[[
আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ভেষজ উদ্ভিদের মাঝে তুলসী গাছের
নামটা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। অনেকের ধারণা শুধুমাত্র পূজা-অর্চনাতেই তুলসী
পাতার ব্যবহার হয়ে থাকে, তবে ব্যাপার আসলে তা নয়। আয়ুর্বেদেও তুলসী
পাতাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন স্থান দেয়া হয়েছে। তুলসী পাতার মহা গুনী এই
রুপটাকে তুলে ধরতেই আজকের পোষ্ট। আসুন আরেকটু সমৃদ্ধ করি নিজের জানার
পরিধি...]]
তুলসী পরিচিতিঃ নামঃ বাংলাঃ তুলসী বৈজ্ঞানিক নামঃ Ocimum sanctum গোত্রঃ Lamiaceae পরিচিতিঃ
সাধারনত ভেজা মাটিতে তুলসী গাছের জন্ম হয়ে থাকে । তুলসী ঔষধি ও চিরহরিৎ
গুল্মজাতীয় গাছ। পূর্ণাঙ্গ উদ্ভিদ ৭৫-৯০ সে.মি. হয়। শাখা-প্রশাখা শক্ত ও
চতুষ্কোনাকার। পাতা ২ থেকে ৪ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। তবে এর পাতার
কিনারা খাঁজকাটা। তুলসী গাছের ফুল, ফল এবং পাতার একটি ঝাঁজালো গন্ধ আছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের সর্বত্র এ গাছ দেখতে পাওয়া যায়। এ গাছের গুণাগুণের কথা
বিভিন্ন প্রাচীন গ্রন্থেও উল্লেখ আছে।
তুলসী মূলত সবুজ রঙের গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। তুলসীগাছের পাতা, বীজ,
ডালপালা সবকিছুই মানুষের উপকারে লাগে। আশেপাশে খুব সহজলভ্য এই উদ্ভিদের
সদ্ব্যবহার করতে পারলে রেহাই পেতে পারি অসংখ্য সমস্যা থেকে। চলুন দেখে নেই
তুলসী পাতা আমাদের কি ধরনের সুবিধা দিয়ে থাকে…
চর্মরোগে তুলসী পাতা দূর্বাঘাসের ডগার সঙ্গে বেটে আক্রান্ত স্থলে মাখলে ভালো হয়ে যায়।
তুলসী পাতা গরম পানিতে সেদ্ধ করে সেই পানিতে গড়গড়া করলে মুখ ও গলার রোগজীবাণু মরে যায়।
জ্বর হলে পানির মধ্যে তুলসী পাতা, গোল মরিচ এবং মিশ্রী মিশিয়ে ভাল করে
সেদ্ধ করে নিন ৷ অথবা উপরিউক্ত তিনটে দ্রব্য মিশিয়ে বড়ি তৈরি করুন ৷
দিনের মধ্যে তিন-চার বার ঐ বড়িটা পানি দিয়ে সেবন করুণ । ইনশা আল্লাহ,
জ্বর খুব তাড়াতাড়ি সেরে যাবে।
তুলসী পাতা কয়েক ফোঁটা মধু বা লেবুর রস মিশিয়ে চিবিয়ে খেলে ফুসফুস, কণ্ঠনালি, দাঁতের গোড়া, মাড়ি ভালো থাকে।
তুলসী পাতার রস পেট ব্যথা, পেটের বা পাকস্থলীর রোগজীবাণুকে দূর করে,
রক্ত পরিষ্কার করে এবং তারুণ্য ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কাশি হলে তুলসী পাতা এবং আদা একসাথে পিষে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খান ৷ এতে উপকার পাবেন ৷
ডাইরিয়া হলে ১০ থেকে ১২ টি পাতা পিষে রস খেয়ে ফেলুন।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে দিনে ৪-৫ বার তুলসী পাতা চাবান। দুর্গন্ধ চলে যাবে।
