Friday, February 1, 2013

ব্যস্ততায় সৌন্দর্য ধরে রাখুন

ব্যস্ততায় সৌন্দর্য ধরে রাখুন
অনলাই ডেস্ক
দৈনন্দিন জীবনে নারীরা এখন সংসার এবং কর্মক্ষেত্র নিয়ে খুবই ব্যাস্ত।যার ফলে নিজের যেত্নর প্রতি খেয়াল থাকে না। আর ধীরে ধীরে তারা হাড়িয়ে ফেলে তারন্য। মনের দিক থেকে সে একসময় বুড়ো হতে শুরু করে। ব্যস্ততার মাঝে যেসব নারীরা নিজের সৌন্দর্য হাড়িয়ে ফেলতে বসেছেন তাদের জন্য আমাদের এই আয়োজন। খুব সহজে ঘরে বসে সৌন্দর্য ধরে রাখতে কিছু টিপস দেয়া হল:
#
মধু আর কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন মিনিটপনেরো। মধু যখন আপনার ত্বক উজ্জল করবে, লেবুর প্রাকৃতিক ব্লিচিংগুন ত্বককে করবে আরও ফর্সা।
#
প্রতিদিনই ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধুলোবালি ত্বকে ব্রণ তৈরিতে সাহায্য করে। এ জন্য দরকার ময়েশ্চার প্যাক। ডিমের সাদা অংশ ও মধু মিশিয়ে রাখুন। মুখে ২০ মিনিট লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে মুখের দাগ কমে ত্বক উজ্জ্বল হবে।
#
ব্রনের উপর রসুনের কোঁয়া ঘষে নিন ,তাড়াতাড়ি মিলিয়ে যাবে ।
#
আপেল খাবেন তখনই আপেলের খোসাটা হাত পায়ে ঢলে নিন ।ফর্সা হবে পরিস্কার হবে।
#
পায়ের গোড়ালী ফাটলে ,পেয়াজ বেটে প্রলেপ দিন ।ক্রীম কিংবা স্ক্রাব এর ঝামেলায় যেতে হবেনা ।
#
প্রতিদিন টুথপেষ্ট দিয়ে দাত মাজেন কুলি করেন তবুও মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয় ?ব্যাপার না ,নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে টানা দুইমাস নিয়মিত দুই কোঁয়া করে কমলালেবু খান ।
#
পুরনো তেঁতুল পানিতে গুলে নিন। গোলানো তেঁতুল চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগান। ১০-১২ মিনিট অপেক্ষা করে চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দুদিন তেঁতুল মাথায় দিন। এতে খুশকি যেমন দূর হয় তেমনি মাথার চুলকানিও কমে যায়।
#
উজ্জ্বল ত্বকের জন্য মটর ডাল বাটা, সয়াবিন গুঁড়ো অথবা চালের গুঁড়ো বা ময়দার সঙ্গে বাঙ্গি মিশিয়ে নিন। একটু ম্যাসাজ করে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক উজ্জ্বল থাকবে।
#
কাঁচা দুধে তুলা ভিজিয়ে ঠোটে ঘষুন ,কালো দাগ তো উঠবেই সাথে ঠোটে গোলাপী ভাব আসবে ।
#
কনুইয়ের কালো দাগ দূর করতে লেবুর খোসায় চিনি দিয়ে ভালো করে ঘষুন । চলে যাবে ।
#
ফুটন্ত পানিতে কয়েকটা তুলসীপাতা ও নিমপাতা ফেলে সেই ভাপটা নিবেন, কারন এতে ত্বক পরিস্কার হয়।






চোখের নিচে কালি?

