Wednesday, February 13, 2013

Friday, February 1, 2013

Fiber Food Source

২/ প্রচুর আঁশ/ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার খান। একজন ৩৫ বছরবয়স্কা নারীর সুস্থ থাকতে দৈনিক অন্তত ২৫ গ্রাম ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। প্রচুর আঁশসমৃদ্ধ শীতকালীন সবজি/ফলঃ বাঁধাকপি, গাজর, মটরশুঁটি, শীম, কলা, পালংশাক, আপেল, কমলা ইত্যাদি।
৪/ তাজা ফল/ ফলের রস খান। প্যাকেটজাত জ্যুস ও কোমল পানীয় একেবারে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। প্রচুর পানি পান করুন।

৬/ নিয়মিত নিজের কোমরের বেড় মাপুন। মনে রাখবেন। নারীদের ক্ষেত্রে কোমরের মাপ ৩২'' এর বেশি হলে তাদের হার্ট এটাক/স্ট্রোক/ক্যান্সারের ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে যায়।






ডায়াবেটিস এবং খাবার একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের প্রায়ই খাবার সম্পর্কে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। তবে ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য ক্ষতিকর খাবার যেমন রয়েছে তেমনি কিছু আদর্শ খাবারও রয়েছে, যা     উচ্চমানের ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সমৃদ্ধ। গবেষণায় দেখা গেছে উচ্চমাত্রার ফাইবারযুক্ত খাবার শরীরে কোলেস্টেরল এবং রক্তে সুগারের মাত্রা ঠিক রাখে। পেঁপে, আপেল, কমলা ও পেয়ারা উচ্চমাত্রার ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার। গাজর ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি রক্তে সুগারের মাত্রাকে দ্রুত কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। এতে উচ্চমাত্রার প্রাকৃতিক বেটা ক্যারোটিন রয়েছে, যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় এবং রক্তে সুগারের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার ব্রকোলি ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য একটি আদর্শ খাবার। এর উচ্চমাত্রার ক্রোমিয়াম রক্তে সুগারের মাত্রা দীর্ঘ সময় ধরে নিয়ন্ত্রণে রাখে। এসব খাবারের পাশাপাশি বার্লি, জলপাইয়ের তেলও ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য আদর্শ খাবার। - টাইমস অব ইন্ডিয়া