ম্যালেরিয়া জ্বরে তুলসী পাতা খেলে জ্বর দ্রুত ভালো হয়।
ত্বকের লাবণ্য রক্ষার্থে, অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য, ক্ষুধামান্দ্য, বদহজম দূর করতে তুলসী পাতার ভূমিকা অপরিহার্য।
আপনার শরীরে যদি কোনরকম ঘা যদি থাকে তাহলে তাহলে তুলসী পাতা এবং ফিটকিরি একসঙ্গে পিষে ঘা এর স্থানে লাগান।
শরীরের কোন অংশ যদি পুড়ে যায় তাহলে তুলসীর রস এবং নারকেলের তেল
লাগান, এতে জ্বালাপোড়া কমে যাবে। পোড়া জায়গাটা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে
এবং পোড়া দাগ ওঠে যাবে।
তুলসী চা শারীরিক ও মানসিক অবসাদ দূর করে, মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সরবরাহ
বাড়িয়ে দেয়। ফলে মানুষের কর্মক্ষমতা বেড়ে যায়, রোগ-প্রতিরোধশক্তি
দ্বিগুণ হয়।
উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল কমিয়ে হূৎপিণ্ডের রক্ত সরবরাহের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
হাড়ের গাঁথুনিতে ব্যথা দূর করে এবং শরীরের কাটাছেঁড়া দ্রুত শুকাতে অবদান রাখে। তুলসীগাছের বীজও যথেষ্ট দরকারি।
তুলসীর বীজ শুকিয়ে মিহি করে খেলে প্রস্রাবের ইনফেকশনজনিত সমস্যা ভালো হয়, জননতন্ত্রের অসুবিধা দূর হয়।
পুরুষত্বহীনতা দূরীকরণে এই পাতার অবদান রয়েছে।
ত্বকের রোশনি বাড়ানোর জন্য, ত্বকের বলীরেখা এবং ব্রন দূর করার জন্য তুলসী পাতা পিষে মুখে লাগাতে পারেন।
প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া দূর করতে হলে তুলসী পাতার রস ২৫০ গ্রাম দুধ এবং ১৫০ গ্রাম জলের মধ্যে মিশিয়ে পান করুন।
ঠান্ডা মৌসুমে ছোট বাচ্চাদের তুলসী পাতা খাওয়ালে কৃমি দূর হবে এবং মাংসপেশি ও হাড় হবে শক্তিশালী।
যদি কখনও বমি কিংবা মাথা ঘোরা শুরু করে, তাহলে তুলসী রসের মধ্যে গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
সকালবেলা খালি পেটে তুলসী পাতা চিবিয়ে রস পান করলে খাবারের রুচি বাড়ে।
নিয়মিত তুলসীর রস পানে হৃদরোগেও উপকার পাওয়া যায়।
চোখের সমস্যা দূর করতে রাতে কয়েকটি তুলসী পাতা পানিতে ভিজিয়ে রেখে ওই পানি দিয়ে সকালে চোখ ধুয়ে ফেলুন।
বহুবিধ ব্যবহারের জন্য তুলসী পাতাকে বলা হয় ‘কুইন অব হার্ব’ বা ওষধি
গাছের রানি। এই ওষধি পাতা শুধু শীতকাল নয়, ১২ মাসই ব্যবহারের উপযোগী।
তুলসীগাছের বাতাসও যথেষ্ট উপকারী। তাই সম্ভব হলে বাসার ব্যালকনিতে বা
ফুলের টবে অন্তত একটি তুলসীগাছ লাগাতে পারেন। এতে পূরন হবে আপনার ভেষজ
চাহিদা বাড়বে সৌন্দর্য্যও।
http://ajker24.com/permalink/3680.html
ডায়াবেটিকস চিকিৎসায়
তুলসি পাতার অবদান
