Published on: শনিবার,
৮, ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ১:০৪ PM
বয়স যত বাড়বে বিভিন্ন
জিনিস মনে রাখার ক্ষমতাও আপনার তত কমতে থাকবে। অনেক সময় দেখা যায় সকালে কী খেয়ে বেরিয়েছেন
অফিসে গিয়ে তা মনে পড়ছে না। অথবা রাতে ঘড়িটা কোথায় রাখলেন সকালে ঘুম থেকে উঠে তা মনে
পড়ছে না। ব্রেনের স্মৃতিশক্তি ধরে রাখার কোষগুলো ক্ষয় হওয়ার কারণেই এমনটা হয়ে থাকে।
তবে নিয়মিত ব্যায়াম ও খাদ্য তালিকা নিয়ন্ত্রন করে অনায়াসে দীর্ঘদিন স্মৃতিকে কর্মক্ষম
রাখা যায়। নিচে স্মৃতিবর্ধক এমন কিছু খাবারের তালিকা দেওয়া হল:-
ফল: প্রতিদিনের খাদ্য
তালিকায় জাম, লিচু, স্ট্রবেরি, কালোজাম বা আঙ্গুরের মত ফল রাখা যেতে পারে। এই ফলগুলোতে
রয়েছে প্রচুর এন্টি-অক্সিডেন্ট যা ব্রেনের কোষগুলোকে অক্সিডাইস করে ক্রমাগত ক্ষয়ে
যাওয়া রোধ করে। ব্রেনের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ব্লু বেরীকে ব্রেনের জন্য সবচেয়ে
কার্যকর খাবার বলে ধরা হয়। এই ফলটি অ্যালজাইমার রোগ প্রতিরোধে সহযোগিতা করে ও শেখার
ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
কফি: দীর্ঘদিন কফি
পান করেন এমন ১৪০০ লোকের উপর চালানো গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দিনে তিন থেকে পাঁচ কাপ
কফি পান করেন তাঁদের স্মৃতিভ্রংশের রোগ অনেকটাই কম হয়। এদের তুলনায় যারা দিনে দুই
কাপ কফি খান তাদের ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সে অ্যালজাইমার
রোগে আক্রান্ত হবার আশঙ্কা বেশি। ধারণা করা হয়,কফিতে থাকা ক্যাফেইন ও এন্টি-অক্সিডেন্ট
ব্রেনের কোষগুলোকে সুরক্ষিত করে।
সামুদ্রিক মাছ: বিভিন্ন
সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান থাকে,যা
মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। মস্তিষ্কে থাকা ফ্যাটি এসিডের
৪০% হচ্ছে ডি এইচ এ, যা সামুদ্রিক মাছের তেলে
পাওয়া যায় ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড হিসেবে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
ব্রেনের বিভিন্ন কোষের মধ্যে সংবেদন আদান-প্রদান বাড়িয়ে দেয়।
চকলেট: ডার্ক চকলেট
যাতে অন্তত ৭০% কোকো থাকে, মস্তিষ্কের দক্ষতা বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা রাখে বলে গবেষণায়
প্রমাণিত। এতে ফ্ল্যাভোনয়েড নামে এক ধরণের এন্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা ব্রেনের কোষকে
সজীব ও কর্মক্ষম রাখে ।
ঘোল: দুধ থেকে তৈরি
দই খেলেও ঘোল অনেকেই খান না। ঘোলে থাকে ভিটামিন বি-১২৷ এই ভিটামিনের অভাবে স্মৃতিশক্তি
ভয়াবহভাবে হ্রাস পায়। ঘোলে থাকা ভিটামিন বি-১২ বয়সজনিত স্মৃতিশক্তি হ্রাস রোধ করে।
চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় মস্তিষ্কের সংকোচন কমিয়ে দেয়।
শাক-সবজি: প্রতিদিনের
খাদ্য তালিকায় রাখুন সবুজ শাক-সবজি। এদের মধ্যে থাকা প্রোটেক্টিভ এন্টি-অক্সিডেন্ট
মস্তিষ্ককে আরো অধিক কার্যক্ষম করে তোলে ।
বাদাম: বাদামে রয়েছে
ভিটামিন ই, যা হল আরো একটি এন্টি-অক্সিডেন্ট। এটিকে প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় রাখলে স্মৃতিশক্তি