*************************************************
http://health-jahardas.blogspot.com/2011/06/blog-post_5869.html

রোগ প্রতিরোধ এন্টি-অক্সিডেন্ট


দীর্ঘজীবী হওয়ার সাধ সবার মধ্যে থাকেকে না চায় বার্ধক্য বিলম্বিত করতে, কে না চায় হৃদরোগ মুক্ত থাকতে অথবা অন্যান্য রোগ থেকে দুরে থাকতেকিন্তু প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে বার্ধক্য আসে, হয় নানা রোগব্যাধিএসব রোগব্যাধির সঙ্গে যুদ্ধ করতে সামনের সারিতে থাকে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টসঅ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমেই জানা দরকার ফ্রি-র‌্যাডিক্যালস কী এবং কীভাবে উৎপন্ন হয়
আমাদের শরীরের মধ্যে প্রতিনিয়ত চলছে মেটাবলিজম বা জারনক্রিয়াজারন-প্রক্রিয়ায় প্রতি মুহুর্তে উৎপন্ন ফ্রি-র‌্যাডিক্যালস শরীরের কোষকলার ক্ষতিসাধিত হয়এই ফ্রি-র‌্যাডিক্যালসের কারণে অকাল বার্ধক্য, হৃদরোগ, ক্যাসার এবং অন্যান্য রোগব্যাধি হয়ফ্রি-র‌্যাডিক্যালসের হিংস্রতাকে নির্মুল করতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস বা জারনবিরোধী ক্ষমতাসম্পন্ন ডায়েট অপরিহার্য
ফ্রি-র‌্যাডিক্যালস বনাম অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টসঃ ফ্রি-র‌্যাডিক্যালস এক ধরনের মুক্ত পরমাণুএদের ধর্মই হলো স্হায়ী হওয়ার চেষ্টা করাআর এই স্হায়ী হওয়ার প্রক্রিয়ায় এরা কোষ প্রাচীর ডিএনএ এদের অনবরত আক্রমণ করতে থাকে এবং ফলস্বরুপ আরো ফ্রি-র‌্যাডিক্যালস তৈরি হতে থাকেআর যতক্ষণ না পর্যন্ত কোনো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস এদের নিরস্ত্র না করে এরা এদের ধ্বংসাত্মক আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকেআর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টসই শরীরকে ফ্রি-র‌্যাডিক্যালস নামক সন্ত্রাসবাদী হানার হাত থেকে বাঁচায়আমাদের শরীরের ভেতর সুপার অক্সাইড ডিসমিউটেজ, গ্লটাথিওন পার-অক্সাইড ইত্যাদি এনজাইম আছে, এরা এক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস, তবে খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে রোজকার ষ্ট্রেস, ষ্ট্রেন, টেনশন, ধুমপান শরীরের এই নিজস্ব অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টসের ক্ষতি করে দেয়
কোথায় পাবেন অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টসঃ নিশ্চয় ভাবছেন এই অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস নামক বস্তুটির জন্য খুব মহার্ঘ খাবার-দাবার খেতে হবেআসলে তা একদম ঠিক নয়আমাদের দৈনন্দিন অনেক খাবারের মধ্যেই অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস থাকে
আলফা ক্যারোটিন, বিটা ক্যারোটিন লাইকোপিন, ক্রিপটোজ্যানথিন, ক্যানজ্যানথিন লিউটেন, বায়োফ্ল্যাভোনয়েডেস পলিফিনলিক অ্যাসিড, ট্যানিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই কপার, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম, আয়রন ইত্যাদি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস হিসেবে কাজ করেএসব খটমট নাম দেখে ঘাবড়ে যাওয়ার আসলে কিছুই নেইআমাদের অনেক চেনা শাক-সবজিতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস, যেমন ধরুন পালংশাক, লালশাক, কুমড়োশাক, ধনেপাতা, পুদিনা পাতা, সজনা ডাঁটা, পুঁইশাক ইত্যাদি সবরকম শাকে আছে বিটা ক্যারোটিন আর ঢেঁড়স আর মটরশুঁটিতেও আছে প্রচুর বিটা ও আলফা ক্যারোটিনআলফা ক্যারোটিন পাবেন বাঁধাকপি, গাজর ও লাইকোপিন নামক এক ধরনের উচ্চমানের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস, যা ক্যাসার প্রতিরোধ করেপাবেন টমেটো ও তরমুজেপাকা আম, পাকা পেঁপে, কমলালেবু ইত্যাদিতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস পাবেনজেনে রাখুন, পাকা কুমড়াতে আছে ক্রিপটোজ্যানথিন নামক আর এক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টসক্যারাটিনয়েড ফ্যামিলির অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস পাওয়া যাবে বিভিন্ন রঙিন শাক-সবজি ও ফলমুলেতাই যারা ফলমুল খেতে পছন্দ করেন, বেশি করে ফল খান, মিটিয়ে নিন প্রয়োজনীয় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টসের চাহিদা, আর যারা শাক-সবজি খেতে ভালবাসেন তাদের জন্য রইল অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টসের চাহিদা মেটানোর সুবর্ণ সুযোগ
টাটকা সবুজ শাক-সবজিতে রয়েছে ভিটামিন এ, ও সি যা আমাদের মোটামুটি সবারই জানা আছেআনারস, টমেটো, সব ধরনের লেবু, আপেল, কলা, পেয়ারা-বেদানা ইত্যাদিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সিকালো জামে রয়েছে লিউটেন নামক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টনানারকম শস্য মানে-চাল, গম, সয়াবিন, ডাল, শুকনো ফল অর্থাৎ কিসমিস, খেজুর, বাদাম ইত্যাদিতে আছে কপারদুধ, সামদ্রিক মাছ আর মাংসে আছে সেলেনিয়াম
মাছ-মাংস বনাম শাক-সবজি
অতিরিক্ত পরিমাণে মাছ-মাংস খাওয়া স্বাস্হ্যের জন্য ক্ষতিকরবিশেষ করে রেডমিট বেশি খেলে রক্তে আয়রনের পরিমাণ বেড়ে যায়আর এই বাড়তি আয়রন শরীরের জন্য ক্ষতিকরতাই বেশি মাছ-মাংস খেলে অক্সিডেশন ড্যামেজ বন্ধ করার জন্য অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস খাওয়া অবশ্য প্রয়োজনভেজিটেবল স্যুপ বা নানারকম সবজি সিদ্ধ সালাদ, পিঁয়াজ ও রসুন খেতে পারলে ভালো হয়বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাছ-মাংস খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবেআদাবাটা, গরম মসলা বা স্বাদ আনতে তরকারির ওপর এক চামচ ঘি ছড়িয়ে দেয়া যেতে পারেকাজেই দেখা যাচ্ছে রোজকার ডায়েটে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস যুক্ত খাবার রাখতে চাইলে প্রচুর পরিমাণে টাটকা শাক-সবজি ও কাঁচা ফলমুল খাবেন
শাক-সবজি রান্নার পদ্ধতিঃ বাঁধাকপি, কুমড়া, পটল বা ঢেঁড়সের তরকারি খেতে পারেন, তবে তেলের ব্যবহার মাত্রার মধ্যে রাখতে হবেতরকারি রান্নার সময় পরিমাণ মতো তেল ব্যবহার করবেন, সবজি বেশি ভাজবেন নাবেশি তেলে ভাজাভুজি করলে সেটা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহার করে ফেলুনঅনেকে ভাজাভুজির পরে বাড়তি তেলটা পরের রান্নার জন্য রেখে দেন, এটা কিন্তু শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকরএটা শরীরে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস তৈরিতে সহায়ক এনজাইমগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে
ফল খাবেন বেশি
প্রতিদিন কমপক্ষে দুরকমের গোটা ফল খেতে পারলে ভালো হয়পাকা কলা, পেয়ারা, শসা, লেবু, তরমুজ, আম, আপেল, নাসপাতি, আতা, কমলালেবু, আঙ্গুর, জাম ইত্যাদি সবরকম ফলে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস
হৃদরোগ প্রতিরোধে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টসঃ যেসব খাবারে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টসের পরিমাণ বেশি সেসব খাবার হৃদরোগীদের জন্য খুবই স্বাস্হ্যকরসম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত শাক-সবজি, কাঁচা ফলমুল বেশি পরিমাণে খান তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক কম থাকেগবেষণায় এক কথায় বলা হয়েছে, শাক-সবজি হৃৎপিন্ডের সবচেয়ে নিকটতম বন্ধু
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস অ্যাজমা রোগীদের বন্ধু
যেসব অ্যাজমা রোগী তাদের খাদ্যতালিকায় প্রতিদিন অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ভিটামিন সি এবং গ্রহণ করেন তাদের শ্বাস-প্রশ্বাস সত্যিকার অর্থেই সহজ হয়ে যায়
অ্যাজমা রোগী যারা প্রতিদিন ৫০০ মি.গ্রা. ভিটামিন সি এবং ৪০০ আইইউ ভিটামিন গ্রহণ করেন তাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের ক্ষমতা ১৮% বৃদ্ধি পায়
ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের এক উচ্চ পর্যায়ের গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস শরীরের ফ্রি-র‌্যাডিক্যালসকে প্রতিহত করেতাছাড়া অ্যাজমা রোগীদের দেহে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মাত্রায় এ ক্ষতিকর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকেঅর্থাৎ অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস অ্যাজমা রোগীদের বন্ধু হিসেবে কাজ করে
ক্যান্সার রুখতে টমেটোঃ অনেকে মনে করেন কাঁচা টমেটোতে বুঝি বেশি কাজ হয়কিন্তু এ ধারণা পুরোপুরি ভুলকেননা টমেটোর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস রান্না করলেই বেশি পরিমাণে শোষিত হয়রান্না করা সবজি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টসের বায়ো-অ্যাভেলিবিলিটি অনেক বেশিকাঁচা টমেটোতে যে পরিমাণ লাইকোপিন পাওয়া যায়, তার চেয়ে ৫ গুণ বেশি পাওয়া যায় চাটনি অথবা কেচাপ খেলে
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস ক্যাপসুল
অনেকে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস ক্যাপসুল খানগবেষণায় দেখা গেছে, খাবার-দাবারে যেখানে ১০০ শতাংশ ফল পাওয়া যায়, সেখানে ট্যাবলেট ক্যাপসুলে কাজ হয় মাত্র ২৫ শতাংশফলমুল, শাক-সবজি যত ইচ্ছা খাওয়া যেতে পারেদাঁড়িপাল্লায় ওজন করে খাওয়ার খুব একটা প্রয়োজন নেইতবু দেখা গেছে, প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় ১০-৫০ মি.গ্রা. ভিটামিন এ ও ক্যারোটিনয়েড ১০০-৩০০ মি.গ্রা. সেলেনিয়াম, ৪০০-৬০০ আইইউ ভিটামিন ই, ৫০০-১০০০ আইইউ ভিটামিন সি এবং ফল, সবজি ও বাদাম ৬০০ গ্রাম প্রতিদিন খেতে পারলে ভালো হয়তবে ক্যাপসুল খেতে গেলে ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন

**************************
লেখকঃ ডাঃ এস এম মোস্তফা জামান
সহকারী অধ্যাপক, হৃদরোগ বিভাগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
চেম্বারঃ ল্যাবএইড লিমিটেড
বাড়ি-১, রোড-৪, ধানমন্ডি, ঢাকা
দৈনিক আমারদেশ, ০১ মার্চ ২০০৮



সুস্থতায় কাঁঠাল ও এর বীচি

বাজারে পাওয়া যাচ্ছে জাতীয় ফল কাঁঠাল। রসালো ফল কাঁঠাল খেতে যেমন সুস্বাদু এর পুষ্টিগুণও কিন্তু অতুলনীয়। পরিবারের সবার পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে একটি কাঁঠালই যথেষ্ট। আমাদের দেশে প্রচুর কাঁঠাল পাওয়া যায়। এ মৌসুমে গাছে গাছে কাঁঠালের সমাহার। শরীরে শক্তি জোগাতে কাঁঠালের জুড়ি নেই। এতে রয়েছে ৯৪ কিলোক্যালরি শক্তি। কাঁঠালের পুষ্টিগুণ বলে শেষ করা কষ্টসাধ্য। ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাংগানিজ, আয়রন, ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, বিটা ক্যারোটিন, লুটেইন কি নেই কাঁঠালে। এছাড়াও কাঁঠালের বীচিতে রয়েছে উচ্চতর প্রোটিন। ভিটামিন-এ চোখের পুষ্টি জোগায় ও চোখের নানা সমস্যা দূর করে ও দেহে ক্ষতিকারক রোগজীবাণু প্রবেশে বাধা দেয়। দেহের ক্ষতস্থান সারিয়ে তুলতে ও গরমে যে সর্দি, হাঁচি, কাশি হয় কাঁঠালের ভিটামিন-সি তা দূর করতে সাহায্য করে। কাঁঠাল আঁশজাতীয় ফল তাই এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও দেহের রক্তনালির দেয়ালে চর্বি জমতে দেয় না। কাঁঠালে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। কাঁঠালের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, লুটেইন যা প্রোস্টেট, স্তন, পাকস্থলি ও ফুসফুসের ক্যানসারের বিরুদ্ধে কার্যকরি ভূমিকা রাখে। পটাসিয়াম দেহের কোষগুলোর বৃদ্ধি পেতে ও দেহের পানির সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ক্যালসিয়াম দেহের হাড়, দাঁতের পুষ্টি জোগায়। জিঙ্ক শরীরের ইনসুলিন হরমোনের সরবরাহ নিশ্চিত করে আর ম্যাগনেসিয়াম ও সোডিয়াম দেহের লবণ ও ক্ষারের সাম্যাবস্থা বজায় রাখে। ভিটামিন-বি কমপ্লেক্সের মধ্যে কাঁঠালে রয়েছে ফোলেট, নিয়াসিন, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন। এগুলো দেহে শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে ও নানা রোগ থেকে আমাদের প্রতিরোধ করে। কাঁঠাল কোলস্টেরলমুক্ত ও এ ফলে নেই কোনো ক্ষতিকর চর্বি। তাই ডায়াবেটিস ও হার্টের অসুখে আক্রান্ত ব্যক্তিসহ সবাই নির্দ্বিধায় কাঁঠাল খেতে পারেন। শুধু কাঁঠালই নয়, অনেকেরই আবার তরকারি হিসেবে কাঁঠালের বীচি খেতে পছন্দ করেন। কাঁঠালের বীচিতেও রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। কাঁঠালের বীচি খেলেও কিন্তু এর পুষ্টিগুণ আমাদের অজানা। শুধু পুষ্টিগুণেই সীমাবদ্ধ নয় কাঁঠালের বীচি। এতে থাকা লিগন্যান, আইসোফ্ল্যাভোন, স্যাপোনিন আমাদের বিভিন্ন রোগ থেকে দেয় সুরক্ষা ও বাড়ায় দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। কাঁঠালের বীচির এন্টি-অক্সিডেন্ট  ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়াও বার্ধক্যকালীন নানা রোগ থেকে মুক্তি দেয়। এটি ব্যাকটেরিয়া থেকে আমাদের দেহকে সুরক্ষা দেয় ও আমাদের দেহকে রাখে জীবাণুমুক্ত। এটি দেহের জন্য অত্যন্ত শক্তিযুক্ত ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবার। এছাড়াও এতে থাকা উচ্চমাত্রার প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট শরীরে বাড়টি মেদ জমায় না। এটি হজমে সাহায্য করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। কাঁঠালের বীচি আমাদের টেনশন ও নার্ভাসনেস কাটাতেও সাহায্য করে।