আপডেট: ০০:০২, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৪ | প্রিন্ট সংস্করণ
কনসিলার দিয়েও ঢেকে রাখতে পারেন চোখের নিচের কালি। মডেল: পিয়া বিপাশা। ছবি: নকশাচোখের নিচের কালি অনেকেরই দুশ্চিন্তার কারণ। আবার উল্টোভাবেও বলা যায়, দুশ্চিন্তার কারণেও কালি পড়ে চোখের নিচে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চর্মরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হরষিত কুমার পাল জানিয়েছেন কালি পড়ার কারণ এবং এর প্রতিকার।
 ঘুম কম হওয়ায় বা দীর্ঘদিন কোনো অসুখে ভোগার কারণে চোখের নিচে কালি পড়লে তার জন্য কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। তা এমনিতেই চলে যাবে।
 চোখের নিচের কালি দূর করার জন্য বিভিন্ন ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এসব ক্রিম ব্যবহারে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হতে পারে। ক্রিম ব্যবহারের আগেই তা খেয়াল রাখতে হবে। ক্রিম ব্যবহার বা অন্য কোনো ধরনের চিকিৎসা নিলেই যে চোখের নিচের কালি পুরোপুরি চলে যাবে, তা নয়। তবে তা অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব।
 চোখের নিচের কালি প্রতিরোধে রোদে যাওয়ার সময় ছাতা ব্যবহার করুন।
 সানব্লকও ব্যবহার করতে পারেন।
রূপবিশেষজ্ঞ ফারজানা শাকিলের পরামর্শগুলোও দেখে নিতে পারেন।
 যেকোনো ধরনের মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।
 প্রচুর পানি ও দুধ পান করুন।
 কুচি করা শসা দিয়ে গোল বল বানিয়ে চোখের ওপর দিয়ে রাখুন। এ অবস্থায় অন্ধকার ঘরে ১০ থেকে ১৫ মিনিট থাকুন।
 একই পদ্ধতিতে শসার পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন কুচি করা আলু।
 কদম ফুলের পাপড়ি বেটে ৫ থেকে ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এতে চোখের নিচের কালো দাগ অনেকটাই দূর হবে। এটি না পেলে পুদিনাপাতা বা নিমপাতাও ব্যবহার করতে পারেন।
 এ ছাড়া কালি দূর করার জন্য চোখের নিচে লাগানোর ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
 প্রতিদিন ঘুমানোর আগে অবশ্যই মুখ পরিষ্কার করবেন।
 কোনো বিউটি পারলারে এসে প্রতি ১০ দিন পর পর আই ট্রিটমেন্ট করাতে পারেন। করাতে পারেন হোয়াইটেনিং ফেসিয়ালও।
 হরমোনজনিত সমস্যা বা অন্য কোনো শারীরিক সমস্যার কারণে চোখের নিচে কালো দাগ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
 তবে বংশানুক্রমিকভাবে চোখের নিচে কালি হলে, তা দূর করার জন্য তেমন কিছুই করার থাকে না।
গ্রন্থনা: রাফিয়া আলম