ভালো থাকবে৷ এছাড়া আমন্ড বাদামও ব্রেনের কার্যক্ষমতা বাড়াতে বেশ উপযোগী৷
∕∕∕∕◊ভিটামিন
বিঃ
আটটি বি ভিটামিনকে একত্রে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স বলা হয়। সেগুলি হচ্ছে-
ভিটামিন বি ১, ভিটামিন বি ২, ভিটামিন বি ৩, ভিটামিন বি ৫, ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন বি ৭, ভিটামিন বি ৯ এবং ভিটামিন বি ১২।
→ এসবগুলি পানিতে দ্রবনীয় ভিটামিন।ভিটামিন বি কমপ্লেক্স শরীরের একটি অত্যান্ত প্রয়োজনীয় ভিটামিন, এবং প্রতিদিনের খাবারে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স থাকা খুবই জরুরী।
√ ভিটামিন বি ১ - এর অভাবে বেরিবেরি রোগ হয়।দূর্বলতা, বুক ধরফর করা, হাত
পা ব্যাথা করা ইত্যাদি এই ভিটামিন বি ১ এর অভাবে হয়ে থাকে।
যেমন-বাদাম, বীচি, শস্যদানা প্রভুতির দানার গায়ের আস্তরণে থায়ামিন থাকে। প্রক্রিয়াজাত খাদ্যে এই ভিটামিন কম থাকে-যেমন কলে ছাটা চাল, মিহি ময়দা, খোসা ছাড়ানো বীচি এমনকি ভাতের মাড়ের সাথেও এই ভিটামিন অনেকখানি চলে যায়। প্রাণিজ খাদ্যের মধ্যে মাছ, ডিম, হূদপিন্ড, যকৃত ইত্যাদিতে ভাল থায়ামিন পাওয়া যায়।
√ ভিটামিন বি ২ - ঠোট এবং তালু ফাটা, ঠোটের কোনায় ঘা, গলা শুকিয়ে যাওয়া ইত্যাদি এই ভিটামিন বি ২ এর অভাবে হয়ে থাকে।
√ ভিটামিন বি ৩ - চুলকানি, ত্বক খসখসে হয়ে যাওয়া, দূর্বলতা এবং ডাইরিয়া বি ৩ এর অভাবে হয়ে থাকে।
√ ভিটামিন বি ৫ - এর অভাবে ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
√ ভিটামিন বি ৬ - উচ্চ রক্তচাপ,রক্ত স্বল্পতা,বিষন্নতা এবং ত্বকের সমস্যা ভিটামিন বি ৬ এর অভাবে অভাবে হয়ে থাকে।
√ ভিটামিন বি ৭ - শিশুদের বৃদ্ধি এবং মানসিক বৃদ্ধি ভিটামিন বি ৭ এর অভাবে ব্যাহত হয়।
√ ভিটামিন বি ৯ - অভাবে রক্ত স্বল্পতা হয়। গর্ভবতি মায়েদের ভিটামিন বি ৯ এর অভাবে গর্ভস্থ শিশুর জন্মবিকৃতি ঘটে থাকে।
√ ভিটামিন বি ১২ - এর অভাবে রক্তস্বল্পতা এবং মানসিক সমস্যা দেখা যায়।
╬ ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এর উৎস -প্রায় সকল প্রাকৃতিক খাবার। সবজী এবং ফলে যথেষ্ট ভিটামিন বি কমপ্লেক্স পাওয়া যায়।তবে বিশেষ ভাবে ভিটামিন বি ১২'র জন্য ডিম ও দুধ খাওয়া প্রয়োজন,এটি একটি প্রাণীজ ভিটামিন।
আটটি বি ভিটামিনকে একত্রে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স বলা হয়। সেগুলি হচ্ছে-
ভিটামিন বি ১, ভিটামিন বি ২, ভিটামিন বি ৩, ভিটামিন বি ৫, ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন বি ৭, ভিটামিন বি ৯ এবং ভিটামিন বি ১২।
→ এসবগুলি পানিতে দ্রবনীয় ভিটামিন।ভিটামিন বি কমপ্লেক্স শরীরের একটি অত্যান্ত প্রয়োজনীয় ভিটামিন, এবং প্রতিদিনের খাবারে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স থাকা খুবই জরুরী।
√ ভিটামিন বি ১ - এর অভাবে বেরিবেরি রোগ হয়।দূর্বলতা, বুক ধরফর করা, হাত
পা ব্যাথা করা ইত্যাদি এই ভিটামিন বি ১ এর অভাবে হয়ে থাকে।