(আজকের ২৪) আদিকাল থেকেই মানুষ অসুখে-বিসুখে প্রাকৃতিক উপাদান বিশেষভাবে
ভেষজ পদার্থ ব্যবহার করে আসছে। আজও গ্রাম বাংলার শতকরা ৯০ ভাগ এবং শহরের শতকরা ৬০
ভাগ লোক ভেষজ চিকিৎসা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেসব দেশে ফার্মেসিতে একটি
কর্নারই থাকে প্রাকৃতিক ঔষধের জন্য।
সময়ের বিবর্তনের সাথে সাথে এসবভেষজ উদ্ভিদের অনেকগুলোই লোকজ
বা আঞ্চলিক-ভাবে (folkloric reputation) স্বীকৃতি পেয়েছে।ডায়াবেটিকস নিরাময়ে ভেষজ
পদ্ধতি চিকিৎসার গুরুত্ব রয়েছে। এবং ভেষজ চিকিৎসার সাহায্যে ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণ
করা যায়।
তুলসিপাতার অনেক গুন। অনেক এ তুলসি গাছ বাড়ির উঠানে ও লাগায়। খুব কাশি হলে
তুলসিপাতার রস খুব এ কার্যকারী। এবার আসি ডায়াবেটিকস প্রসঙ্গে গবেষণাই দেখা গেছে
যে তুলসি পাতা বিবিধ-ভাবে ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
পাতার ৮০% অ্যালকোহল নির্যাস খাবারের সাথে এবং তুলসি পাতার গুড়া
পানিতে মিশিয়ে খাবার আগে খেতে হবে। এটি অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোষ থেকে ইনসুলিন
নিঃসরণের মাত্রা বৃদ্ধি করে। এটি কোষের ভিতরে শকরা প্রবেশ মাত্রা বাড়ায়।
খাদ্যনালী
থেকে শর্করার শোষণ বিলম্বিত করে। ইন্সুলিনের সংবেদনশীলতা বাড়ায়। যা ডায়াবেটিকস
নিয়ন্ত্রণ করে এবং ডায়াবেটিকস রোগীরা উপকৃত হয়।
বহুমূত্র রোগে ইসপগুল
(আজকের ২৪) ইসপগুল আঁশযুক্ত খাবার হওয়ায় বহুমূত্র রোগীদের জন্য এটি উপকারী হিসেবে বিবেচিত।
প্রচলিত নাম: ইসপগুল
ইংরেজি নাম: Wooly Plantain
ব্যবহার পদ্ধতি:
গরম পানিতে ইসপগুলের ভূষি ভিজিয়ে রেখে ৩ বেলা খাবারের সাথে খেতে হবে। খাদ্য আঁশ সমৃদ্ধ হওয়ায় ইসপগুলে ধরন-১ এবং ধরন-২ দুই ধরণের বহুমূত্র রোগীরা উপকৃত হতে পারেন।
সারাদিনের
কর্মব্যস্ত জীবন শেষে বাসায় ফিরেছেন? চোখে-মুখে ক্লান্তির ছাপ? রোদে পুরে
কালসিটে পড়ে গেছে ত্বকে? একদিনেই মনে হচ্ছে ১০ বছর বুড়িয়ে গেছেন?
সন্ধ্যায় প্রিয় মানুষটিকে দেওয়া শিডিউল বাতিল করতে মন চাইছে? মাত্র ৩০টা
মিনিট সময় বের করে নিন। তারপরেই দেখুন নিজেকে কতটা ঝকঝকে করে তুলতে
পারেন। ঘরোয়া উপকরণে চটজলদি তৈরি করে ফেলুন ফেসমাস্ক। উপকরণঃ
মধু ২ টেবিল চামচ
১ টি ডিমের সাদা অংশ
গোলাপজল পদ্ধতিঃ
প্রথমে
মধু এবং ডিমের সাদা অংশ একটি বাটিতে নিয়ে ভালোমত মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি
মুখে এবং গলায় আলতোভাবে লাগান। ২০ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
আগেই একটি পাত্রে গোলাপজল নিয়ে এতে কিছু তুলোর বল ভিজিয়ে ফ্রিজে রাখুন।
ফেইস মাস্কটি ধুয়ে ফেলার পর এই ঠাণ্ডা তুলোর বল পুরো মুখে বুলিয়ে নিন। দুটি
