Thursday, April 4, 2013

Sura Hashr Er Last 3 Ay-at




সুরা হাশরের সর্বশেষ তিন আয়াত :
ফজিলত :
যে ব্যক্তিআউজুবিল্লাহিস সামীয়িল আলীমি মিনাশ শাইতানির রাজীমপাঠ করার পর সুরা হাশরের সর্বশেষ তিন আয়াত পাঠ করিবে আল্লাহ তায়ালা তাহার জন্য ৭০ হাজার ফেরেশতা নিযুক্ত করে দিবেন,তারা সন্ধ্যা পর্যন্ত পাঠকারীর জন্য রহমতের দোয়া করবে। যেদিন এই আয়াত তিনটি পাঠ করিবে সেদিন পাঠকারী মারাগেলে শহীদের মউত হাসিল করিবে। যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় এভাবে পাঠ করিবে সেও একই মর্তবা লাভ করিবে। (সুবহানআল্লাহ)

(
সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং- ২৯২২ / ৩০৯০, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-৩৫৯৭, আত তারগীব ওয়াত তারহীব, হাদীস নং-৩৭৯ , সুনানে দারেমী, হাদীস নং-৩৪২৫, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-২৫০২, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২০৩০৬, মুসনাদুশ সাহাবাহ, হাদীস নং-২৯৭৯৫, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদীস নং-২১৫৭)

হাদীসটি হাসান পর্যায়ের হাদীস

Wednesday, April 3, 2013

Subhanallahi wabihamdihi Subhanallahil Azeem

Subhanallahi wabihamdihi Subhanallahil Azeem

[হাদীসে কুদসী:: বুখারি ও মুসলিম]



আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন:
“আল্লাহ বলেন: আমার বান্দা যখন কোন পাপ করার ইচ্ছা করে, তখন তোমরা (লেখক
ফেরেসতাগন) তা লিখ না যতক্ষণ না সে তা করে। যদি সে তা করে সমান পাপ লিখ। আর যদি
সে তা আমার কারণে ত্যাগ করে , তাহলে তার জন্য তা নেকি হিসেবে লিখ। আর যদি সে
নেকি করার ইচ্ছা করে কিন্তু সে তা করেনি, তার জন্য তা নেকি হিসেবে লিখ। অতঃপর
যদি সে তা করে তাহলে তার জন্য তা দশগুণ থেকে সাতশো গুণ পর্যন্ত লিখ”। [হাদীসে
কুদসী:: বুখারি ও মুসলিম]
 
 

Monday, April 1, 2013

আযানের ধ্বনিতে ফোটে আযান ফুল!

অনলাইন ডেস্ক:




প্রকৃতির অনেক অদ্ভুত আচরণ আছে। যার বৈজ্ঞানিক তেমন কোনও ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। আর প্রকৃতির আচরণ যদি ধর্মীয় কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকে তবে বলতেই হয়, সৃষ্টিকর্তার কী অপার মহিমা! তেমনই একটি ফুল আযান ফুল। আযানের ধ্বনিতে ফোটে এই ফুল।
সিএনএন'র রিপোর্ট বলা হয়েছে, আজারবাইজানের এক মুসলিম গ্রামে মোহাম্মদ রহিমের বাগানে এক ধরনের ফুল রয়েছে, যা আযানের ধ্বনিতে ফোটে। এই ফুল প্রতি পাঁচ ওয়াক্তে আযানের ধ্বনিতে ফোটে। আযানের পর আবার বন্ধ হয়ে যায়।
আযানের প্রতিটি বাণীর ছন্দে ফুলগুলো প্রস্ফুটিত হয়। ফজর, যোহর, আসর, মাগরিব এবং এশা প্রত্যেক ওয়াক্তে আযানের বাণী যেন ফুলগুলোকে জাগ্রত করে ইবাদতের জন্য। আর তাই ফুলটির নাম দেওয়া হয়েছে আযান ফুল। পৃথিবীর হয়তো বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে রয়েছে এই বিরল প্রজাতির আযান ফুল।