যাদের মদ খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে তাদের জন্য কাঁঠালের বীচি মদের প্রভাব কাটায় ও এটি জৈবিক আনন্দ বাড়াতেও কাজ করে।

এটি একটি উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার। যাদের মাছ, মাংস কম খাওয়া হয় তাদের জন্য কাঁঠালের বীচি প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে। আমাদের দেশে পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্যগুণসমৃদ্ধ মৌসুমি ফল কাঁঠাল এ ঋতুতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। তাই আসুন পরিবারের সবাইকে নিয়ে জাতীয় ফল কাঁঠাল ও এর বীচি খাই এবং দেহের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেলের জোগান নিশ্চিত করি। তবে মনে রাখতে হবে এত পুষ্টিগুণের কথা ভেবে গরমে একসঙ্গে খুব বেশি কাঁঠাল খাওয়া যাবে না। অপরিমিত কাঁঠাল ভোজনে কিন্তু আবার পেট খারাপ হয়ে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

কাঠালের বীচির অজানা গুনঃ

http://cdn1.somewhereinblog.net/gui/social_bar/delicious.png  http://cdn1.somewhereinblog.net/gui/social_bar/digg.png  http://cdn1.somewhereinblog.net/gui/social_bar/furl.png  http://cdn1.somewhereinblog.net/gui/social_bar/blinklist.png  http://cdn1.somewhereinblog.net/gui/social_bar/reddit.png  http://cdn1.somewhereinblog.net/gui/social_bar/technorati.png  http://cdn1.somewhereinblog.net/gui/social_bar/yahoomyweb.png  http://cdn1.somewhereinblog.net/gui/social_bar/co.mments.gif  http://cdn1.somewhereinblog.net/gui/social_bar/newsvine.png 
কাঠালের বীচি এদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয়
একটি খাবার। এটি আলুর রিপ্লেসমেন্ট
হিসেবে মুরগী/গরুর মাংসের তরকারী,
শুটকী বা মিক্সড সব্জী/
নিরামিষে ব্যবহৃত হয় এমনকি ঠিক আলুর
চপের মতো করে চপ ও বানানো যায়।
এছাড়া শুধুমাত্র কাঠালের বীচির
ভর্তা অথবা বীচি ফ্রাই ও খুব জনপ্রিয়
খাবার। জনপ্রিয় হলেও আমরা এই
খাবারটার পুষ্টিগুন তেমন জানিনা। আসুন
আজ জেনে নেই।
100 গ্রাম কাঠালের
বীচিতে এনার্জি পাওয়া যায় প্রায় 98
ক্যালোরি। এতে চর্বি আছে 0.4 গ্রাম,
প্রোটিন আছে 6.6 গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট
আছে 38.4 গ্রাম এবং ফাইবার আছে 1.5
গ্রাম.এছাড়াও কাঠালের
বীচিতে আছে নানা ধরণের
ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট। 100 গ্রাম
কাঠালের বীচিতে আছে - ক্যালসিয়াম
0.05 থেকে 0.55 মিগ্রা, ফসফরাস 0.13
থেকে 0.23 মিগ্রা, আয়রন 0.002 থেকে 1.2
মিলিগ্রাম, সোডিয়াম 2 মিলিগ্রাম,
পটাসিয়াম 407 গ্রাম, ভিটামিন এ 540
আন্তর্জাতিক ইউনিট, থায়ামিন 0.03
মিলিগ্রাম, নায়াসিন 4 মিলিগ্রাম
এবং ভিটামিন সি আছে 8 থেকে 10
মিলিগ্রাম। কাঠালের বীচি ভিটামিন
B1-এবং ভিটামিন B12 এরও ভাল উৎস।
কাঠালের বীচিতে থাকা লিগন্যান,
আইসোফ্ল্যাভোন, স্যাপোনিন
কে বলা হয়,ফাইটোক্যামিকেলস
যা নানা রোগ হতে সুরক্ষার জন্য দায়ী।
1. প্রথমত, এতে আছে এন্টি অক্সিডেন্ট
যা ক্যান্সার
প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং বার্ধক্যের
দ্রুত আনয়ন রোধ করে।
2. দ্বীতিয়ত, ফাইবার ও কমপ্লেক্স
কার্বোহাইড্রেট এর কারণে এর
গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স কম। ফলে উচ্চ
শক্তিদায়ক খাবার হলেও এতে ওজন
বৃদ্ধি হবে কম। পশ্চিমা বিশ্বের ফুড
সায়েন্টিস্ট রা তাই কাঠালের বীচির
পাউডার কে ময়দা হিসেবে ব্যবহার
করে কেক,বিস্কিট বানানোর
লক্ষ্যে গবেষনা করে যাচ্ছেন।
3. এটি একটি উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবার।
গরীব দেশে যাদের মাছ, মাংস কম
খাওয়া হয়, এই সিজনে কাঠালের
বীচি হতে পারে তাদের আমিষের
চাহিদা পূরণের অস্ত্র।
4. কাঠালের বীচির জীবানুনাশক গুনও
আছে। এটি Escherichia coli Bacillus
megaterium ব্যাক্টেরিয়ার
বিরুদ্ধে কার্যকর এবং এতে থাকা বিশেষ
উপাদান (Jacalin) এইডস রোগীর রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নয়নে সফল
বলে প্রমাণিত হয়েছে।
5. এছাড়াও উচ্চ পটাশিয়াম এর
কারণে এটি ব্লাড সুগার
নিয়ন্ত্রনে রাখে।
এছাড়াও বহু বছর ধরে আয়ুর্বেদিক
শাস্ত্রে কাঠালের বীচির যেসব গুন
গুলো বলা হয়ে আসছে তা হলো-
1. এটি মদের প্রভাব কাটায়।
2. কাঠালের বীচি হলো aphrodisiac
অর্থাৎ এটি যৌন আনন্দ বাড়ায়।
3. এটি টেনশন ও নার্ভাসনেস কাটায়
বলেও ধারণা করা হয়।
4. হজমে সহায়তা করে।
5. কোষ্টকাঠিন্য দূর করে।
এদেশের মত গরীব দেশের সাধারণ
জনগোষ্ঠীর পুষ্টির
চাহিদা মেটাতে কাঠালের বীচি অত্যন্ত
প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখতে পারে।
যেহেতু এটি সংরক্ষন যোগ্য তাই শুধু
সিজনে নয়, এটি হতে পারে সারা বছরের
পুষ্টির যোগান দাতা। কাঠালের বীচির
এতসব গুনের কারণে, পশ্চিমা বিশ্বের ফুড
সাইন্টিস্টরা বীচি হতে ময়দা তৈরী,
সিরিয়াল তৈরী,মিল্ক
তৈরী এমনকি বাটার তৈরীর
প্রকৃয়া নিয়ে গবেষনা করে যাচ্ছে।
এদেশে যেহেতু কাঠাল সহজলভ্য,
দেশী উদ্যোক্তারাও
এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে পারেন।
( সংগ্রিহীত)