তুলোর বল চোখের ওপর রেখে দিন ১০ মিনিট। এরপর আবার মুখ ধুয়ে শুকিয়ে ত্বকে
লাগান ময়েসচারাইজার। এবার সাহস করে আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ান। দেখুন ৩০
মিনিট আগের আপনার সঙ্গে বর্তমানের কতটা ফারাক। চেহারায় নেই ক্লান্তির ছাপ।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বেড়ে গেছে অনেক।
Tips:
যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত তাঁরাও ভাবেন, ময়শ্চারাইজার লোশন তাঁদের জন্য নয়। এটিও
ঠিক নয়। তাঁরা পানিযুক্ত ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। তা না হলে ত্বক
রুক্ষ হয়ে যাবে।
দুই
লিটার পানির মধ্যে ৫০টি নিমপাতা সিদ্ধ করতে হবে। পাতাগুলো নরম ও বিবর্ণ না
হওয়া পর্যন্ত পানি ফুটাতে হবে। পানি সবুজ রং ধারণ করলে নামিয়ে বোতলে ঢেলে
রাখতে হবে। প্রতিদিন গোছলের পানিতে ১০০মিলি পরিমাণের নিমপাতার পানি মিশিয়ে
গোছল করলে চামড়ার ইনফেকশন দূর হবে। এছাড়া ব্রণ এবং হোয়াইট হেডস দূর হবে।
স্কিন টোনার
নিমপাতা
স্কিন টোনার হিসেবেও ব্যাবহার করা যায়। প্রতিরাতে তুলার নরম বল নিমপাতা
সেদ্ধ পানিতে ভিজিয়ে মুখে লাগাতে হবে। এতে ব্রণ, ক্ষত চিহ্ন, মুখের কালো
দাগ দূর হবে। একইভাবে চুলে ব্যাবহার করলে খুশকি এবং অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ
হবে।
ফেসপ্যাক
১০টি নিমপাতা ও একটি ছোট কমলা খোসা ছাড়িয়ে
অল্প পরিমাণ পানিতে সিদ্ধ করতে হবে। উপকরণগুলো মসৃণ করে পেস্ট তৈরি করতে
হবে। অল্প পরিমাণ মধু ও দুধ পেস্টে মেশাতে হবে। ফেসপ্যাকটি সপ্তাহে তিনবার
ব্যাবহার করা যাবে। এটি ত্বকের ব্রুণ, কালো দাগ, চেহারায় ক্ষতের গর্ত দূর
করবে। মধু এবং নিম উন্নতমানের ময়শ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।
কন্ডিশনার
নিমপাতা
সিদ্ধ পানি ও মধুর একটি পেস্ট তৈরি করে চুলে লাগান। এটি একটি ভালো
কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। এছাড়া খুশকি দূর করতেও কাজে লাগে।
নিমগাছের
বাকল ও শিকড় ঔষধি গুণসম্পন্ন। চুলের উকুন ও খুশকি দূর করতে এসব ব্যাবহার
করা যায়। নিমপাতা ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করতে পারে। চামড়ার ইনফেকশন রোধে
এছাড়া ব্রুণ, চুলকানি ও এলার্জি রোধে নিমপাতা কার্যকর।
নিমের প্রসাধনি
নিমের
তেল, সাবান, ট্যালকম পাউডার, শ্যাম্পু, লোশন, ক্রীম, টুথপেস্ট, পাতার
ক্যাপসুল বেশ প্রচলিত পণ্য। নিমের এসব পণ্য ত্বককে মসৃণ করে ও ইনফেকশনের
হাত থেকে দূরে রাখে।
Collect This Book :