যেমন-বাদাম, বীচি, শস্যদানা প্রভুতির দানার গায়ের আস্তরণে থায়ামিন থাকে। প্রক্রিয়াজাত খাদ্যে এই ভিটামিন কম থাকে-যেমন কলে ছাটা চাল, মিহি ময়দা, খোসা ছাড়ানো বীচি এমনকি ভাতের মাড়ের সাথেও এই ভিটামিন অনেকখানি চলে যায়। প্রাণিজ খাদ্যের মধ্যে মাছ, ডিম, হূদপিন্ড, যকৃত ইত্যাদিতে ভাল থায়ামিন পাওয়া যায়।
ভিটামিন বি ওয়ান বা থায়ামিন[সম্পাদনা]
ভিটামিন ব১-এর রাসায়নিক নাম থায়ামিন যা একটি বর্ণহীন, কেলাসাকৃতির পদার্থ। থায়ামিন শরীরের ভিতর থায়ামিন পাইরোফস্ফেটে পরিণত হয় যা কার্বোহাইড্রেট বিপাকে একটি সহ-উৎসেচক (যা উৎসেচকের সাথে মিলিত হতে হয়ে কিছু আংশিক বিক্রিয়া অণুঘটিত করে) হিসেবে কাজ করে । থায়ামিনের অভাবে বেরিবেরি রোগ হয় যা পেশী দূর্বল করে দেয়। এছাড়াও হৃৎপিণ্ডের আকার বেড়ে যাওয়া, পায়ে খিল ধরা এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুর কারণ হিসেবে এই ভিটামিনের অভাব কাজ করে। স্নায়ু উদ্দীপক পদার্থ সংশ্লেষণে এটি ভূমিকা রাখে। সবচেয়ে বেশী থায়ামিন সমৃদ্ধ খাদ্যের মধ্যে রয়েছে: শূকরের মাংস, যকৃত, হৃৎপিণ্ড এবং বৃক্কের মাংস, ভাঁটিখানার ঈস্ট, চর্বিহীন মাংস, ডিম, ঢেকিছাটা চাল, শস্যদানা, গমের বীজ, বৈঁচী (এ ধরণের বীচিশূন্য ফল),চিনাবাদাম এবং শুঁটি। শস্যপেষাই কলের মাধ্যমে শস্যদানা ঝালঅই করার সময় এর থায়ামিনসমৃদ্ধ অংশগুলো নষ্ট হয়ে যায়। তাই চাল বা পেষাইকৃত গমে থায়ামিনের পরিমাণ কম থাকে। বর্তমানকালের গবেষণায় চাল ও গমে থায়ামিনের পরিমাণ বেশ বাড়ানো সম্ভব হয়েছে, তথাপি অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই সমস্যা রয়েই গেছে।√ ভিটামিন বি ২ - ঠোট এবং তালু ফাটা, ঠোটের কোনায় ঘা, গলা শুকিয়ে যাওয়া ইত্যাদি এই ভিটামিন বি ২ এর অভাবে হয়ে থাকে।
√ ভিটামিন বি ৩ - চুলকানি, ত্বক খসখসে হয়ে যাওয়া, দূর্বলতা এবং ডাইরিয়া বি ৩ এর অভাবে হয়ে থাকে।
√ ভিটামিন বি ৫ - এর অভাবে ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
√ ভিটামিন বি ৬ - উচ্চ রক্তচাপ,রক্ত স্বল্পতা,বিষন্নতা এবং ত্বকের সমস্যা ভিটামিন বি ৬ এর অভাবে অভাবে হয়ে থাকে।
√ ভিটামিন বি ৭ - শিশুদের বৃদ্ধি এবং মানসিক বৃদ্ধি ভিটামিন বি ৭ এর অভাবে ব্যাহত হয়।
√ ভিটামিন বি ৯ - অভাবে রক্ত স্বল্পতা হয়। গর্ভবতি মায়েদের ভিটামিন বি ৯ এর অভাবে গর্ভস্থ শিশুর জন্মবিকৃতি ঘটে থাকে।
√ ভিটামিন বি ১২ - এর অভাবে রক্তস্বল্পতা এবং মানসিক সমস্যা দেখা যায়।
╬ ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এর উৎস -প্রায় সকল প্রাকৃতিক খাবার। সবজী এবং ফলে যথেষ্ট ভিটামিন বি কমপ্লেক্স পাওয়া যায়।তবে বিশেষ ভাবে ভিটামিন বি ১২'র জন্য ডিম ও দুধ খাওয়া প্রয়োজন,এটি একটি প্রাণীজ ভিটামিন।
খাদ্যের নাম | আমিষ (গ্রাম) | শর্করা (গ্রাম) | ভিটামিন বি-১ (মি.গ্রাম) | ভিটামিন বি-২ (মি.গ্রাম) | ভিটামিন সি (মি.গ্রাম) | ক্যালসিয়াম (মি.গ্রাম) | লৌ (মি.গ্রাম) | খাদ্যশক্তি কি.ক্যা. |
আলু | ৩.১০ | ১৯.১ | ০.০৩ | ০.০৩ | ১০ | ১১ | ০.৭ | ৮৯ |
চাল | ৬.৪০ | ৭৯.০ | ০.২১ | ০.০৫ | ০ | ৯ | ৩৪৬ | |
গমের আটা | ১২.১০ | ৬৯.৪ | ০.২৯ | ০.২৯ | .০২ | ৪৮ | - | ৩৪১ |
No comments:
Post a Comment