Friday, February 1, 2013

যেসব “ভালো” খাবার অতিরিক্ত খাওয়া বিপদজনক


যেসব ভালো খাবার অতিরিক্ত খাওয়া বিপদজনক

1 1 1 1 1 1 1 1 1 1 Rating 0.00 (0 Votes)
Details
Hits: 66
carrot bdmedic

মাঝে মাঝে রান্না খুব মজা হলে আমরা পেট ভরে খেয়ে নেই আর হাঁসফাঁস করি। তখন মজা করে বলি এতো বেশি খেয়েছি যে মরেই যাবো। কথাটি মজা করে বলা হলেও এমন কিছু খাবার আছে যা বেশি খাওয়া হয়ে গেলে তা আমাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে, অদ্ভুত কিছু শারীরিক জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে এমনকি ঘটতে পারে মৃত্যু! জেনে নিন এমন কিছুভালোখাদ্য পানীয়ের কথা, যা বেশি পরিমাণে খেলে উল্টো আপনার ক্ষতি হতে পারে

) গাজর

গাজরে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল এবং আঁশজাতীয় উপাদান যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কিন্তু খুব বেশি পরিমাণে গাজর খাওয়ার ফলে শরীরে জমা হতে পারে অতিরিক্ত পরিমাণে বেটা-ক্যারোটিন, যা ভিটামিন এর উপাদান। এই বেটা ক্যারটিন রক্তে বেশি থাকলে চামড়ার রঙ পালটে হলদেটে হয়ে যেতে পারে, ত্বকে আসতে পারে কমলা এক ধরণের আভা
ক্যারোটেনেমিয়া নামের এই জটিলতাটি ঘটার মূল কারণ হলো, বেটা ক্যারোটিন আমাদের ত্বকের নিচে থাকা চর্বিতে দ্রবণীয় এবং তারা ওই চর্বিতে একটা স্তর তৈরি করে, যার ফলে ত্বকের রঙ পরিবর্তিত হয়ে যায়। বিশেষ করে হাতের তালু, পায়ের তলা, হাঁটু এবং নাকের আশেপাশে এই রঙ পরিবর্তন বোঝা যায় বেশি
সাধারণত বাচ্চাদেরকে বেশি পরিমাণে গাজরযুক্ত খাবার খাওয়ালে ক্যারোটেনেমিয়া হয়। কিন্তু বড়দের মাঝেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। আধা কাপ গাজর কুচি কয়েক মাস ধরে নিয়মিত খেলে ত্বকে এই কমলা আভা দেখা দিতে পারে। তবে সুসংবাদ হলো, ত্বকের এমন অদ্ভুত রঙ হয়ে যাওয়া ছাড়া ক্যারোটেনেমিয়া শরীরে তেমন কোনো সমস্যা তৈরি করে না

) কফি

অনেকে যদিও ক্লান্তি তাড়ানোর জন্য, শরীর চাঙ্গা করার জন্য এবং দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার জন্য কাপের পর কাপ কফি পান করে থাকেন, এতো বেশি কফি আসলে শরীরের জন্য মোটেই ভালো নয়। দিনে ৫০০-৬০০ মিলিগ্রামের বেশি ক্যাফেইন পান করা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। ৬০০-৯০০ গ্রামের বেশি কফি পানে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন উপসর্গ, যেমন অনিদ্রা, অস্থিরতা, বমি ভাব, অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন, পেশীর কম্পন, বিষণ্ণতা এবং মাথাব্যাথা। এমনকি একসাথে অতিরিক্ত কফি পান করার ফলে মৃত্যু হবারও ঘটনা ঘটেছে। ২০১০ সালে প্রকাশিত এক সুইডিশ গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, ২১ বছর বয়সী এক নারী ১০,০০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন একবারে খেয়ে ফেলায় হার্ট অ্যাটাক করেন। তাকে সে সময়ের জন্য বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব হয় কিন্তু তিন দিন পরে তার শরীর ওষুধে সাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেয় এবং তিনি মারা যান
kamarang bdmedic