http://quransunnahralo.wordpress.com/2014/03/01/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A5-%E0%A6%86%E0%A6%B2-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%B8%E0%A6%BE/
মিসরের খ্যাতনামা বিজ্ঞানী ড. রশীদ খলীফা কোরআন নিয়ে এক ব্যাপক গবেষণা
চালিয়েছেন। তিনি প্রাথমিকভাবে কোরআনের প্রতিটি অক্ষর যেভাবে কোরআনে
সন্নিবেশিত আছে সেভাবেই তাকে কম্পিউটারে বিন্যস্ত করেন। কোরআনে 114 টি
সূরার অবস্থান এবং 29 টি সূরা শুরুতে ব্যবহৃত ‘হরুফে মোকাত্তায়াত’ যে নিয়মে
বিন্যস্ত আছে সে নিয়মের ভিত্তিতে তিনি হিসাব করতে শুরু করেন। এতে করে
কোরআনের কিছু অলৌকিক তত্ত্ব তাঁর কম্পিউটার স্ক্রীনে ভেসে ওঠে। এ অলৌকিক
তত্ত্বের একটি হচ্ছে এই যে, সমস্ত কোরআন গণিতের এক রহস্যময় বন্ধনে আবদ্ধ
হয়ে আছে। কোরআনের সর্বত্র একটি অভিনব ও বিস্ময়কর গাণিতিক সংখ্যার জাল বোনা
রয়েছে। সমগ্র কোরআন যেন 19 সংখ্যাটির একটি সুদৃঢ় বন্ধন।
ইসলামিকনিউজ রিপোর্ট: হোমিওপ্যাথি
চিকিৎসা বিজ্ঞানের আবিষ্কারক ডা. স্যামুয়েল হানেমান ১৮৪৩ সনের ২ জুলাই
ফ্রান্সে ইন্তেকাল করেছিলেন। হোমিও চিকিৎসা বিজ্ঞানের আবিষ্কারক মহাত্মা
ডা. স্যামুয়েল হানেমানে তাঁর চির পরিচিত সমাজ খৃষ্টান ধর্ম ত্যাগ করার
কারণে ১৮৩৫ সনের জুন মাসে শান্তি ও নিরাপত্তার সন্ধানে পৈত্রিক দেশ জার্মান
ত্যাগ করে ফ্রান্সে হিজরত করেন স্ত্রী মাদাম মেলানীকে নিয়ে। হানেমান আর
জার্মানীতে ফিরে আসেননি। হানেমানের মৃত্যুর ৯দিন পর ১১ জুলাই দাফন করা হয়।
হানেমানের ইচ্ছা অনুযায়ী প্যারিসের মাউন্ট মারট্রির গোরস্থানে তাকে দাফন
করা হয়। হোমিও চিকিৎসার আবিষ্কারকের ১৭১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালনের আহবান
জানিয়েছেন হোমিও চিকিৎসকবৃন্দ। গীবতের পরিণাম
গীবত ইসলামি শরিয়তে হারাম ও কবিরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন,
وَيْلٌ لِكُلِّ هُمَزَةٍ لُمَزَةٍ ﴿1﴾
‘ধ্বংস তাদের জন্য, যারা অগ্র-পশ্চাতে দোষ বলে বেড়ায়।’(সূরা হুমাজাহ-১)
সূরা ফাততহর ১২ নং আয়াত
সূরা হুজরাতের ১২ নং আয়াত
***********************************
গীবতের পরিণাম
গীবত ইসলামি শরিয়তে হারাম ও কবিরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন,
وَيْلٌ لِكُلِّ هُمَزَةٍ لُمَزَةٍ ﴿1﴾
‘ধ্বংস তাদের জন্য, যারা অগ্র-পশ্চাতে দোষ বলে বেড়ায়।’(সূরা হুমাজাহ-১)
কেউ গীবত শুনলে তার অনুপস্থিত ভাইয়ের পক্ষ থেকে তা প্রতিরোধ করবে
সাধ্যমতো। আর যদি প্রতিরোধের শক্তি না থাকে তবে তা শ্রবণ থেকে বিরত থাকবে।
কেননা, ইচ্ছাকৃতভাবে গীবত শোনা নিজে গীবত করার মতোই অপরাধ। হাদিসে
আছে, সাহাবি মায়মুন রাঃ বলেন,
‘একদিন স্বপ্নে দেখলাম এক সঙ্গী ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে আছে এবং এক ব্যক্তি