রূপচর্চায় যত শ্রুতি

আপডেট: ০০:১১, মার্চ ০৪, ২০১৪ | প্রিন্ট সংস্করণ

ত্বক ও চুলের যত্নে আমরা নানা কিছু করে থাকি, মেনে থাকি নানা নিয়ম। তবে তার সবটাই কি সঠিক? কেউ বলেন একটা তো অন্যজন এসে একেবারেই দেন ভিন্ন পরামর্শ। তাই রূপচর্চায় কোন নিয়মগুলো সঠিক আর কোনগুলো ভুল, সেই বিভ্রান্তি দূর করতেই নকশার এই আয়োজন। জেনে নিন রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীনের মতামত।
রূপচর্চার যেকোনো পরামর্শই মেনে নেবেন না, ভালমতো বুঝে-শুনে নিন মডেল: তিশা শশা চোখের নিচের ফোলা ভাব দূর করে।
রূপবিশেষজ্ঞ বলেন: এটি ভুল। চোখের এই ফোলা ভাবটা বেশির ভাগ সময়ে বংশগত কারণে হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে এটা শুধু শশা নয়, এ ধরনের কোনো কিছু দিয়েই দূর করা সম্ভব নয়। এটি মেকআপের মাধ্যমেই ঢেকে রাখা যেতে পারে। কিন্তু একেবারে ঠিক করে ফেলা সম্ভব নয়।
 নিয়মিত শ্যাম্পুর ব্র্যান্ড পরিবর্তন না করলে তা কাজ করে না।
রূপবিশেষজ্ঞ বলেন: সম্ভব হলে তিন মাস পর পর শ্যাম্পুর ব্র্যান্ড পরিবর্তন করা ভালো। কিন্তু কেউ চাইলে এক শ্যাম্পুই সব সময় ব্যবহার করতে পারেন। পরিবর্তন করে ব্যবহার না করলে তা কাজ করবে না—এ কথা সঠিক নয়।
 চুলে মেয়োনেজ লাগালে চুল ঝলমলে হয়।
রূপবিশেষজ্ঞ বলেন: এটা আংশিক ভুল ধারণা। শুধু মেয়োনেজ লাগালে চুলের কোনো উপকার হবে না, তবে মেয়োনেজের সঙ্গে ডিমের সাদা অংশ, তেল ইত্যাদি মিশিয়ে লাগালে চুল সুন্দর হয়।
 একটি পাকা চুল তুললে সেই জায়গায় আরও দুটি পাকা চুল ওঠে।
রূপবিশেষজ্ঞ বলেন: এটা একেবারেই ভুল ধারণা। পাকা চুল তুলে ফেলার কারণে সেখানে পাকা চুল আরও বেশি করে গজাবে—এ কথা ঠিক নয়।
 ব্রণের ওপর টুথপেস্ট লাগালে তা কমে যায়।
রূপবিশেষজ্ঞ বলেন: এটা ঠিক। টুথপেস্ট ব্রণে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
 চকলেট ও অন্যান্য অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে ত্বকে ব্রণ হয়।
রূপবিশেষজ্ঞ বলেন: এটা নির্ভর করে ব্যক্তির ওপর। কারও চকলেটে অ্যালার্জি থাকলে এমন হতে পারে। অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার খেলেও ত্বকে ব্রণ হতে পারে।
 সুইমিং পুলে নিয়মিত সাঁতার কাটলে ত্বকের রং অনুজ্জ্বল হয়ে যায়।
রূপবিশেষজ্ঞ বলেন: এটা সত্যি। সুইমিং পুলের পানি পরিষ্কার রাখার জন্য সেখানে ক্লোরিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই ক্লোরিনের সংস্পর্শে এলে ত্বক অনুজ্জ্বল হয়ে যায়। আবার চুল রুক্ষ ও খসখসে হয়ে যেতে পারে। এ জন্য সুইমিং পুলে সাঁতার কাটার সময় মাথার চুল ঢেকে রাখতে হবে।
 রাতে ঘুমানোর আগে মুখে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে রাখলে বলিরেখা দূর হয়।
বিশেষজ্ঞের অভিমত: না। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে। তবে সম্পূর্ণভাবে বলিরেখা দূর করতে সক্ষম নয়।
 নিয়মিত নখে নেইলপলিশ ব্যবহার করলে নখ হলদে হয়ে যায়।
রূপবিশেষজ্ঞ বলেন: এটা ঠিক। সব সময় নেইলপলিশ লাগিয়ে রাখলে নখের রং হলদে হয়ে যেতে পারে। এ জন্য নখের যথাযথ পরিচর্চার প্রয়োজন।
 কোকো বাটার বা জলপাই তেল লাগালে ত্বকের বলিরেখা বা স্ট্রেচমার্ক দূর হয়।
রূপবিশেষজ্ঞ বলেন: কোকো বাটার বা জলপাই তেল দিয়ে এই দাগ দূর করা সম্ভব নয়। তবে এখন বাজারে কিছু ক্রিম কিনতে পাওয়া যায়, যা ব্যবহার করলে উপকার পেতে পারেন।
 নিয়মিত লিপস্টিক লাগালে ঠোঁটের রং কালচে হয়ে যায়।
রূপবিশেষজ্ঞ বলেন: নিম্নমানের ও মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া লিপস্টিক ব্যবহার করলে এমনটা ঘটতে পারে।
 চা-কফি অতিরিক্ত পান করলে গায়ের রং অনুজ্জ্বল হয়ে যায়।
রূপবিশেষজ্ঞ বলেন: এটা একেবারেই ভুল ধারণা। ত্বকের রং অনুজ্জ্বল করতে এর কোনো ভূমিকা নেই।
ত্বক ও চুলের যত্নে সব সময় নিজের সঙ্গে মানানসই পণ্য ব্যবহার করুন তিন মাস অন্তর চুলের আগা না ছাঁটলে চুল লম্বা হয় না।
রূপবিশেষজ্ঞ বলেন: এটা ঠিক নয়। কারণ, চুল বাড়ে গোড়ার দিক থেকে আগার দিক থেকে নয়। চুলের ফেটে যাওয়া আগা ফেলার জন্যই তিন মাস পর পর চুলের আগা ছেঁটে ফেলতে হয়, চুল দ্রুত বড় হওয়ার জন্য নয়।