আপনি কি লম্বা হতে চান

কচুয়া নিউজ ডেস্কঃ লম্বা হতে চাই ছেলে বা মেয়ে সবার মনের বাসনা একই ।
যারা বেশ ভালই লম্বা তাদেরও মনে হয় আরও ১-২ ইঞ্চি লম্বা হতে পারলে বেশ ভাল মানাত!আসলে আপনি কতটুকু লম্বা হবেন তা আপনার বংশগতি থেকেই নির্ধারিত হয়।তবে একথাও ঠিক আপনার পূর্বপুরুষেরা লম্বা হলেও আপনি যদি অপুষ্টিতে ভোগেন তবে আপনার বৃদ্ধি ঠিকমত হবে না।
আর মানুষের দেহের বৃদ্ধি ঘটে ২৫ বছর বয়স পর্যন্তই।তাই কিশোরকাল থেকেই এ ব্যাপারে লক্ষ্য রাখতে হবে।তিনটি জিনিসের সমন্বয় লম্বা হতে সাহায্য করবে-
১.পুষ্টিকর খাবার ২.নিয়মিত ব্যয়াম ৩.পর্যাপ্ত বিশ্রাম

কি কি থাকতে হবে খাবার তালিকায়:
*মিনারেলস:
পর্যাপ্ত পরিমান বিভিন্ন রকমের মিনারেল আমাদের খাবার তালিকায় রাখতে হবে।আমাদের দেহে প্রতিটি কাজে মিনারেলের ভূমিকা রয়েছে ।হাড়ের গঠন ও বৃদ্ধিতে মিনারেল একান্ত প্রয়োজনীয় উপাদান।বিষেশভাবে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস যেন পরিমান মত গ্রহন করা হয় তা লক্ষ্য রাখতে হবে।

দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, ছোট মাছ,খেজুর,বাধাকপি,ফুলকপি, ব্রোকলি,পালং শাক, পুই শাক ইত্যাদিতে ভাল পরিমান ক্যালসিয়াসম আছে।দুগ্ধজাত খাবার,মাছ, মাংস, এমনকি সবজিতেও ফসফরাস আছে।আয়রন পাওয়া যায় খেজুর, ডিমের কুসম,কলিজা,পরুর মাংসে।ম্যাগনেসিয়াম আছে আপেল, জাম্বুরা, ডুমুর,লেবু ইত্যাদিতে।জিন্ক পাওয়া যায় ডিম, সূর্যমূখীর বীচিতে।
*ভিটামিন :
আমাদের প্রয়োজনীয় সব রকমের ভিটামিনই বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি ও ফল থেকে পাওয়া যায়।কিন্তু খাবারের ভিটামিন দেহে কতটুকু গৃহিত হচ্ছে তা বোঝা বেশ কঠিন। তাই বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি ও ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।Vitamin B-1 আছে চীনা বাদাম,লাল চাল,গমে। Vitamin B-2 আছে মাছ, ডিম, দুধে। Vitamin B-6 রয়েছে বাধাকপি, কলিজা, গরুর মাংসে।Vitamin D পাওয়া যায় মাছের তেল, দুগ্ধজাত খবার থেকে।Vitamin E আছে ডিম, সয়াবিন, গমে। Vitamin A আছে ডিমের কুসুম, গাজর,দুধ ,কলিজায়।

*প্রোটিন:
হাড়ের বৃদ্ধির সাথে সাথে মাংস পেশীরও বৃদ্ধি পেতে হবে লম্বা হওয়ার জন্য।আর মাংস পেশির বৃদ্ধি ও মজবুত হওয়ার জন্য প্রয়োজন প্রোটিন।খাবার তালিকায় ভাল মানের প্রোটিন যেমন- মাছ, মাংস, ডিম রাখুন।বিভিন্ন রকমের ডাল,মটরশুটি, সীমের বীচি, কাঠালের বীচি ইত্যাদি থেকেও প্রোটিন পাওয়া যায়।খাবার তালিকায় সয়া প্রোটিন,বিভিন্ন রকমের প্রোটিন সেইক যোগ করতে পারেন।

