃত্রিমভাবে এই হরমোন রসায়ন প্রয়োগ করা হলে তাদের মাঝে সেই প্রেমের অনুভূতি হয়। প্রেম ভালবাসা যাই বলি না কেন স্বর্গীয় ফরগীয় যাই বলি না কেন রে ভাই সবই রসায়নের রসের খেলা! এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য দেখতে পারেন জিরো টু ইনফিনিটির জুলাই ’১৩ সংখ্যাটি।
ডাঃ. মোহিত কামালের দারুণ একটা বই আছে "মানব মনের গতি প্রকৃতি"। ওখানে দারুণ করে ভালবাসা সহ মনের অন্যান্য রাসায়নিক ব্যাবচ্ছেদ করা হয়েছে’।


তো শ্রাবণের রসায়ন থেকে ঘুরে আসা যাক আরো গভীরে। দেখা যাক প্রেম ভালোবাসা নিয়ে শ্রদ্দেয় অভিজিৎ রায় তাঁর ‘ভালোবাসা কারে কয়’ বইতে কী বলেছেন।


দুই প্রেমিক প্রেমিকার সদা ঘোর লাগা অবস্থার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কি? এ নিয়ে রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ত্ববিদ হেলেন ফিশার এবং স্নায়ুচিকিৎসক লুসি ব্রাউন, আর্থার অ্যারোন প্রমুখ বিজ্ঞানীরা প্রায় ৪০ জন প্রেমে পড়া ছাত্রছাত্রীদের উপর এক গবেষণা চালান। তাদের গবেষণার ধরনটি ছিলো এরকমের। প্রেমিক-প্রেমিকাদের সামনে তাদের ভালবাসার মানুষটির ছবি রাখা হল, এবং তাদের মস্তিষ্কের ফাংশনাল এমআরআই (fMRI) করা হলো।  দেখা গেলো, এ সময় তাদের মস্তিষ্কের ভেন্ট্রাল এবং কডেট অংশ উদ্দিপ্ত হচ্ছে, আর সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে ডোপামিন নামক এক রাসয়ায়নিক পদার্থের নিঃসরণ ঘটছে। অবশ্য কারো দেহে ডোপামিন বেশি পাওয়া গেলেই যে সে প্রেমে পড়েছে তা নাও হতে পারে। আসলে নন-রোমান্টিক অন্যান্য কারণেও কিন্তু ডোপামিনের নিঃসরণ বাড়তে পারে।  যেমন, গাঁজা কিংবা কোকেইন সেবন করলে। সেজন্যই আমরা অনেক সময়ই দেখি ভালবাসায় আক্রান্ত মানুষদের আচরণও অনেকটা কোকেইনসেবী ঘোরলাগা অবস্থার মতোই টালমাটাল হয় অনেক সময়ই।

তবে ভালবাসার এই রসায়নে কেবল ডোপামিনই নয় সেই সাথে জড়িত থাকে অক্সিটাইসিন, ভেসোপ্রেসিনসহ নানা ধরনের বিতিকিচ্ছিরি নামের কিছু হরমোন। বিজ্ঞানীরা বলেন, এই হরমোনগুলো নাকি ‘ভালবাসা টিকিয়ে রাখতে’ মানে প্রেমিক প্রেমিকার বন্ধন দীর্ঘদিন টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করে। এমনকি বিজ্ঞানীরা এও বলেন কেউ মনোগামী হবে না বহুগামী হবে – তা অনেকটাই কিন্তু নির্ভর করছে এই হরমোনগুলোর তারতম্যের উপর। দেখা গেছে রিসেপটর বা গ্রাহক জিনে ভেসোপ্রেসিন হরমোনের আধিক্য থাকলে তা পুরুষের একগামী মনোবৃত্তিকে ত্বরান্বিত করে। বিজ্ঞানীরা প্রেইরি ভোলস আর মোন্টেইন ভোলস নামক দুই ধরনের ইঁদুরের উপর গবেষণা চালিয়ে তারা দেখেছেন, একগামিতা এবং বহুগামিতার মত ব্যাপারগুলো অনেকাংশেই হরমোনের ক্রিয়াশীলতার উপর নির্ভরশীল। এমনকি বিজ্ঞানীরা কৃত্রিম উপায়ে ভেসোপ্রেসিনের প্রবাহকে আটকে দিয়ে একগামী ইদুঁরকে বহুগামী, কিংবা অতিরিক্ত ভেসোপ্রেসিন প্রবেশ করিয়ে বহুগামী ইঁদুরকে একগামী করে ফেলতে সমর্থ হয়েছেন।
কিন্তু কথা হচ্ছে তীব্র প্রেমের সময়গুলোতে কেন দ্বিগবিদ্বিগশুন্য নেশার ঘোর লাগা ভাবের উদয় হয়, কেন বুদ্ধিশুদ্ধি একেবারেই লোপ পায়? কেনই বা ভয়ভীতি উবে যায় রাতারাতি? এ সময় বন্ধুদের পরামর্শও মাথায় ঢোকে না। যদি কেউ কুদ্দুসকে বলতো ‘ঐ ব্যাটা কুদ্দুস – সিমির পিছে অযথা ঘুইরা লাভ নাই, ওর জগৎ আর তোর জগৎ আলাদা…’ কুদ্দুসের মাথার দেওয়াল সেই তথ্য পৌঁছুবেই না। কিন্তু কেউ যদি আবার উলটো বলে যে,‘সিমি আজকে তোর সম্বন্ধে জানতে চেয়েছিলো …’ সাথে সাথেই কুদ্দুসের মনে হবে এ যেন ‘মক্কা বিজয়’! আসলে তীব্রপ্রেমের সময়গুলোতে কেন মানুষজনের বুদ্ধিসুদ্ধি লোপ পায় তার একটা ভালো ব্যাখ্যা আছে বিজ্ঞানীদের কাছে। আমাদের মস্তিস্কে অ্যামাগডালা বলে একটি বাদাম আকৃতির প্রত্যঙ্গ আছে। সেটা এবং মস্তিস্কের কর্টেক্সের কিছু এলাকা আমাদের ভয়-ভীতি নিয়ন্ত্রণ করে, অকস্ম্যাৎ বিপজ্জনক পরিস্থিতি আসলে আমাদের আগাম সতর্ক করে দিতে পারে। দেখা গেছে প্রেমের রোমাঞ্চকর এবং উত্তাল সময়গুলোতে মস্তিকের এ এলাকাগুলোর কাজ একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ভয় ভীতি কিংবা ‘ক্রিটিকালি’ চিন্তাকরার ব্যাপার স্যাপারগুলো পুরোপুরি লোপ পায় তখন। দুর্মুখেরা বলে, বেশি পরিমাণে গাঁজাভাঙ খেলেও নাকি ঠিক এমনটিই হয়’।

আজকে এই পর্যন্তই থাক। ভালোবাসার আরো রসায়ন নিয়ে আমরা হাজির হবো আরেকদিন।
সুত্রঃ http://bn.zero2inf.com/answers/1733
http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=13650
সম্পাদনায়ঃ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, সম্পাদক, জিরো টু ইনফিনিটি।  



No comments:

Post a Comment