 রাতে মাথায় তেল দিয়ে শক্ত করে বেণি করে রাখলে চুল দ্রুত লম্বা হয়।রূপবিশেষজ্ঞ বলেন: না। বরং প্রতিরাতে চুল শক্ত করে বেঁধে রাখলে চুলের গোড়া নরম ও দুর্বল হয়ে যায়।
 বেশি চুল আঁচড়ালে চুল পড়ে যায়।রূপবিশেষজ্ঞ বলেন: এ কথা ঠিক নয়। কারণ, চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হওয়া জরুরি। আর সঠিক নিয়মে চুল আঁচড়ানোর কারণে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন-প্রক্রিয়া ঠিক থাকে।
 ছোটবেলায় চুল বারবার ন্যাড়া করে দিলে চুল ঘন হয়।রূপবিশেষজ্ঞ বলেন: এই ধারণা সঠিক নয়। কারণ, মানুষের মাথার ত্বকে চুলের (হেয়ার ফলিকল) সংখ্যা জন্মগতভাবে যা থাকে, তার চেয়ে কখনোই বৃদ্ধি পায় না। তাই ন্যাড়া করলেই চুল ঘন হবে, এটা ভাবা ভুল।
 ঘুমানোর সময় মাথার বালিশে মখমলের ঢাকনা ব্যবহার করলে মুখে বলিরেখা পড়ে না ও চুলের আগা ফাটে না।রূপবিশেষজ্ঞ বলেন: এ ধারণা ঠিক নয়। মুখের বলিরেখা বা চুলের আগা ফেটে যাওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকে। মখমলের বালিশের কভার ব্যবহার এ সমস্যা থেকে রেহাই দিতে পারবে না।
 শীতকালের তুলনায় গ্রীষ্মকালে চুল দ্রুত বড় হয়।রূপবিশেষজ্ঞ বলেন: চুল বাড়ার বিষয়টি ঋতুবৈচিত্র্যের ওপর কোনোভাবেই সম্পর্কযুক্ত নয়। কার চুল কত দ্রুত ও কতটুকু বাড়বে, তা নির্ভর করে তার চুলের বৃদ্ধি কেমন, তার ওপর।
 পানি পান করলে ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়।রূপবিশেষজ্ঞ বলেন: শুধু পানি পান করলে ত্বকের শুষ্কতা দূর করা যায় না। যারা জন্মগতভাবেই শুষ্ক ত্বকের অধিকারী তাদের প্রচুর পানি পানের সঙ্গে সঙ্গে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ ও নিয়মিত ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম ব্যবহার না করলে ত্বকের শুষ্কতা দূর হবে না।
 চুলের ফেটে যাওয়া আগা প্রসাধনীর মাধ্যমে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া সম্ভব।
রূপবিশেষজ্ঞ বলেন: এটি সম্ভব নয়। আগা ফাটা রোধ করা যেতে পারে। তবে ইতিমধ্যে ফেটে যাওয়া আগাটুকু কেটে ফেলা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
 নিয়মিত ভ্রু প্লাক করলে তা পাতলা হয়ে যায়।
রূপবিশেষজ্ঞ বলেন: এটা ঠিক। প্রথমবার ভ্রু প্লাক করার পরবর্তী কিছু সময় তা খুব ঘন হয়ে গজায়, এরপর নিয়মিত প্লাক করতে করতে তা একসময় পাতলা হয়ে যায়।
 ঠান্ডা পানিতে চুল ধুলে চুল উজ্জ্বল হয়।
রূপবিশেষজ্ঞ বলেন: এ কথা সঠিক নয়।
 রাত জাগলে চোখে কালি পড়ে।
রূপবিশেষজ্ঞ বলেন: এটা ঠিক। সাধারণত একটানা অনেক দিন রাতে না ঘুমালে চোখের নিচে কালি পড়ে। তবে কারও কারও আবার অনেক রাত জাগার পরও চোখে কালি পড়ে না। সেটা ব্যতিক্রম ঘটনা।
 সব সময় একদিকে সিঁথি করলে সেদিকের চুল পাতলা হয়ে যায়।
রূপবিশেষজ্ঞ বলেন: ঠিক। এ জন্য সব সময় একদিকে সিঁথি না করে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে সিঁথি করা ভালো।
 হাত দিয়ে চোখ ঘষলে সেখানে বলিরেখা পড়ে যায়।
রূপবিশেষজ্ঞ বলেন: এটা ঠিক।
গ্রন্থনা: নাদিয়া মাহমু











