Friday, February 1, 2013

মেলানিনকে উজ্জীবীত করে রক্তের বিলিরুবিন, হিমোগ্লোবিন ও বিটাক্যারোটিন।

অথচ স্পিরুলিনায় থাকে গাজরের চাইতে ১০ গুণ বেশি বেটা-ক্যারোটিন যা কিনা বার্ধক্য কমিয়ে আনার অন্যতম হাতিয়ার।

 আর গাজরে রয়েছে অনেক বেশী বিটাক্যারেটিন।






রোগ প্রতিরোধ এন্টি-অক্সিডেন্ট

দীর্ঘজীবী হওয়ার সাধ সবার মধ্যে থাকে। কে না চায় বার্ধক্য বিলম্বিত করতে, কে না চায় হৃদরোগ মুক্ত থাকতে অথবা অন্যান্য রোগ থেকে দুরে থাকতে। কিন্তু প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে বার্ধক্য আসে, হয় নানা রোগব্যাধি। এসব রোগব্যাধির সঙ্গে যুদ্ধ করতে সামনের সারিতে থাকে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমেই জানা দরকার ফ্রি-র‌্যাডিক্যালস কী এবং কীভাবে উৎপন্ন হয়।
আমাদের শরীরের মধ্যে প্রতিনিয়ত চলছে মেটাবলিজম বা জারনক্রিয়া। জারন-প্রক্রিয়ায় প্রতি মুহুর্তে উৎপন্ন ফ্রি-র‌্যাডিক্যালস শরীরের কোষকলার ক্ষতিসাধিত হয়। এই ফ্রি-র‌্যাডিক্যালসের কারণে অকাল বার্ধক্য, হৃদরোগ, ক্যাসার এবং অন্যান্য রোগব্যাধি হয়। ফ্রি-র‌্যাডিক্যালসের হিংস্রতাকে নির্মুল করতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস বা জারনবিরোধী ক্ষমতাসম্পন্ন ডায়েট অপরিহার্য।
ফ্রি-র‌্যাডিক্যালস বনাম অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টসঃ ফ্রি-র‌্যাডিক্যালস এক ধরনের মুক্ত পরমাণু। এদের ধর্মই হলো স্হায়ী হওয়ার চেষ্টা করা। আর এই স্হায়ী হওয়ার প্রক্রিয়ায় এরা কোষ প্রাচীর ডিএনএ এদের অনবরত আক্রমণ করতে থাকে এবং ফলস্বরুপ আরো ফ্রি-র‌্যাডিক্যালস তৈরি হতে থাকে। আর যতক্ষণ না পর্যন্ত কোনো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস এদের নিরস্ত্র না করে এরা এদের ধ্বংসাত্মক আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকে। আর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টসই শরীরকে ফ্রি-র‌্যাডিক্যালস নামক সন্ত্রাসবাদী হানার হাত থেকে বাঁচায়। আমাদের শরীরের ভেতর সুপার অক্সাইড ডিসমিউটেজ, গ্লটাথিওন পার-অক্সাইড ইত্যাদি এনজাইম আছে, এরা এক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস, তবে খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে রোজকার ষ্ট্রেস, ষ্ট্রেন, টেনশন, ধুমপান শরীরের এই নিজস্ব অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টসের ক্ষতি করে দেয়।
কোথায় পাবেন অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টসঃ নিশ্চয় ভাবছেন এই অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস নামক বস্তুটির জন্য খুব মহার্ঘ খাবার-দাবার খেতে হবে। আসলে তা একদম ঠিক নয়। আমাদের দৈনন্দিন অনেক খাবারের মধ্যেই অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস থাকে।
আলফা ক্যারোটিন, বিটা ক্যারোটিন লাইকোপিন, ক্রিপটোজ্যানথিন, ক্যানজ্যানথিন লিউটেন, বায়োফ্ল্যাভোনয়েডেস পলিফিনলিক অ্যাসিড, ট্যানিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই কপার, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম, আয়রন ইত্যাদি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস হিসেবে কাজ করে। এসব খটমট নাম দেখে ঘাবড়ে যাওয়ার আসলে কিছুই নেই। আমাদের অনেক চেনা শাক-সবজিতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস, যেমন ধরুন পালংশাক, লালশাক, কুমড়োশাক, ধনেপাতা, পুদিনা পাতা, সজনা ডাঁটা, পুঁইশাক ইত্যাদি সবরকম শাকে আছে বিটা ক্যারোটিন আর ঢেঁড়স আর মটরশুঁটিতেও আছে প্রচুর
বিটা ও আলফা ক্যারোটিন আলফা ক্যারোটিন পাবেন বাঁধাকপি, গাজর ও লাইকোপিন নামক এক ধরনের উচ্চমানের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস, যা ক্যাসার প্রতিরোধ করে। পাবেন টমেটো ও তরমুজে। পাকা আম, পাকা পেঁপে, কমলালেবু ইত্যাদিতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস পাবেন। জেনে রাখুন, পাকা কুমড়াতে আছে ক্রিপটোজ্যানথিন নামক আর এক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস। ক্যারাটিনয়েড ফ্যামিলির অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস পাওয়া যাবে বিভিন্ন রঙিন শাক-সবজি ও ফলমুলে। তাই যারা ফলমুল খেতে পছন্দ করেন, বেশি করে ফল খান, মিটিয়ে নিন প্রয়োজনীয় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টসের চাহিদা, আর যারা শাক-সবজি খেতে ভালবাসেন তাদের জন্য রইল অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টসের চাহিদা মেটানোর সুবর্ণ সুযোগ
টাটকা সবুজ শাক-সবজিতে রয়েছে ভিটামিন এ, ও সি যা আমাদের মোটামুটি সবারই জানা আছে। আনারস, টমেটো, সব ধরনের লেবু, আপেল, কলা, পেয়ারা-বেদানা ইত্যাদিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। কালো জামে রয়েছে লিউটেন নামক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। নানারকম শস্য মানে-চাল, গম, সয়াবিন, ডাল, শুকনো ফল অর্থাৎ কিসমিস, খেজুর, বাদাম ইত্যাদিতে আছে কপার। দুধ, সামদ্রিক মাছ আর মাংসে আছে সেলেনিয়াম।


xcvx





********************



*********************************

No comments:

Post a Comment