আমাকে তা ভক্ষণ করতে বলছে। আমি বললাম, আমি একে কেন ভক্ষণ করব? সে বলল, কারণ
তুমি অমুক ব্যক্তির সঙ্গী গোলামের গীবত করেছ। আমি বললাম, আল্লাহর কসম আমি
তো তার সম্পর্কে কখনো কোনো ভালোমন্দ কথা বলিনি। সে বলল, হ্যাঁ, এ কথা ঠিক।
কিন্তু তুমি তার গীবত শুনেছ এবং সম্মত রয়েছ।’
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
মিরাজের সময় আমাকে এমন এক সম্প্রদায়ের কাছে নিয়ে যাওয়া হলো যাদের নখ
ছিল তামার। তারা তাদের মুখমণ্ডল ও দেহ আঁচড়াচ্ছিল। আমি জিবরীল আঃ-কে
জিজ্ঞাসা করলাম, এরা কারা? তিনি বললেন, এরা নিজ ভাইদের গীবত করত ও
ইজ্জতহানি করত। (মাজহারি)
আবু সায়িদ ও জাবের রাঃ থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
‘গীবত ব্যাভিচারের চেয়েও মারাত্মক গুনাহ। সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেন, এটা
কিভাবে? তিনি বললেন, ব্যক্তি ব্যভিচার করার পর তওবা করলে তার গোনাহ মাফ
হয়ে যায়। কিন্তু গীবত যে করে তার গোনাহ আক্রান্ত প্রতিপক্ষের ক্ষমা না
করা পর্যন্ত মাফ হয় না।’
সুতরাং এ কথা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হল যে, গীবত একটি জঘন্য পাপাচার। এ থেকে সবাইকে সতর্কতার সাথে বিরত থাকতে হবে।
যাদের দোষ বর্ণনা করা যায়
গীবত নিঃসন্দেহে হারাম। তারপরও যাদের দোষ বর্ণনা করা যায় তা হচ্ছে
· কোনো অত্যাচারীর অত্যাচারের কাহিনী প্রতিকারের আশায় বর্ণনা করা।
· সন্তান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে তার পিতা ও স্বামীর কাছে অভিযোগ করা।
· ফতোয়া গ্রহণ করার জন্য ঘটনার বিবরণ দেয়া ও- প্রয়োজন ও উপযোগিতার কারণে কারো দোষ বর্ণনা করা জরুরি।
· আবার যাদের স্বভাব গীবত করা তাদের সম্পর্কে অন্যদের সাবধান
করার জন্য তার দোষ বর্ণনা করা জায়েজ। যেমন উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রাঃ থেকে
বর্ণিত, তিনি বলেন,
‘একদা এক ব্যক্তি (মাখরামা ইবনে নওফেল) নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম -এর কাছে সাক্ষাতের অনুমতি প্রার্থনা করলেন। তখন তিনি বললেন,
তাকে আসার অনুমতি দাও, সে গোত্রের কতই না নিকৃষ্ট লোক। অতঃপর তিনি তার সাথে
প্রশস্ত চেহারায় তাকালেন এবং হাসিমুখে কথা বললেন। অতঃপর লোকটি চলে গেলে
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল!
আপনি তার সম্পর্কে এমন কথা বলেছেন, অতঃপর আপনিই প্রশস্ত চেহারায় তার প্রতি
তাকালেন এবং হাসিমুখে কথা বললেন। এ কথা শুনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বললেন, হে আয়েশা, তুমি কি কখনো আমাকে অশ্লীলভাষী পেয়েছ ?