*কার্বোহাইড্রেট:
অনেকেই লম্বা হওয়ার জন্য কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট জাতীয় খাবার বেশী পরিমানে গ্রহন করে থাকেন। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে, বেশী পরিমান কার্বোহাইড্রেট লম্বা হওয়াকে বাধাগ্রস্থ করে।কারণ বেশী পরিমান কার্বোহাইড্রেট গ্রহন মানে রক্তে বেশী পরিমান গ্লুকোজ।এর ফলে ইনসুলিন নামক হরমোনও নিঃসৃত হবে বেশী।এবং ইনসুলিন দেহের গ্রোথ হরমনের কার্যকারীতা কমিয়ে দেয়।তাই খাবার তালিকায় লাল আটা, লাল চাল, ওট ইত্যাদি রাখুন ময়দা, সাদা আটা, পলিশ চালের পরিবর্তে।

* পানি:
পর্যাপ্ত পরিমান পানি পান করতে হবে , প্রায় ১.৫ থেকে ২ লিটার দৈনিক।

যেসব কারণে লম্বা হওয়া বাধা পায়:
ঘুমের অভাব- দৈনিক ৮ ঘন্টা ঘুমের অভ্যাস তৈরী করুন।
খেলা-ধূলা না করা-বাস্কেট বল,ভলি বল খেলার অভ্যাস গড়ে তুলুনঅ কিছু stretching exercises ও করতে হবে। যারা নতুন শুরু করছেন তারা প‌্রথমে অল্প কিছু stretch ups, এর পর দড়ি লাফ, এর পর অন্যান্য ব্যায়াম শুরু করুন।
অপুষ্টি- পুষ্টিকর ও সুষম খাবার অভ্যাস গড়ে তুলুন। posture ঠিক না থাকা
এ ক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপিষ্টের সাহায্য নিতে হবে।
ত্যাগ করতে হবে:

মদ্যপান ও ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। কারণ এগুলো দেহের হরমোনের ব্যালান্স নষ্ট করে।

সুন্দর ত্বকের জন্য জরুরী ৭টি খাবার

From WikiEducator

Jump to:navigation, search
'সুন্দর ত্বকের জন্য জরুরী ৭টি খাবার'
Monday, 2 September 2013 - 3:43pm
File:Capture.f1.jpg

ত্বক ভালো রাখতে নানান রকমের প্রসাধনী পাওয়া যায় বাজারে। এর মধ্যে কোনোটা রঙ ফর্সা করার জন্য আবার কোনোটা ত্বক সজীব রাখার জন্য। কিন্তু প্রসাধনীর চেয়েও ত্বকের জন্য বেশি জরুরী হলো ভেতর থেকে পুষ্টি লাভ। ত্বক যদি ভেতর থেকে পুষ্টি না পায় তাহলে অনেক রকম প্রসাধনী ব্যবহার করার পরেও ত্বককে নির্জীব দেখাবে। আসুন জেনে নেয়া যাক এমন কিছু খাবারের কথা যেগুলো ত্বককে ভেতর থেকে পুষ্টির যোগান দেয়।
১) ফল-মূল
নিয়মিত ফলমূল খেলে ত্বক ভালো থাকে। বিশেষ করে ভিটামিন সি যুক্ত ফল ফলাদি ত্বকের সজীবতার জন্য জরুরী। পেয়ারা, আনারস, পেঁপে, নানান রকম বেরি জাতীয় ফল ইত্যাদি ফল ত্বককে ভালো রাখে এবং সহজে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
File:Capture.f3.jpg
২) ব্রোকলী
ব্রোকলীতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ই এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে। ভিটামিন সি ও ই ত্বকে গভীর থেকে পুষ্টি যোগায়। ভিটামিন ই সূর্যের অতি বেগুনী রশ্মির ক্ষতি থেকে ত্বককে কিছুটা হলেও রক্ষা করে।
৩) বাদাম
বাদাম ভিটামিন ই এর একটি অন্যতম উৎস। সালাদে, রান্নায় অথবা স্নাক্স হিসাবে বাদাম খেতে পারেন প্রতিদিন। নিয়মিত খাবারের তালিকায় বাদাম রাখলে এর ভিটামিন ই ত্বককে আরো সজীব ও মোহনীয় করে তুলবে।
৪) গাজর
প্রতিদিন একটি করে গাজর আপনার ত্বকে রাখবে সজীব ও উজ্জ্বল। গাজরে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন আছে যা শরীরে গিয়ে ভিটামিন এ তে পরিণত হয়। গাজর ত্বকের টিস্যু গুলোকে মেরামত করে এবং ক্ষতিকর সূর্য রশ্মির থেকে ত্বকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। কাঁচা অথবা রান্না করে দুভাবেই গাজর খেতে পারেন প্রতিদিন।
File:Capture.f2.jpg
৫)পানি
প্রতিদিন অন্তত দেড় থেকে দুই লিটার পানি বা পানি যুক্ত খাদ্য খাওয়া উচিত। পানি শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান ঘামের মাধ্যমে বের করে দেয়। পর্যাপ্ত পানি পেলে ত্বকের কোষে পানি পৌঁছায় এবং ত্বক সজীব দেখায়। পরিমিত পানি খেলে ব্রণের উপদ্রবও কমে।
৬)কুমড়ার বীজ
অনেকেই হয়তো জানেন না যে কুমড়া রান্না করার আগে আমরা যেই বীজগুলো ফেলে দেই সেগুলো অত্যন্ত উপকারী এবং ত্বকের জন্য ভালো। মিষ্টি কুমড়ার বীজে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে। জিঙ্ক ত্বকের কোষ গুলোকে সজীব করে এবং ভেতর থেকে পুষ্টি যোগায়। তাই নিয়মিত কুমড়ার বীজ খেতে পারলে ত্বক থাকবে সজীব ও প্রাণবন্ত। কুমড়ার বীজ কড়াইয়ে হালকা ভাজি করে খোসা ছাড়িয়ে খেতে পারেন।
৭) মাছ
ওমেগা ৩ ফ্যাট সমৃদ্ধ মাছ ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এই মাছ ত্বকের কোষ সজীব রাখে এবং ত্বককে ক্যান্সারের থেকে রক্ষা করে। তবে অতিরিক্ত তেল দিয়ে ভাজা মাছ না নেয়ে সেদ্ধ, গ্রিল করা অথবা সেঁকা তেলে ভাজা মাছ খাওয়ার চেষ্টা করুন।
ত্বকের বাহ্যিক সৌন্দর্য নির্ভর করে ভেতরের সুস্থতার উপর। ত্বক ভেতর থেকে স্বাস্থ্যজ্জ্বল না হলে প্রচুর প্রসাধনী ব্যবহার করেও সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা যায় না। তাই যেই খাবার গুলো ত্বকের বন্ধু সেগুলো নিয়মিত খান এবং প্রচুর পানি পান করুন। তাহলে আপনার ত্বক কোনো রকমের প্রসাধন ছাড়াই হয়ে উঠবে উজ্জ্বল ও লাবন্যময়।