বয়স নয়, ত্বকে বয়সের ছাপ লুকান
অনলাইন ডেস্ক
কষ্ট হলেও এটা মানতেই হবে যে বয়সকে আমরা ধরে রাখতে পারবো না। দ্রুত সময় কেটে যাওয়া মানেই হচ্ছে আমাদের বয়স বেড়ে যাওয়া। এতে হতাশ হওয়ার প্রয়োজন নেই।এর কারন বয়সের ছাপকে আমরা চাইলেই কমাতে পারবো। অনুশীলন, কিছু নিয়ম কানুন, খাদ্যাভ্যাস আর সচেতনতা আমাদেরকে সাহায্য করবে বয়সের ছাপকে ঢেকে রাখতে। 
#
কমপক্ষে সাত ঘণ্টা ঘুমান। ঘুমানোর সময় পিঠের উপর ভর করে ঘুমান। অনেকেই পেটের উপর ভর দিয়ে ঘুমায়। এতে চেহারার উপর প্রেশার সৃষ্টি হয়, যা চামড়াকে ঝুলিয়ে দেয়। 
#
মুখের বয়সের ছাপ বা বলীরেখার জন্য প্রধানত দায়ী সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি। তাই যতটা সম্ভব সূর্যের রশ্মি থেকে দূরে থাকুন। বিশেষ করে সকাল ১১টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত। অবশ্যই ভালো সানস্ক্রিন ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করুন। সানস্ক্রিন শুধু ত্বককে কালো করা বা বলীরেখা দূর করতে সাহায্য করে না, এটি ত্বকের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে। 
#
ধূমপান করবেন না। ধূমপান ত্বকে বলীরেখা সৃষ্টির জন্য অনেকাংশে দায়ী। 
#
খুব বেশি কপাল কুঁচকাবেন না। চোখে সমস্যা থাকলে চশমা ব্যবহার করুন। অনেকেই আছেন চোখ মুখ কুঁচকিয়ে কোন কিছু দেখার চেষ্টা করেন বা অধিকাংশ সময় চেহারায় একটি বিরক্তিকর ভাব নিয়ে থাকেন। এতে চামড়ার উপর প্রভাব পড়ে,যা তাড়াতাড়ি বলীরেখাকে প্রকাশ করে। 
#
মুখ সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। আবার অতিরিক্ত মুখ ধোয়া ঠিক নয়। কারণ অতিরিক্ত কোন কিছু ভালো নয়। রাতে ঘুমানোর আগে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে ঘুমান। 
#
মুখের মধ্যে যতটা সম্ভব কম হাত লাগান। 
#
সপ্তাহে ২ বার পাকা কলা চটকে মুখে গলায় ঘাড়ে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। 
#
ডিমের সাদা অংশ মুখে লাগান। 
#
ঘুমানোর আগে সপ্তাহে ২-৩ বার অলিভ অয়েল কয়েক ফোঁটা হাতে নিয়ে ৫ মিনিট মুখে ম্যাসাজ করুন। তারপর ভেজা তোয়ালে দিয়ে মুছে ফেলুন। 
#
মুখের যে অংশে মনে হচ্ছে কিছুটা বলীরেখার প্রভাব পড়ছে ,সেখানে লেমন জুস দিয়ে ম্যাসাজ করুন।এছাড়া প্রতিদিনের অভ্যাস এবং খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণে আনুন। ভাজা পোড়া খাবার যত কম খাবেন ততই ভালো। প্রতিদিন অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করুন। টেনশন থেকে দূরে থাকুন। হাস্যজ্জ্বল থাকুন। 
- See more at: http://www.bd-pratidin.com/2014/03/05/47030#sthash.i0eJC5s4.dpuf



css3menu.com/
শীতে নয় ভয়!