Kaja Prayer



কাজা নামাজ

ওয়াক্ত মতো নামাজ না পড়লে পরে নামাজ কাজা পড়তে হয়। নামাজ কাজা ইচ্ছাকৃতও হতে পারে। অনিচ্ছাকৃতও হতে পারে। আবার শয়তান ও নফসের
কুমন্ত্রণায়ও নামাজ কাজা হতে পারে।
যদি কারো অন্তরে এরকম বিশ্বাস থাকে যে, অবশ্যই নামাজ আল্লাহ্পাকের
হুকুম তারপরও যে নামাজ পড়ে না সে মহা গোনাহ্গার। আর যে ব্যক্তি নামাজ
আল্লাহ্তায়ালার হুকুম এ কথা অন্তরে ও মুখে স্বীকার না করে সে ব্যক্তি প্রকৃতই
কাফের।
নামাজ কাজা হলে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব নামাজের কাজা আদায় করে নেয়া
উচিত।
এ সম্পর্কে নিচে বর্ণিত নিয়মগুলো জেনে নেয়া প্রয়োজন।
১. যদি কোনো এক ওয়াক্তের নামাজ কাজা হয়, তবে পরবর্তী ওয়াক্তের
নামাজের আগেই কাজা পড়ে নিতে হবে। যেমন- যদি কারো এশার নামাজ অথবা
বিতির নামাজ কাজা হয়, তবে ফজরের নামাজের আগেই কাজা আদায় করে নিতে
হবে। এশা বা বিতিরের নামাজ কাজা না পড়ে ফজর পড়লে ফরজ নামাজ হবে
না।
এরকম অবস্থায় এশা ও বিতিরের নামাজের কাজা আদায় করে নিয়ে পুনরায়
ফজর নামাজ পড়তে হবে। এরকম যদি জোহর কাজা হয়, তবে আসর নামাজের
আগে, আসর কাজা হলে মাগরিবের নামাজের আগে এবং মাগরিব কাজা হলে
এশার নামাজের আগে পড়ে নিতে হবে।
২. কাজা না পড়েও ওয়াক্তিয়া নামাজ পড়লে নামাজ হয়ে যায় এরকম
অবস্থা ৩টি যেমন (১) কাজা নামাজ আদায় করতে গিয়ে যদি ওয়াক্তিয়া নামাজও
কাজা হবার সম্ভাবনা থাকে (২) কাজা নামাজের কথা মনে না থাকলে (৩) পাঁচ
ওয়াক্তের বেশী নামাজ কাজা হয়ে গেলে।
৩. ফজরের নামাজ পড়বার সময় কোনো ব্যক্তি যদি দেখে তার এশার
নামাজ ও বিতির কাজা আছে। অথচ এশা ও বিতির কাজা পড়ে নিয়ে ফজর
পড়তে গেলে ফজর নামাজের সময় চলে যায়, তখন সে ফজরের নামাজ পড়ে
নিলে নামাজ হয়ে যাবে।
৪. জোহরের নামাজ পড়তে পড়তে অথবা নামাজ পড়া শেষে যদি কারো
হঠাৎ মনে পড়ে তার ফজরের নামাজ কাজা ছিলো। এমতাবস্থায় তার জোহরের
নামাজ হয়ে যাবে। পরে শুধু ফজরের কাজা পড়তে হবে।
৫. যদি কারো পাঁচ ওয়াক্তের বেশী নামাজ কাজা হয়ে যায় তখন কাজা
নামাজ আদায় না করেও যদি কেউ ওয়াক্তিয়া নামাজ পড়তে থাকে, তবে তার
নামাজ হয়ে যাবে। তবে কাজা নামাজ এভাবে ফেলে না রেখে যত তাড়াতাড়ি
পারা যায়, আদায় করে নিতে হবে।

. কাজা হওয়া নামাজের শুধু ফরজ এবং বিতিরের কাজা পড়তে হয়। সুন্নত
নামাজের কাজা পড়তে হয় না।
শুধু ফজরের নামাজের কাজা দুপুরের আগে
পড়লে সুুন্নতেরও কাজা আদায় করে নেয়া উচিত। যদি জোহরের ওয়াক্ত এসে
যায়, তবে শুধু ফরজের কাজা পড়ে নিবে।

৭. যদি কেউ জুমআর নামাজ না পায়, তবে তাকে জোহর পড়ে নিতে হবে।
যদি ঈদের নামাজ না পায়, তবে কাজা পড়তে হবে না।
৮. জোহরের ফরজের জামাতে শামিল হওয়ার জন্য যদি কেউ চার রাকাত
সুন্নত নামাজ পড়ার সময় না পায়, তবে জামাত শেষে দুই রাকাত সুুন্নতের পর
বাদ পড়ে যাওয়া চার রাকাত সুন্নত পড়ে নিতে পারবে।
৯. যদি ফজরের জামাতে শামিল হতে গিয়ে কারো ফজরের দুই রাকাত
সুন্নত বাদ পড়ে যায়, তবে বেলা ওঠার পরে বাদ পড়ে যাওয়া সুন্নত পড়ে নিতে
পারবে।
১০. নফল নামাজ শুরু করার পর যদি কেউ নামাজ ছেড়ে দেয়, তবে এই
নামাজের কাজা পড়তে হবে। কারণ নিয়ত করে নফল শুরু করলে তা আদায় করা
ওয়াজিব হয়ে যায়। আর ওয়াজিব নামাজের কাজাতো আদায় করতেই হবে।