- See more at:

ব্যায়াম ছাড়াই ৭ টি উপায়ে কমিয়ে ফেলুন ওজন

http://www.priyo.com/files/story/201310/losing_weight.jpghttp://www.priyo.com/files/story/201310/losing_weight.jpg
যারা ওজন সমস্যায় ভুগছেন তারা সবাই ওজন কমাতে চান। কিন্তু ব্যায়াম করতে চান না কেউই। ব্যায়াম শুরু করলেও কয়েক দিন ঠিক মতো করে আবার শুরু হয়ে যায় আলসেমি। তাই অনেকেই জানতে চান ব্যায়াম ছাড়াই কি করে ওজন কমানো যায়। ব্যায়াম করে যতটা ওজন কমানো সম্ভব ব্যায়াম ছাড়া ততটা না হলেও আংশিক ওজন কমানো যায়। আসুন জেনে নেয়া যাক ব্যায়াম ছাড়াই ওজন কমানোর ৭টি উপায়।
http://imgcdn.priyo.com/201310/womandrinkingwater.jpg

খাবার আগে এক থেকে দুই গ্লাস পানি

প্রতি বেলার খাবার আগে এক বা দুই গ্লাস পানি খেয়ে নিন। এতে পেট অনেকটাই ভরা থাকবে এবং অতিরিক্ত খেয়ে ফেলার ভয় থাকবে না। অল্প খেলেই মনে হয় অনেক খেয়ে ফেলেছেন। তাই সকালের নাস্তা, দুপুরের কিংবা রাতের ভাত খাওয়ার আগে এক গ্লাস বা দুই গ্লাস পানি খেয়ে অপেক্ষা করুন কয়েক মিনিট। তাহলে এমনিতেই কম খাওয়া হবে এবং আপনার ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণ কমে যাবে।

ক্যালোরি গুনুন

ওজন কমানোর পদ্ধতি হলো আপনি যতটুকু ক্যালোরি গ্রহণ করছেন তার চাইতে বেশি ক্যালোরি ক্ষয় করতে হবে। প্রতিদিন যে সব খাবার খাচ্ছেন সেগুলোর ক্যালোরির হিসাব রাখুন। দিন শেষে হিসাব করুন কত ক্যালোরি গ্রহণ করেছেন। সারাদিন শেষে কোনো ভাবেই যেন ২০০০ ক্যালোরির উপরে না যায় সেটা খেয়াল রাখা উচিত।

হজমে বেশিক্ষণ লাগে এমন খাবার খাওয়া

যেসব খাবার খেলে হজম হতে কিছুটা সময় লাগে এমন খাবার খাওয়া উচিত। কারণ খাবার যতক্ষন হজম হয় না ততক্ষন পেট ভরা থাকে এবং মেটাবলিসম ব্যস্ত থাকে। তাই সেই সময়ে কিছু খাওয়া হয় না অর্থাৎ ক্যালোরি গ্রহণ হয় না। সহজেই হজম হয়ে যায় যে খাবার গুলো সেগুলো খেলে বার বার ক্ষুধা লাগে। তখন একটু পর পরই ক্যালোরি গ্রহনের প্রবণতা বাড়ে। তাই বেশি ফাইবারযুক্ত খাবার গ্রহণের চেষ্টা করুন।

ছোট ছোট কামড়ে খান

খুব দ্রুত খেলে কিংবা বড় বড় কামড় দিয়ে খেলে ওজন বাড়ার প্রবণতা বাড়ে। কারণ এক্ষেত্রে খুব অল্প সময়েই অনেক বেশি খাবার খাওয়া হয়ে যায়। সমতল প্লেটের চাইতে মাঝে কিংবা চারদিকে একটু উঁচু প্লেটে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। তাহলে অল্প খাবারকেও বেশি মনে হবে এবং বেশি খেয়ে ফেলার প্রবণতা কমে যাবে।

সকালের নাস্তা খান

অনেকেই ওজন কমানোর জন্য সকালের নাস্তা না খেয়ে একবারে দুপুরে খান অথবা না খেয়ে বাসা থেকে বের হয়ে পড়েন। যাদের এই অভ্যাস আছে তারা ওজন কমাতে চাইলে অভ্যাস বদলে ফেলুন। কারণ বিভিন্ন গবেষনায় দেখা গিয়েছে সকালে ঠিক মত নাস্তা করলে সারাদিন শক্তি পাওয়া যায় এবং অন্যান্য উচ্চ ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার ইচ্ছা কমে। ফলে কম ক্যালোরি গ্রহণ করা হয়। তাই সকালের নাস্তায় প্রোটিন ও ফাইবার যুক্ত খাবার রাখুন। রোজ সকালে ডিম ও ফল খেতে পারলে ভালো।

