Friday, February 1, 2013

মাইগ্রেনে ঘরোয়া চিকিৎসা

http://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A8
মানবকণ্ঠ ডেস্ক
বারবার তীব্র মাথাব্যথার শিকার হলে তা আপনার জীবনকে দুর্বিষহ করে ফেলতে পারে। কেননা, এ তীব্র মাথাব্যথা থেকে মাইগ্রেন হতে পারে। মাইগ্রেন এক ধরনের স্নায়ুতাত্ত্বিক বিশৃঙ্খলা বা অসুস্থতা (ডিসঅর্ডার)। মাইগ্রেনে তীব্র  মাথাব্যথায় একসময় বমি বমি ভাব বমি এবং আলো ও শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতা তৈরি হয়। কাজেই, এ জটিল রোগের ভোগান্তি খুবই কষ্টদায়ক। কিন্তু চিন্তার কোনো কারণ নেই। চিকিৎসকের সাহায্য ছাড়া ঘরে বসেই এর আরোগ্য-বিধান বাতলে দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। নিচে সংক্ষেপে তা তুলে ধরা হলো ‘আইস প্যাক’: মাইগ্রেনের ব্যথা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছুলে আপনি ‘কোল্ড থ্যারাপি’র সাহায্য নিতে পারেন। সে সময় যদি মাথায় বরফ বা বরফ-পুটলি (আইস প্যাক) দেন তবে তা আপনার তীব্র ব্যথা কমাবেই। কেননা, বরফের প্রদাহবিরোধী ধর্ম রয়েছে।
ভিটামিন বি-টু: কমপক্ষে ৪০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-২ (বি-টু) খেলে তা মাইগ্রেনের উপসর্গ তাৎপর্যপূর্ণভাবে কমাতে সাহায্য করবে বলে প্রখ্যাত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুনীতা পাথানিয়া জানান। পাখি বা হাঁস-মুরগির ছানা, মাছ, ডিম, কলাইশুটি, দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার (যেমন-দই, মাখন), আঁশযুক্ত সবুজ শাকসবজি ইত্যাদি ভিটামিন বি-২ এর উৎকৃষ্ট উৎস।
এছাড়া শরীরকে শিথিলায়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেমন, মাথা ম্যাসাজ করে, ইয়োগা বা মেডিটেশনের মাধ্যমেও আপনি ঘরে বসেই মাইগ্রেন থেকে আরোগ্য বা প্রতিকার পেতে পারেন। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

ভিটামিন বি টু বা রাইবোফ্ল্যাভিন[সম্পাদনা]

ভিটামিন বি২-এর রাসায়নিক নাম রাইবোফ্ল্যাভিন (C17H20N4O6)। রাইবোফ্ল্যাভিন থেকে ফ্ল্যাভিন মনোনিউক্লিওটাইড ও ফ্ল্যাভিন অ্যাডেনিন ডাইনিউক্লিওটাইড নামে দুটি সহ-উৎসেচক তৈরি হয়। এই সহ-উৎসেচক কার্বোহাইড্রেট, চর্বি এবং শ্বসনীয় আমিষ বিপাকে সাহায্য করে থাকে। শ্লেষ্মা ঝিল্লীর রক্ষণাবেক্ষণেও এর ভূমিকা রয়েছে। বি২-এর অভাবে যে লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় সেগুলো অতটা স্পষ্ট নয়। কিছু লক্ষণের মধ্যে রয়েছে: ত্বকের বিকৃতি (বিশেষত নাক ও ঠোটের চারপাশে) এবং আলোক সংবেদনশীলতা। রাইবোফ্ল্যাভিনের ভালো উৎসগুলোর মধ্যে আছে: কলিজা, দুধ, মাংস, গাঢ় সবুজ রঙের সব্জি, শস্যদানা, পেস্তা, পাউরুটি এবং মাশরুম

No comments:

Post a Comment