শীতে নয় ভয়!



শীতে নয় ভয়!
তীব্র শীতের সাথে শুরু হয়েছে ত্বকের নানাবিধ সমস্যা তাই এখন থেকেই শুরু হোক ত্বকের বাড়তি যত্ন এতে শীতের শুষ্কতা কমিয়ে ত্বককে করবে মসৃণ এবং স্বাস্থ্যজ্জ্বল

ময়েশ্চারাজার: শীতে ত্বকের যত্নে একটি ভালোমানের ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন। বাজার থেকে বাদাম তেল বা এভাকাডো সম্বৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার কিনুন। এগুলো ত্বকের স্বাভাবিক আদ্রতা  বজায় রাখতে সাহায্য করে। যতবার ত্বক শুষ্ক মনে হবে ততবার ব্যবহার করুন।

আদ্রতা ধরে রাখুন: শীতকালে ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে মাঝে মাঝে মুখে পানির ঝাপটা দিন। সহজে ত্বক শুষ্ক হবে না।

অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন: গোসলের সময় আরাম অনুভব হলেও অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে মুখ, মাথা ধোয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, অতিরিক্ত গরম পানি মুখের ত্বকের ফলিকলগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। গোসলের সময় পানিতে কয়েক ফোটা জোজোবা বা বাদাম তেল দিয়ে নিলে তা ত্বককে আদ্র এবং মসৃণ করতে সহায়তা করে।

ভেজা ত্বকে পরিচর্যা করুন: গোসলের পর এবং প্রতিবার মুখ ধোয়ার পর ভেজাঅবস্থায় ময়েশ্চারাইজার বা লোশন ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকবে।

ত্বক কোমল রাখতে এই সময়ে চটজলদি করে নিন কিছু ঘরোয়া যত্ন:

আধা কাপ চিনি, তিন টেবিল চামচ পানি এবং সমপরিমাণ ওলিভ ওয়েল দিয়ে ভালো ভাবে মিশিয়ে স্ক্র্যাব তৈরি করুন।

চাইলে পছন্দের পারফিউম বা সামান্য গোলাপ জল মেলাতে পারেন, এবার ঘষে ঘষে মাখুন। যতক্ষণ না আপনার ত্বক কাঙ্ক্ষিত কোমলতা পান।

চিনি গলে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে আলতো করে মুছে ময়েশ্চারাইজার লোশন বা ক্রিম লাগিয়ে নিন।

কফি আর ওলিভ ওয়েল দিয়েও তৈরি করতে পারেন প্রাকৃতিক স্ক্র্যাব।

বেকিং সোডা আমাদের কেক তৈরিতে ব্যবহার হয়, এটা তো আমরা সবাই জানি। কিন্তু আপনার ত্বকের স্ক্র্যাবিং এর দায়িত্ব ছেড়ে দিতে পারেন। শুভ্র এই পাউডারের ওপর। ত্বক পরিষ্কারে এবং ব্লাক হেডস দূর করতে এক টেবিল চামচ বেকিং সোডা পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করে ত্বকে মেখে ১০ মিনিট রেখে হালকা ঘষে ধুয়ে নিন।

এছাড়াও স্ক্র্যাব তৈরি করতে পারেন চিনি লেবুর রস, চালের গুড়া কমলার রস এবং সুজি পেঁপের রস দিয়ে।

সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার: শীত আসছে বলে ভাববেন না যে সানস্ক্রিন ব্যবহার করার প্রয়োজনীতা কমে গেছে। শীতকালেও বাইরে বের হওয়ার ৩০মিনিট আগে এসপিএফ ১৫-৩০ সম্পন্ন সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। - See more at: http://www.banglanews24.com/beta/fullnews/bn/352220.html#sthash.6I42L6ub.dpuf




 



No comments:

Post a Comment