নিশ্চয়ই কেয়ামতের দিন আল্লাহতায়ালার কাছে মর্যাদার দিক দিয়ে সর্বাধিক
নিকৃষ্ট সেই লোক হবে, যাকে মানুষ তার অনিষ্টের ভয়ে ত্যাগ করেছে। (বুখারি,
মুসলিম)
গীবত শব্দটি আরবী গায়বাহ শব্দের নামবাচক শব্দ।গীবতের অর্থ হল কুৎসা,
পরনিন্দা, পরচর্চা, পরোক্ষ নিন্দা ইত্যাদি। আর গায়বাহের অর্থ হল কুৎসা
রটনা করা বা নিন্দা করা।
গীবতের পারিভাষিক সংজ্ঞা
রাসূলুল্লাহ(সাঃ) একবার সাহাবীডের জিজ্ঞাসা করলেন গীবত কি জিনিস? সাহাবাগণ বললেন, তা আল্লাহ তার রাসূল ভাল জানেন? উত্তরে তিনি বললেন:
গীবত হল তোমার ভাইয়ের এমন দোষ তার অনুপস্থিতিতে বর্ণনা করা যা শুনলে তোমার
ভাই কষ্ট পাবে। যদি তা তোমার ভাইয়ের ভিতর থাকে তাহলে তা গীবত আর যদি তা
না থাকে তাহলে তা অপবাদ হবে। [মুসলিম, তিরমিযী, আবূ দাউদ]
ইব্রাহীম নখয়ী বলেন,
কারও দোষ-ত্রুটি থাকলে তা গীবত হয় আর তা না থাকলে তা হয় অপবাদ। [কিতাবুল আসার]
ইমাম আবূ রাগিব ইসফাহানী(রঃ) বলেন,
নিষ্প্রয়োজনে কোন ব্যক্তির দোষ বর্ণনা করাকে গীবত বলে।
ইবনুল আসীর বলেন,
কোন ব্যক্তির নামে অনুপস্থিতিতে তার তার দুর্নাম করলে যদিও সেই দুর্নাম যদি তার ভিতর থাকে তাই হল গীবত।
ইমাম নববী বলেন,
Google Search :
গীবত ও পরনিন্দা সম্পর্কে কুরআন
Nice Link :Gazzali
https://imti24.wordpress.com/tag/%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%87/
All hadis search Link(Search criteria) :
https://zamanlab.yarooms.com/schedule/daily?location=15863
Islamic view on Female Earning :
http://www.banglanews24.com/beta/fullnews/bn/370693.html
ইসলামের দৃষ্টিতে নারীর উপার্জন
মুফতি এনায়েতুল্লাহ, বিভাগীয় সম্পাদক, ইসলাম
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
x
নানাবিধ কারণে বর্তমানে নারীর উপার্জন বিষয়ে প্রচুর আলোচনা-সমালোচনা ও
তর্ক-বিতর্ক চলছে। অতি রক্ষণশীলরা নারীদের উপাজর্নের বিষয়টি এখনও মেনে নিতে
পারেননি। অবশ্য মধ্যপন্থীদের অভিমত হলো, নারী তার স্বকীয়তা, আলাদা
বৈশিষ্ট্য ও মান-সম্মান বজায় রেখে আয় উপার্জনের পথ বেছে নিতে পারবেন।
উদাহরণস্বরূপ তারা নবী (সা.)-এর আমলের বেশ কয়েকজন মহিলা সাহাবির কথা উল্লেখ
করেন। ওই সাহাবিরা মদিনার বাজারে বিভিন্ন ব্যবসা করত এমনকি অনেকে কৃষি
কাজও করেছেন। সেসব অবশ্য ভিন্ন প্রসঙ্গ।
একটি উন্নয়নশীল দেশ
বাংলাদেশ। বাংলাদেশের গার্মেন্টস কারখানাসহ অন্যান্য শিল্প-প্রতিষ্ঠানে
পুরুষের পাশাপাশি চল্লিশ লক্ষাধিক নারী কাজ করেন। এই কর্মজীবী নারীদের
উপার্জন সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে যথেষ্ট ভূমিকা রাখছে এটা অনস্বীকার্য।
ইসলাম
সর্বদা নারীদের শালীন পরিবেশে শিক্ষা, কাজ ও চলাফেরার কথা বলে। শরিয়ত
নির্ধারিত গণ্ডির মধ্যে থেকে নারীরা অবশ্যই শিক্ষা অর্জনসহ অর্থনৈতিক ও
সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে পারবে। ইসলাম কোথাও নারীকে বন্দি করে
রাখার কথা বলেনি। ইসলাম নারী শিক্ষার প্রতি যেমন গুরুত্বারোপ করেছে তেমনি
নারী-পুরুষের ভোটাধিকারেও কোনো ধরনের পার্থক্য সৃষ্টি করেনি। এমনকি ইসলাম
নারীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে কাজ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের অধিকারও
প্রদান করেছে।
কোরআনে কারিমের সূরা বাকারার ১৮৬ নম্বর আয়াতে বলা
হয়েছে, ‘আমি ব্যবসাকে হালাল করেছি এবং সুদকে হারাম করেছি।’ এই আয়াতে ব্যবসা
হালাল হওয়া এবং সুদ হারাম হওয়া নারী-পুরুষের জন্য সমভাবে প্রযোজ্য। একজন
পুরুষ হালাল পন্থায় যেসব ব্যবসা করতে পারবে। নারীও সে ধরনের ব্যবসা করতে
পারবে। সে বিবাহিত হোক কিংবা অবিবাহিত হোক। সে তার অর্জিত সম্পদের ওপর
পূর্ণ নিয়ন্ত্রণকারী। সে কোনো বিধিনিষেধ ছাড়াই তার সম্পত্তির ব্যাপারে সব
ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে, যা একজন পুরুষের জন্যও প্রযোজ্য।
কোরআন
ও হাদিসের কোনো স্থানে নারীর কাজকর্মের ব্যাপারে কোনো বিধিনিষেধ আরোপিত
হয়নি। শুধু দু’টি বিষয়ের প্রতি সঙ্গত কারণে নির্দেশ দিয়েছে। শর্ত দু’টি হলো
প্রথমত, ব্যবসা হতে হবে হালাল পদ্ধতিতে ও শরিয়ত নির্ধারিত সীমারেখার
মধ্যে। দ্বিতীয়ত, পর্দা রক্ষা করতে হবে। তাছাড়া ইসলাম নারীদের সৌন্দর্য
প্রদর্শনকারী কোনো পেশায় নিয়োজিত হতেও নিষেধ করেছে।
এ ছাড়া শরিয়ত
অনুমোদিত সব ব্যবসা বা কাজ করার অনুমতি দিয়েছে ইসলাম। এখানে ভুল বোঝাবুঝির
কোনো অবকাশ নেই। এখানে একটি কথা বলে রাখা ভালো, ইসলাম কিন্তু নারীদের কোনো
আয়-রোজগারের দায়িত্ব দেয়নি। দেয়নি পরিবার লালন-পালন ও ভরণ-পোষণের কর্তব্য।
ইসলামের পারিবারিক ব্যবস্থায় গোটা পরিবারের অর্থনৈতিক প্রয়োজন ও চাহিদা
পূরণের দায়িত্ব একমাত্র পুরুষের।
ইসলামের পারিবারিক ব্যবস্থায় নারীর
আয়ের অনেক উৎস ও মাধ্যম থাকলেও ব্যয়ের বাধ্যতামূলক কোনো খাত নেই। ইসলাম
নারীর ওপর অর্থনৈতিক কোনো দায়-দায়িত্ব চাপায়নি। পরিবারের যাবতীয় আর্থিক
দায়-দায়িত্ব বহন করা পুরুষের ওপর অর্পিত হয়েছে। সেহেতু নারীকে তার জীবিকার
জন্য চাকরি করার প্রয়োজন নেই, সেহেতু নারীর চাকরি তার ইচ্ছাধীন। তবে
পুরুষের উপার্জত যদি সংসার চালানোর জন্য যথেষ্ট না হয় এবং প্রকৃত অভাবের
সময়, সঙ্কটকালে উভয়েরই চাকরি করার প্রয়োজন দেখা দেয়, তবে চাকরির বিষয়ে
নারীর স্বাধীনতা রয়েছে। ইচ্ছা করলে সে চাকরি করতে পারে, ইচ্ছা করলে নাও
করতে পারে। কেউ জোর করে তার ঘাড়ে চাকরির বোঝা চাপিয়ে দিতে পারে না। এমনকি
তার উপার্জিত অর্থ-সম্পদও কেউ নিতে পারবে না। তার জমা-খরচে কেউ খবরদারি ও
নজরদারি করতে পারবে না। উপার্জনকারী নারী তার ইচ্ছামতো খরচের অধিকার রাখে।
এটাই ইসলামের বিধান।