টিভি কিংবা কম্পিউটারের সামনে না খাওয়া

http://imgcdn.priyo.com/201310/man%20eating%20pizza%20and%20watching%20tv.jpg
আমরা যখন টিভির সামনে বসে কিংবা কম্পিউটার ব্যবহার করতে করতে খাই তখন আমরা বেখেয়ালেই অনেক বেশি খেয়ে ফেলি। আমাদের মন অন্য কিছু নিয়ে ব্যস্ত থাকলে আমরা কতটুকু খাচ্ছি কিংবা কত ক্যালোরি গ্রহণ করছি সেটা মনে থাকে না। তাই এই অভ্যাসের কারণে অনেক বেশি ক্যালোরি গ্রহণ করা হয়। তাই টিভি কিংবা কম্পিউটার ব্যবহারের সময় না খেয়ে খাবার টেবিলে বসে মনোযোগ দিয়ে খান। তাহলে মনের ভুলে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করার প্রবণতা কমে যাবে।

গভীর রাতে খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন

অনেকেই ইদানিং রাত জাগেন। গভীর রাত জেগে মনোযোগ দিয়ে বিভিন্ন জরুরী কাজ করেন কিংবা বন্ধুদের সাথে গল্পে মেতে ওঠেন। রাত জাগলে ক্ষুধা তো লাগবেই। ক্ষুধা লাগলে আপনি যে খাবারটি খাবেন সেটা আপনার শরীরে যোগ করছে বেশ কিছু অতিরিক্ত ক্যালোরি। ফলে মোটা হচ্ছেন আপনি। রাতে ঘুমানোর সময় শরীর কোনো ক্যালোরি ক্ষয় করে না। ফলে রাত করে যে খাবারটি খাচ্ছেন সেটা পুরোটাই জমছে আপনার শরীরে। তাই রাতে ঘুমানোর অন্তত ২ ঘন্টা আগেই খেয়ে নিন। আর গভীর রাতে যদি ক্ষুধা লাগেই তাহলে শশা কিংবা গাজর খান।



পেটের মেদ নিয়ে ভাবনা

ডাঃ ওসমান গনি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
http://www.banglanews24.com/new/thumbnail.php?file=belly_fat_bg_382001801.jpg&size=article_large
ফন্টের আকার
Decrease font
Enlarge font
পেটের মেদ শরীরের অন্য অংশের মেদের চেয়ে একটু আলাদা। শরীরের  অন্য অংশের মেদ সাধারণত চামড়ার নিচে জমে থাকে। 

তবে পেটের মেদ লিভার, কিডনি ও অন্যান্য অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সাথে লেগে জমে থাকে, যা অনেক সময় প্রাণঘাতি হয়ে দেখা দিতে পারে। পেটের মেদের সাথে হার্টের সমস্যা থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস ও অন্যান্য সমস্যার জোরালো সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়।

আমরা অনেকেই পেটের মেদ কমানোর জন্য বেলি স্ট্রোক অর্থাৎ পেটের মাংশ পেশীর  ব্যায়াম করে থাকি। এর ফলে পেটের মাংশ পেশীর টোন বা আকৃতি সুন্দর হলেও পেটের মেদ কমাতে তা খুব একটা কাজে দেয় না। পেটের মেদ কমাতে হলে প্রয়োজন পুরো শারীরিক ব্যায়াম।

মনে রাখবেন, ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট হালকা জগিং বা জোরে হাটার পর রক্তে চলমান ফ্যাট শেষ হয়ে দেহে সঞ্চিত ফ্যাট ভাঙতে শুরু করে। তাই এই ৪০ বা ৪৫ মিনিটের পর আপনি যদি ১০ বা ১৫ মিনিট ও জগিং বা জোরে হাঁটতে পারেন, তাহলেই প্রতিদিন একটু একটু করে আপনার জমানো চর্বি কমতে থাকবে।

তবে প্রথম দিনই ৪০-৪৫ মিনিট জগিং শুরু করবেন না। এর ফলে আপনার শরীরে ব্যথা হতে পারে, ফলে আপনি পরবর্তীতে ব্যায়াম করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন। তাই প্রথম দিন ১০ মিনিট, পরের দিন ২০ মিনিট এভাবে সময় বাড়ান এবং ১ ঘণ্টাতে স্থির  থাকুন। মনে রাখবেন, অতি দ্রুত ওজন কমানো গেলেও এতে হিতে বিপরিত হতে পারে। ওজন কমানোর মূল মণ্ত্র হল মটিভেসন ও একাগ্রতা।

এখন বলে রাখি, শুধু ব্যায়াম করলেই অনেক সময় মেদ কমে না, এর জন্য আপনাকে খাবার গ্রহণেও সতর্ক হতে হবে। খাবারে প্রচুর পরিমাণে আঁশ জাতীয় খাদ্য যেমন শাক সবজি রাখুন। চর্বি জাতীয় খাবার কম খান। ফাস্ট ফুড খাওয়া বন্ধ করতে হবে।

এতোক্ষণ জানলেন জমানো চর্বি কমানোর কথা। এবার জেনে নিন, যাদের পেটে তেমন মেদ নেই তবে ধীরে ধীরে বেড়ে যাচ্ছে তারা কী করবেন? সম্প্রতি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি রাতে ঘুমাতে যাবার আগে যদি একজন ব্যক্তি মাত্র ১০ মিনিট আস্তে আস্তে হাঁটেন, তবে তার দেহে যে হরমন ও আঞ্জায়েম নিস্রিত হয়, তাতে সারা দিনে খাবারের সাথে গ্রহণ করা সমস্ত অতিরিক্ত চর্বি রক্ত থেকে পরিস্রুত হয়ে যায় এবং দেহে জমতে পারে না। কেবল এই ১০ মিনিট হাঁটার কারণে যে পরিমাণ চর্বি জমতে বাধা পায়, তা যদি আমরা ব্যায়াম এর মাধ্যমে কমাতে চাইতাম, তার জন্য আমাদের ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা এক নাগারে জোরে দৌঁড়াতে হত!

তাই নিয়ম মেনে পরিমিত ব্যায়াম করে গেলে ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করলে পেটের মেদই শুধু নয়, সারা দেহের মেদ কমিয়ে কাঙ্ক্ষিত ফিগার পেতে পারি।
ডাঃ ওসমান গনি