) কামরাঙ্গা

অতিরিক্ত কামরাঙ্গা আমাদের শরীরের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের ওপর নেতিবাচক প্রভাব রাখতে সক্ষম। সুস্থ মানুষ যদি পরিমিত পরিমাণে খায় তবে কামরাঙ্গা তাদের কোনো ক্ষতি করে না। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি কিডনির সমস্যা যাদের আছে, তাদের কামরাঙ্গা খাওয়ার ব্যাপারে সাবধান থাকা উচিৎ। ২০০৬ সালের এক কেস স্টাডি থেকে দেখা যায়, একজন কিডনি রোগী কামরাঙ্গা খাবার পর খুবই অসুস্থ হয়ে যান। তার কিডনির কর্মক্ষমতা কমে যায় এবং কিডনির স্থায়ী ক্ষতি হয়ে যায়। ২০০৯ সালের আরেকটি ঘটনায় দেখা যায়, ৭৬ বছর বয়সী এক নারী দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগে ভুগছিলেন। মাত্র দুইটি কামরাঙ্গা খাওয়ার পর তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন
সাধারণত কামরাঙ্গা খেয়ে শরীরে বিষক্রিয়া হবার কিছু ছোটখাটো উপসর্গ আছে। হেঁচকি ওঠা, বমি হওয়া, দুর্বলতা, অনিদ্রা, মূর্ছা যাওয়া, খিঁচুনি এবং হাইপারটেনশন। যাদের কিডনি রোগের ইতিহাস আছে তাদের কামরাঙ্গা এবং তা থেকে তৈরি করা খাবার এড়িয়ে চলা উচি

) পানি

পানির অপর নাম জীবন। কিন্তু খুব বেশি পানি পানেও হতে পারে বিপদ। অতিরিক্ত পানি খেয়ে ফেললে কি হবে জানেন? আপনার রক্তে থাকা সোডিয়ামের ঘনত্ব কমে যাবে এবং ইলেক্ট্রোলাইটিক ইমব্যালান্স তৈরি করবে। হাইপোনাট্রেমিয়া নামের বিষক্রিয়া হয় অতিরিক্ত পানি খাবার ফলে এবং এটা খেলোয়াড়দের মাঝে বেশি দেখা যায়

) জায়ফল

খাবারে মশলা হিসেবে হালকা জায়ফলের গুঁড়ো আপনার ওপরে ক্ষতিকর কোনো প্রভাব ফেলে না। কিন্তু কোনোভাবে ২০-৮০ গ্রামের মতো খেয়ে ফেললে তার ফলাফল হয় ভয়াবহ। এটার প্রভাব যতটা না শারীরিক, তার চাইতে বেশি মানসিক। মানুষের দৃষ্টিবিভ্রম হতে থাকে এবং বাস্তবতা থেকে তারা আলাদা হয়ে যান, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। জায়ফলের গুঁড়োয় থাকা মাইরিসটিসিন এর প্রভাবে এসব সমস্যা হতে দেখা যায়

জেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, উপজেলায় চলতি মৌসুমে প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন হাইব্রীড জাতের টমেটোর চাষ হয়েছে। আর এই বিপুল পরিমাণ জমি থেকে উৎপাদিত টমেটোতে অতিরিক্ত লাভের আশায় অপরিপক্ব টমেটো জমি থেকে উত্তোলনের পর মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রাইপেন জাতীয়  ইথেফোন নামের এক ধরনের রাসায়নিক কেমিকেল মিশিয়ে এবং রোদে শুকিয়ে টমেটোতে কৃত্রিম রং ধরিয়ে তা বাজারজাত করেছে কৃষকরা। যদিও ইথেফোন গ্রুপের কেমিকেলগুলো বিভিন্ন শাক-সবজির ক্ষেতে বিষ হিসেবে প্রয়োগের কথা। কিন্তু এই ইথেফোনই এখন ব্যাবহার করা হচ্ছে কৃত্রিম উপায়ে টমেটো পাকাতে।
জানা গেছে, গোদাগাড়ীতে এখন রাইজার-১৫, রাইপেন, ইমিপ্রাস, টমটম, ইডেন, প্রলং ও হারভেষ্টসহ বিভিন্ন নামের দেশীয় ইথেফোনের পাশাপাশি ভারতীয় ইথেফোন বিক্রি হচ্ছে ২শ-২৫০ টাকার মধ্যে। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অপরিপক্ব টমেটো জমি থেকে উত্তোলনের পর রোদে শুকিয়ে ইথেফোন স্প্রে করা হলে দুই-তিন দিনের মধ্যে টমেটোতে লাল রং ধারণ করে। এতে কাঁচা টমেটো অপেক্ষা বেশি দরে বিক্রি হয় কেমিকেলযুক্ত লাল রংয়ের টমেটো।

No comments:

Post a Comment